মো সাগর ইসলাম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে কৃষক সমিতির নামে পাওয়ার এসপ্রে মেশিন ও ধান লাগানো মেশিন দেওয়ার কথা বলে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে মেশিন না দিয়ে ৩০,০০০/= টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে ২ নং আমগাঁও ইউনিয়ন এর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন সুমন এর বিরুদ্ধে।
হরিপুর উপজেলাধীন নন্দগাঁও গনাগাছি দানা ফসল কৃষকদল সমিতি সাধারণ সম্পাদক নীল পদ্ম বলেন, আমাদের সমিতি দীর্ঘদিন হইতে সুনামের সহিত পরিচালনা করে আসতেছি।
২নং আমগাঁও ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সাখাওয়াত হোসেন সুমন একটি ধান লাগানো মেশিন বরাদ্দ দেওয়ার কথা দেয়। গত ৩০/০৭/২০২৫ইং তারিখ সকাল অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় তিনি আমাদের হরিপুর কৃষি অফিসে ডাকে ১০০ টাকার ৩টি স্ট্যাম্প ক্রয় করহিয়া ৩টি স্ট্যাম্পে আমাদের তিনজন সদস্যদের স্বাক্ষর গ্রহন করে (যথা- নীল পদ্ম, বদরুল, ডিজেন্দ্রনাথ) স্বাক্ষর নেওয়া শেষে আমাদের বাড়ী চলে যেতে বলে।
সমিতির সদস্য বদরুল বলেন,ঐ দিন বুধবার বিকাল ৫.০০ ঘটিকার সময় যাদুরানী বাজারের হাফিজুলের চায়ের দোকানে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সাখাওয়াত হোসেন সুমন
আমাদেরকে বলেন, মেশিন নিতে হলে আমাকে ৩০,০০০ টাকা দিতে হবে।
সমিতির অন্য সদস্য দীজেন্দ্রনাথ বলেন,
আমরা উনাকে চা পান করার জন্য ৫,০০০/= টাকা দিতে রাজী হই। কিন্তু সে বলে ৩০ হাজার টাকার এক টাকা কম হলে উক্ত মেশিন জামুন সমিতিতে দিয়ে দিব বলে চলে যান।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক নীল পদ্ম জানান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তৈাহিদ-ই-খুদা আমাদের স্ট্যাম্পে সাক্ষর নিয়ে বলেন,আমাদের নামে বরাদ্দকৃত পাওয়ার স্প্রে মেশিন অফিসে রেখে ধান লাগানোর মেশিনটি আপনাদের দেওয়া হবে।
কিন্তু আমরা কোন মেশিন পাইনি।
এই বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তৌহিদ-ই-খুদা বলেন,
আমি তখন অফিসে ছিলাম। অনেকগুলো স্ট্যাম্পে সেদিন সাক্ষর নেয়া হয়েছে। তবে আমরা বলেছিলাম ইউএনও অফিসের কোন কাজে পাওয়ার স্প্রে মেশিনটি লাগলে দিতে হবে।আমরা মেশিন রাখতে চাই নি।
এই বিষয়ে ২ নং আমগাঁও ইউনিয়নের দ্বায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন সুমন,আমি ২ নং আমগাঁও ইউনিয়নে সুনামের সহিত কাজ করছি।
আমার বিরুদ্ধে মেশিন বাবদ যে ঘুষ দাবির বিষয়টি বলা হচ্ছে তা সঠিক নয়।
আমি তাদের বলেছি, যে সমিতিগুলো ভাল কাজ করছে তাদের আমি সেই মেশিন দিব।আমি কারো কাছে কোন টাকা পয়সা চাই নি।আমি তাদের মেশিন দিয়ে দিয়েছি।
আমার কাছে তাদের সাক্ষর করা স্ট্যাম্প আছে।
এই বিষয়ে হরিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার রুবেল হুসেন জানান, আমরা উক্ত সমিতিকে মেশিন বিতরণ করেছি।
আমাদের কাছে সাক্ষর করা স্ট্যাম্প আছে।বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।আর ঘুষ দাবির বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হলে দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেয়া হবে।
হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মণ বলেন,
অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি আইন অনুযায়ী ব্যবস্হা নেয়া হবে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮