শনিবার -১৪ জুন- ভোরে ডাঙ্গাপাড়া সীমান্ত দিয়ে এই পুশইনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীরামপুর বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার জুবায়ের রহমান। তিনি জানান, পুশইনের শিকার ব্যক্তিরা ভারতীয় চা বাগানে অবস্থান করছে।
পুশইন হওয়া ভারতীয় নাগরিকরা হলেন- ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গা থানার কাজী শাহ গ্রামের মুকুল আলির ছেলে মো. মিনারুল শেখ -৩৪- হারিয়ার পাড়া জেলার তকিপুর গ্রামের মো. কালু মণ্ডলের ছেলে মো. নাজিমুদ্দিন -৩৪- ও বর্ধমান জেলার মন তেম্বার থানার কুলট গ্রামের মো. আলী শেখের ছেলে মো. মোস্তফা কামাল -৫৩-।
পুশইন হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকরা হলেন- নড়াইল জেলার লক্ষ্মীপাশা থানার লোহাগাড়া গ্রামের তপু শেখের ছেলে মো. লালচান্দ-২৯- কচুবাড়ি গ্রামের মো. শহিদুল খন্দকারের স্ত্রী মোছা : আসমা বেগম -৪২- ওঁ লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার কেপলাতলী সাগরদি গ্রামের মো. আব্দুল সাত্তারের ছেলে মো. জাফর আহমেদ বয়স -৪৫-।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ডাঙ্গাপাড়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ-ভারত সীমানা প্রধান পিলার ৮৫৩ নম্বরের ১ নম্বর উপপিলারের কাছে ভারতের কোচবিহার রাজ্যের মেখলিগঞ্জের চেঙ্গেরবাড়ী সীমান্ত দিয়ে ভোর আনুমানিক ৩.৩০ মিনিটে ৩ ভারতীয় পুরুষ নাগরিক, এক বাংলাদেশি নারী ও দুই বাংলাদেশি পুরুষ নাগরিককে পুশইন করে ১৬৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের রতনপুর ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে দুপুরে বাংলাদেশের প্রায় ১.৫ কি.মি. অভ্যন্তরে একই ইউনিয়নের আজিজপুর গ্রামের কমলার বাজারে স্থানীয় জনগণ তাদের দেখতে পেয়ে বিজিবিকে খবর দেন। এরপর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের –বিজিবি- রংপুর ৬১ ব্যাটালিয়নের -তিস্তা-২- শ্রীরামপুর ক্যাম্পের সদস্যরা তাদেরকে আটক করে।
পুশইন হওয়া ভারতীয়দের অভিযোগ, বিএসএফ তাদেরকে পুশইনের আগে মারধর করেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই সীমান্তে বিজিবি নজরদারি জোরদার করেছে ও টহল কার্যক্রম বাড়িয়েছে ।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮