জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি।।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আলাই মিয়া (বাদশা) নামের ১৮ বছরের এক তরুণের মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জগন্নাথপুর উপজেলার ইসলামপুর আলখানারপাড় গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, তাদের প্রতিবেশি বাড়ির রোমন মিয়া (১৮) নামের আরেক তরুণ গত বৃহস্পতিবার ফোনে বাদশাকে ডেকে নেয়। পরে মোটরসাইকেলযোগে বাদশা, রোমন ও জহির সহ ৩ জন কোথায় যেন চলে যায়। পরে তারা বিকেলের দিকে জানতে পারেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বাদশার মৃত্যু হয়েছে। তার মৃতদেহ রয়েছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে গেলে মৃতদেহ দেখা ও বাড়িতে আনা নিয়ে অনেক নাটকীয়তা হয়েছে। অবশেষে ১২ ফেব্রæয়ারি শনিবার বিকেলে বাদশার মৃতদেহ বাড়িতে আনা হয় এবং দাফন করা হয়েছে। তাই নিহত বাদশার মা সহ তাদের পরিবারের লোকজন প্রশ্ন রেখে বলেন, দুর্ঘটনায় বাদশার মৃত্যু হলো। অথচ আমরা জানি না। জহির ও রোমনের লোকজনের লোকচুরিতে বাদশার মৃত্যু নিয়ে আমাদের মধ্যে সন্দেহ ও নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া তাদের সাথে আমাদের পূর্ব বিরোধও আছে।
তবে চেষ্টা করেও জহির ও রোমন পক্ষের কারো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। গত বৃহস্পতিবার রাণীগঞ্জ-ইনাতগঞ্জ সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আরোহী আলাই মিয়া (বাদশা) নিহত হন। এ সময় আরেক আরোহী রোমন মিয়া আহত হন। এ বিষয়ে জগন্নাথপুর জগন্নাথপুর থানার এসআই জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে স্থানীয়রা জানিয়েছেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বাদশার মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করেন।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮