মোঃ আসিফুজ্জামান আসিফ.

ঢাকার সাভারে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কাজে বাধা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা সাভার মডেল থানায় অভিযোগ ও একাধিক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে সাভার উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের বড় কাকর মৌজা এলাকায়। রবিবার সকালে এ বিষয়ে নিরাপত্তা চেয়ে জমির মালিক নজরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, বিরুলিয়ার বড় কাকর মৌজার আরএস ৫২২ দাগের জমির মালিক ছিলেন সুলতান আহমেদ মোল্লা, নুর ইসলাম মোল্লা, নূর মোহাম্মদ মোল্লা ও দিলু মোল্লা। পরবর্তীতে ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জসিম উদ্দিন মোল্লার অংশ ক্রয় করেন নজরুল ইসলাম, রফিকুল বারী ও নাসিম হায়দার। কিন্তু রাস্তা-সংলগ্ন অংশে উন্নয়নকাজ শুরু করতে গেলে সাগুফতা এন এন হাউজিং লিমিটেডের কর্তৃপক্ষ তাদের পিছনের অংশ নিতে বাধ্য করার চেষ্টা করে।

এসময় সাগুফতা হাউজিংয়ের মালিক জুয়েল মোল্লা ও শরিক দিলু মোল্লার নির্দেশে আশিক মোল্লা ও সাঈদ মাদবর সন্ত্রাসী নিয়ে কাজে বাধা দেন। তারা ভেকু চালককে মারধর করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ জুন সকাল ১০টার দিকে জমিতে কাজ শুরু করলে আলুবদী গ্রামের দীন মোহাম্মদ মোল্লা, তার ছেলে বাপ্পি মোল্লা ও আশিক মোল্লা কাজ বন্ধ করে দেয়। এসময় তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন। এমনকি ভুক্তভোগীদের আওয়ামী লীগের দোসর বানিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়ানোরও হুমকি দেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা ২২ আগস্ট আবারও থানায় জিডি করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা দলিলমূলে ক্রয়কৃত জমিতে ভোগ দখল করছি। কিন্তু প্রতিপক্ষ নানা অজুহাতে আমাদের কাজে বাধা দিচ্ছে। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা বলেন, “অভিযোগ ও জিডি পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।