
মো. ইমরান হোসেন,
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাসন থানার এসআই দুলাল চন্দ্র দাস।
সোমবার (২৫ আগস্ট) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার রবিউল হাসান জিএমপি সভাকক্ষে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
প্রেস বিফিংয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেফতার আটজনকে অভিযুক্ত করে রোববার আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। আর ১৭ দিনের মধ্যেই মামলার চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- গ্রেফতার জামালপুরের মেলান্দহ থানার মাহমুদপুর এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান ওরফে কেটু মিজান (৩৪), একই জেলার মো. সুলাইমানের মেয়ে ও কেটু মিজানের স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপী (২৫), খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গা থানার ময়লাপোতা এলাকার মো. হানিফের ছেলে মো. আল আমীন (২১), কুমিল্লার হোমনা থানার অনন্তপুর এলাকার হানিফ ভূইয়ার ছেলে মো. শাহজালাল ওরফে জালাল (৩২), পাবনা চাটমোহর থানার পাঁচবাড়িয়া এলাকার কিয়ামুদ্দিনের ছেলে মো. ফয়সাল হাসান (২৩), শেরপুরের নকলা থানার চিতলিয়া এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে সুমন ওরফে সাব্বির (২৭), রফিকুল ইসলাম ওরফে আরমান (৩০)ও পাবনা জেলার ফরিদপুর থানার সোনাহারা এলাকার মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে স্বাধীন ওরফে সেলিম (২৮)।
পুলিশ জানান, তুহিন হত্যাকাণ্ডের পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তার মোবাইল ফোনটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। ফোনটি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন উপপুলিশ কমিশনার অশোক কুমার পাল, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম, বাসন থানার ওসি মো. শাহীন খান।