প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪, ১০:২৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪, ১০:১৫ এ.এম
চাঁদাবাজির মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেলেন সাংবাদিক শরিফুল আলম চৌধুরী।।
শাহ সাহিদ উদ্দিন
কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি।।
দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ শরিফুল আলম চৌধুরী স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় জনৈক মনিরুজ্জামান মুন্সীর দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে কুমিল্লার অতিরিক্ত জুডিশিয়াল বিচারিক আদালতের ফারহানা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল ‘মুরাদনগরে স্থানীয় সরকার সহায়তা প্রকল্প কাগজে আছে- বাস্তবে নেই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ইউপি চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন নেতা ক্ষুব্ধ হন। পরে ২ মে কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তৎকালীন ওসি মঞ্জুর আলমের মাধ্যমে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন কাজিয়াতল গ্রামের ও কাজিয়াতল মাদ্রাসার পরিচ্ছন্নতাকর্মী মনিরুজ্জামান মুন্সী। এই মামলায় মিজানুর রহমান নামে আরও একজনকেও আসামি করা হয়। তাকেও এ মামলা থেকে খালাস দেন বিচারক।
সাংবাদিক শরিফুল আলম চৌধুরীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট সৈয়দ তানভীর আহমেদ ফয়সাল ও এডভোকেট নুরে আলম।
এর আগেও সাংবাদিক শরিফুল আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে পৃথক আরো ৬ টি মামলা দেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। এর একটি গনপিটুনিতে ডাকাত হত্যা- মারামারি ও নারী নির্যাতন মামলাসহ অন্যান্য মিথ্যা অভিযোগ। এ মামলাসহ সব মামলায় বেকসুর খালাস পান তিনি। আর দীর্ঘ তদন্ত শেষে কোনো সত্যতা না পাওয়ার পরও পুলিশ চাঁদাবাজজির এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। আদালতে এ মামলার তদন্তে ত্রুটি ও স্বাক্ষ্য প্রমান না থাকায় বিচারক এ মামলা থেকে তাকেসহ অপর আসামীকে অব্যাহতি দেন।
সাংবাদিক শরিফুল আলম চৌধুরীর মা ফরিদা বেগম এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার ছেলে মুরাদনগরের সাবেক এমপি ইউসুফ হারুন- থানার সাবেক ওসি মঞ্জুর আলম এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২