মোঃ নেয়াজুর রহমান নয়ন চন্দনাইশ প্রতিনিধি
চন্দনাইশে ক্লাস চলাকালীন সময়ে উচ্চ আওয়াজে সাউন্ড বাজিয়ে স্কুলের মাঠে গণিত অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা, রোবোটিকস শো, টক শো, এসো চন্দনাইশকে জানি কুইজ কুইজ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্টিত হয়েছে।
গতকাল ১৭ মে শনিবার সকালে উপজেলা সদরস্থ কাশেম-মাহাবুব উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড এর সার্বিক সহযোগিতা, চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে স্বপ্ন বিলাস নামে একটি সংগঠন।
অনুষ্টান চলাকালে দুপুর ১১টার দিকে স্কুলের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ক্লাস চলা অবস্থায় নৃত্যানুষ্টান, কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা চলায় শিক্ষক ও ক্লাসে উপস্থিত শত শত শিক্ষার্থী স্বাভাবিকভাবে পড়ালেখা করতে পারেনি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কেউ কারো কথা শুনছিল না। তাদের মনোযোগ ও দৃষ্টি ছিল অনুষ্ঠানের মাঠে।
জানা যায়, চন্দনাইশের ৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী চন্দনাইশ গণিত উৎসবে অংশগ্রহন করে ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কলেজ, স্কুল, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশ্য অনিচ্ছুক এক শ্রেণী শিক্ষক জানান, মাঠে উচ্চ আওয়াজে অনুষ্টানের কারণে স্বাভাবিকভাবে শ্রেণী কার্যক্রমে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। উচ্চ আওয়াজের কারণে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীরাও ছিল অমনোযোগী। কেউ কারো কথা শুনছিল না। ক্লাস চলাকালীন সময়ে উচ্চ আওয়াজে সাউন্ড বন্ধ থাকবে বলে অঙ্গিকার দেয়ার পরও ক্লাস চলাকালীন সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন সাউন্ড ব্যবহার করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এলাকার সচেতন নাগরিক শহিদুল ইসলাম জানান, সরকার শনিবার সকল শিক্ষা প্রতিষ্টান ও অফিস আদালত খোলা রেখেছে। কিন্তু কাশেম- মাহাবুব উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস চলছে, পাশাপাশি মাঠে উচ্চ আওয়াজে চলছে অনুষ্ঠান।
কাশেম-মাহাবুব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয়ানন্দ বড়ুয়া বলেন, গনিত অলিম্পিয়াড আয়োজক কমিটিকে অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তনের কথা বলা হলেও তারা তারিখ পরিবর্তন করতে রাজি হননি। এরপরও আমরা সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত শ্রেনীকক্ষ তাদের পরীক্ষা নেয়ার জন্য খুলে দেয়। কিন্তু এতেও তারা ৭ মিনিট দেরী করে। স্কুলের মাঠে অনুষ্টান চলাকালীন সাউন্ড ব্যবহার করবে না মর্মে অঙ্গিকার নেয়া হয়। কিন্তু তারা ক্লাস চলাকালীন সাউন্ড ব্যবহার করায় আয়োজক কমিটিকে সাউন্ড বন্ধ করতে বলেছি।
আয়োজক কমিটির মো. সাইফুদ্দিন জানান, আমরা ২ মাস আগেই গণিত অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতার তারিখ নির্ধারিত ছিল। সে হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ অন্যান্য অতিথিদেরকে দাওয়াত দেয়া সম্পন্ন হয়। কিন্তু সরকারি প্রঙ্গাপনে স্কুল খোলা থাকায় গত ২ দিন আগে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে তারিখ পরিবর্তন করার কথা বলেন। বিশাল আয়োজন ও পূর্ব নির্ধারিত হওয়ায় প্রোগ্রাম বাতিল করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিব হোসেন বলেন, প্রোগ্রামটি তারিখ পরিবর্তনের কথা ছিল। পরবর্তী জানতে পারলাম তারা অনুমোদন পেয়েছে। তবে সকাল ১০টার মধ্যে তাদের অনুষ্টান শেষ করার কথা ছিল। এব্যাপারে তিনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮