মো.ইমরান হোসেন,
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি।।
গাজীপুরের শ্রীপুরে চাঞ্চল্যকর গলাকেটে অজ্ঞাত নারী হত্যা ঘটনার ২০দিন পর পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে। মিলেছে ওই নারীর পরিচয়। তিনি উপজেলার শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পূর্ব খন্ড গ্রামের মৃত আবু তাহেরের স্ত্রী মিনারা খাতুন (৪৫)।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘাতকরা মিনারাকে গলাকেটে নৃসংশভাবে হত্যা করে মরদেহ উপজেলার বরমী ইউনিয়নের ভিটিপাড়া গ্রামের সাদুখারটেক এলাকায় বিলের পাশে ফেলে রাখে। পরদিন সন্ধ্যায় শ্রীপুর থানা পুলিশ ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় নিহতের মেয়ে ও মো. ফরিদের স্ত্রী শেফালি (২৫) ও শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার কাজীরচর গ্রামের মো. মেরাজ উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা (৩০)। সে ভাংনাহাটি গ্রামের রত্নার বাড়িতে ভাড়ায় থেকে স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করতো।
গতকাল শুক্রবার সকালে কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আজমির হোসেন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পুলিশ গভীর ভাবে তদন্ত শুরু করে। হত্যাকাণ্ডের শিকার মিনারা খাতুনের স্বামী আবু তাহের মারা যায় অনেক বছর পূর্বে। এরপর এক মেয়ে শেফালীকে নিয়ে শুরু হয় তার জীবন সংগ্রাম। নিজের নামে ছিলো সামান্য জমি। এই জমি টুকু লিখে দেন মেয়ে শেফালীর নামে। শর্ত ছিলো তিনি মারা যাওয়ার পর জমির মালিক হবে মেয়ে শেফালী। এরই মধ্যে মিনারার এক ভাই ঢাকায় জেলখানায় আটকা রয়েছে একটি মামলায়। কিছু অর্থ সহায়তা চেয়েছিল মমি নারার ভাই। ভাইকে সহায়তা করতে গরু বিক্রি করতে চেয়ছিল মিনারা। মায়ে গরু বিক্রির চেষ্টাকে ভালভাবে নেয়নি মেয়ে শেফালী। তখন থেকেই মাকে হত্যার পরিকল্পনা শুরু করে। খুনী শেফালী চাকরি করতো স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায়। সেখানে পরিচয় হয় সহকর্মী সোহেল রানার সঙ্গে। একদিন সোহেল রানার সাথে মাকে হত্যার পরামর্শ করে। সোহেল রানা মিনারাকে খুন করার জন্য প্রথমে ১ লাখ টাকা দাবি করে। এরপর মেয়ে শেফালী ৪০ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়। সর্বশেষ নগদ ১৫ হাজার টাকা সোহেলকে দেয় শেফালী।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮