মামুন মিঞা, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ফরিদপুর
ফরিদপুর চরভদ্রাসন উপজেলায় গোপালপুর ঘাট, ৩নং চরভদ্রাসন ৮ও ৯নং ওয়ার্ড সংলগ্ন গোপালপুর ঘাট থেকে খানিক দক্ষিনে হাতের ডানে।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও স্থানীয় ক্ষমতাশীল নামধারী মুরাদ হোসেন মৃধার নেতৃত্বে সাঈদ মৃধা ও রায়হান মৃধা বেকু দিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলন করে চলছে। মাটি উত্তোলনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদীর তীরবর্তী শত শত বিঘা ফসলী জমি।বসতঃবাড়ী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে অনেকেই হয়েছে ঘরহারা,গৃহহারা। একইসাথে হুমকির মুখে পড়েছে কাঁচাপাকা রাস্তা ও শহর রক্ষা বেড়িবাঁধ ।
এলাকার জনগুরুত্বপূর্ন এই সমস্যায় নেই কোন সমাধানের ব্যবস্থা। জরুরী ভিত্তিতে মাটি উত্তোলন বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ গ্রামের স্বাধীনতা পরবর্তী নদীর তীরের ফসলী এ মাঠে জমি ছিলো প্রায় ৩০০ বিঘা। একযুগেরও বেশী সময় ধরে নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হয়ে দাড়িয়েছে ১০০ বিঘায়।একদিকে নদী ভাঙন অন্যদিকে নদী থেকে প্রভাবশালীদের অবৈধ মাটি উত্তোলন করায় দিন দিন কমে যাচ্ছে ফসলী জমি। বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে নদী তীরবর্তী গোটা গ্রাম।
মাটি উত্তেলনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ ফসলী জমির মালিক,অসহায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ বলেন, দীর্ঘ ৬ বছর ধরে এভাবেই প্রতিদিন রাত ১০ টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টি ড্রাম ট্রাকে অন্যত্র বিক্রি করছে মাটি। গ্রামবাসীরা এ মাটি উত্তোলনের প্রতিবাদ করলে তারা কোন কর্ণপাত করছে না। বলছে সরকারিভাবে ডাক হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাটি কাটার কোন অনুমোদন নেই।এই মাটি খেকোদের ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না ।তবে ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি চরভদ্রাসন উপজেলা ইউএনও এর সি.এ উজ্বল এর ক্ষমতা বলে তাকে ম্যানেজ করে উল্লেখিত ব্যক্তিগন দাপটের সাথে মাটি কাটছে বলে জানা যায়।
ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের এই অবৈধ মাটি কাটা বন্ধ না করলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে শতশত বিঘা ফসলী জমি। এ ব্যাপরে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি নতুন আসছি বিষয়টি আমি জানিনা তবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। নির্বাহী কর্মকর্তার সি.এ উজ্জ্বল এর সাথে বারবার কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮