মোঃ রাকিবুল হাসান
শেরপুর প্রতিনিধি।।
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলা পরিষদে ও মহিলা কলেজে যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একটি ব্রীজ না থাকায় দুর্ভোগ পুহাচ্ছে হাজার হাজার লোক। অত্র উপজেলা পরিষদের পূর্ব পার্শ দিয়ে প্রবাহীত হয়েছে খরস্রোতা মহারশী নদী। উক্ত নদীটির কারনে বর্ষা কালে উপজেলার পূর্ব অঞ্চলের লোকজন যাতায়াত করতে নানা দুর্ভোগের শিকার হয়। এছাড়াও কৃষকেরা কৃষি পণ্য ঝিনাইগাতি সদর বাজারে আমদানি রপ্তানি করা কষ্ট সাধ্য হয়ে পরে। পাশাপাশি নদীটির পশ্চিম পার্শেই রয়েছে একটি মহিলা কলেজ। এবং নদীটির ১ কি.মি পূর্ব অংশে রয়েছে খ্রিষ্ট ধর্মিয় উপাসনালয় বা র্গিজা। বর্ষা কালে কলেজের ছাত্রীদের কলেজে আসা মারাত্বক ভাবে ব্যাহত হয়। এবং খ্রিষ্ট ধর্মিয় লোকজনের যাতায়াতের সহজ তম রাস্তাটি হলো ডাকাবর হয়ে মরিয়ম নগর মিশন। এছাড়া ডাকাবর নামক স্থানে একটি ব্রীজ নির্মান হলে স্কুল-কলেজে ছাত্র-ছাত্রী ও কৃষক সহ সর্বস্তরের লোকের যাতায়াতের দুর্ভোগ কমতো। উক্ত স্থানে ব্রীজটি নির্মান হওয়ার বহু বার পরিকল্পনা গ্রহন করা হলেও অগ্যাত কারনে ব্রীজটি নির্মান হচ্ছে না। উল্লেখ্য এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একটি ব্রীজ নির্মান করা হলে নদীর পূর্ব পার্শের ২ টি ইউনিয়নের ১৫ টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের পথ সুগম হতো। এই একটি ব্রীজের অভাবে কৃষকের কৃষি পণ্য অনেক জায়গা ঘুরে বাজারে আনা নেওয়া করা হয়। এতে খরচ হয় ২/৩ গুন বেশি এবং সময়ও অপচয় হয় অনেক বেশি। প্রকাশ থাকে যে এই ডাকাবর নামক স্থানে মহারশী নদীর উপর ১ টি ব্রীজ নির্মান হলে উপজেলার পূর্ব পাশের সাথে ঝিনাইগাতি উপজেলার সাথে সহজ তম উপায়ে যাতায়াত করতে পারবে। নদীটির উভয় পার্শে রাস্তা আছে শুধু মাত্র ব্রীজটি না থাকার কারনে বর্ষার ৬/৭ মাস সীমাহিন দুর্ভোগের শিকার হয় স্কুল কলেজ গামি ছাত্র-ছাত্রী ও সর্বস্তরের লোক। তাই এলাকাবসীর দাবি অবিলম্বে উক্ত মহারশী নদীর উপর ডাকাবর নামক স্থানে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্রীজটি নির্মান করে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের প্রত্যাশা সচেতন মহলের।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮