ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম,
জুলাই-আগষ্ট '২৪ বিপ্লবের গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্র জনতার আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর হামলা, অর্থ যোগান দাতা, মঞ্চ বানিয়ে সমাবেশ করে ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়া, বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের নামের তালিকা, সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচির ছবি, ভিডিও ফুটেজ দিয়ে পুলিশ দিয়ে মামলার সহযোগিতা, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অর্থ আত্মসাত, সাংবাদিকের নামে প্লট আত্মসাত, বিগত ১৬ বছর পেশাগত দায়িত্বের নামে আওয়ামী লীগের দলীয় বাহিনীর মত আচরণ করার অভিযোগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকসহ ৪০ জনকে বহিস্কার এবং ৫৬ জনের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে।
৩৬ শে জুলাই- আগষ্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের প্রথম সারির এমপি, মন্ত্রী, মসজিদের ইমাম , বিভিন্ন নেতাকর্মী হাসিনা সহ পালিয়ে গেলেও এখনো আওয়ামী দোসর সাংবাদিক নামক আওয়ামী এক্টিভিস্টরা আবারো দেশের ভিতরে আত্মগোপনে থেকে পাশ্ববর্তী দেশের মদদে প্রিয় বাংলাদেশকে খুন গুম হত্যা আয়না ঘর এর মত দমন নিপীড়ন সিস্টেমের পুনরাবৃত্তির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট জনেরা , সাংবাদিক নামধারী ফ্যাসিস্ট হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়নকারীরা
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন উদযাপন করত বলেও অনেকেই অভিযোগ করেছেন
বহিস্কৃত সাংবাদিকদ নামক দুর্বৃত্তরা অধিকাংশ আওয়ামী মতাদর্শ এবং আওয়ামী এক্টিভিস্ট ,সাংবাদিক
অনেকে আওয়ামী পন্থি
সাংবাদিক সংগঠন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক সভাপতি সম্পাদক ও রয়েছে। তারা হলেন শহিদুল আলম, নির্মল চন্দ্র দাশ, আলী আব্বাস, আবু তাহের মুহাম্মদ, বিশ্বজিত বড়ুয়া, জসীম চৌধুরী সবুজ, মনজুর কাদের মনজু, রফিকুল বাহার, রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, একরামুল হক বুলবুল, অশোক চৌধুরী, ফরিদ উদ্দীন চৌধুরী, শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, রাশেদ মাহমুদ, প্রমল কান্তি দে কমল, আশরাফ উল্লাহ রুবেল, শুকলাল দাশ, দেবদুলাল ভৌমিক, নাসির উদ্দীন হায়দার, রাজেশ চক্রবর্ত্তী, ঋতিৃক নয়ন, কুতুব উদ্দীন( আহমেদ কুতুব), রাহুল কান্তি দাশ, আজহার মাহমুদ, সুবল বড়–য়া, আবু সুফিয়ান, হামিদ উল্লাহ, মামুন আব্দুল্লাহ, রতন কান্তি দেবশীষ, মহসিন কাজী, রুমেন দাশগুপ্ত, নুপুর কান্তি দেব, মু মোজাম্মেল হক(রেজা মোজাম্মেল), মো. মহিউদ্দীন, সহিদুল ইসলাম, মাসুদুল হক, আমিনুল ইসলাম মুন্না, কাঁকন দেব, হোসাইন তৌফিক ইফতিখারসহ ৪০জন কে বহিস্কার করা হয়েছে।বহিস্কৃত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ও আদালতে ছাত্র জনতার উপর হামলার অভিযোগ রয়েছে । অনেকের বিরুদ্ধে ৩৬ শে জুলাই আন্দোলনে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মঞ্চ টাঙ্গিয়ে সমাবেশ করে ছাত্র জনতার উপর হামলা চালানোর সরাসরি নির্দেশ এবং প্রতিনিয়ত উস্কানি দিয়েছিল । কুপিয়ে কুপিয়ে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা করেছে মর্মে আস্ফালান করতেও দেখা গেছে । যা ইতিমধ্যে জন জন ভিডিও ভাইরাল
বহিস্কৃতরা সাংবাদিকদের মধ্যে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র জনতাকে ধরে ধরে পুলিশের ভ্যানে তুলে দিয়েছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পট পরিবর্তন হলে হাজার হাজার ছাত্র জনতা জুলাই আন্দোলনে বিরোধীতাকারি সাংবাদিকদের ধরার জন্য প্রেস ক্লাবে যান। উত্তিজিত ছাত্র জনতা প্রেস ক্লাবে হামলার চেষ্ঠা চালালে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সহায়তাকারী সাংবাদিকরা ও চট্টগ্রাম মেট্টোপলিন সাংবাদিক ইউনিয়ন (সি এম ইউজে)সিনিয়র নেতারা উপস্থিত হলে উত্তজিত ছাত্র জনতাকে শান্ত হন। উত্তেজিত জনতা জুলাই আন্দোলনে যে সব সাংবাদিক বিরোধীতা করেছিল তাদের বিরুদ্ধে নাম ধরে শ্লোগান দিয়ে শাস্তির দাবি জানান। পরবর্তীতে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বিরোধী বিভিন্ন
সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা এই সাংবাদিক নামক দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনার দাবিও তোলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি, এরপর ছাত্র জনতা প্রেস ক্লাবে তালা ঝুলিয়ে দেন। জানা যায় সংকট নিরসনে ১৯৬২ সালের পরে ইতিহাসে তিন মাসের অধিক প্রেসক্লাবে তালা জুলিয়ে ছিল ।
এর কিছুদিন পর আওয়ামী পন্থী সাংবাদিকরা জুড়ো হয়ে ১৫ আগস্ট পালনের প্রস্তুতি সভা করার চেষ্ঠা করলে ছাত্র জনতা সহ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব থেকে তাদের বের করে দেন। এরপর অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ও প্রশাসনের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অর্ন্তবতীকালিন কমিটি গঠন হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম জজ কোর্টে আদালতের এক আইনজীবী জানান সাংবাদিক নামক দুর্বৃত্ত ও আওয়ামী দোসরগুলো এখনো দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যম গুলি যেভাবে দখল করে আছে! তাদেরকে এখনই এখান থেকে বিতাড়িত করতে না পারলে ,পলাতক খুনি, ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর ছাত্র জনতার উপর হামলাকারীদের এজেন্ডা অবৈধ অর্থ এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে থাকবে।তিনি বলেন আমরা দেখেছি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ফ্যাসিবাদি কায়েমের দুর্গ ছিল ওখানে বিএনপি জামাত মতাদর্শের কোন সাংবাদিক যেমন যেতে পারত না তেমনি বিএনপি জামায়াতের কোন বড় নেতা, কর্মী, সাবেক এমপি, মন্ত্রী রাজনীতিবিদরাও বিগত ১৫ বছর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ঢুকতে পারত না , বর্তমানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতনের পরে বাংলাদেশে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব এ ছোট-বড় প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আনাগুনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বলে ও মন্তব্য করেন । সেই সাথে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটিকে একটি অ- রাজনৈতিক এবং সকল মতাদর্শের সাংবাদিকদের আস্থা এবং আশ্রয় স্থলে গড়ে তোলার জন্য ধন্যবাদ জানান ভবিষ্যতে যাতে আবারও এই ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনার দোসর সাংবাদিক নামক দুর্বৃত্ত রা যাতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবকে খামচে ধরতে না পারে ওদিকেও সুদৃষ্টিতে নজর রাখার আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অর্ন্তবর্তিকালিন কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচির স্বাক্ষরিত একটি তালিকা নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গানো রয়েছে যা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে দৃশ্যমান।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮