জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি।।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের ১৫৭নং কালিটেকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নব-গঠিত ম্যানেজিং কমিটির পরিচিতি ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৫ অক্টোবর সোমবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি আবদুর নুর এর সভাপতিত্বে ও যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন লিলুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলকলিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষানুরাগী সদস্য রাদেশ দেবনাথ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কলকলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল হাসিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রসরাজ বৈদ্য, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র দাশ, প্রবাসী রফিক মিয়া, প্রবাসী সেলিম আহমদ, কলকলিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ফখরুল হোসেন, অত্র বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নব-নির্বাচিত সভাপতি রুবি রাণী দেব প্রমূখ। সভায় অতিথিদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এ সময় উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইনস্ট্রাক্টর হারুনুর রশীদ, এনজিও কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান, ইউপি সদস্য তারা মিয়া, আ.লীগ নেতা শুকুর আলী, কদ্দুছ মিয়া, যুবলীগ নেতা সিপন আহমদ তালুকদার সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও নারী-পুরুষ অভিভাবক জনতা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ছাত্রী তানিয়া বেগম ও গীতাপাঠ করেন বিদেশ দেবনাথ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতাউর রহমান বলেন, আগে জগন্নাথপুরের প্রবাসী ও ধনী ব্যক্তিরা কোটি কোটি টাকা খরচ করে আলিশান দালান বাড়ি বানাতেন। এখন তারা তাদের ভূল বুঝতে পেরেছেন। দালান বাড়ি নয়, পরিবারের মানুষকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা এখনো পিছিয়ে আছি। অথচ লেখাপড়া করতে তেমন খরচ হয় না। ঠিক একই ভাবে পুষ্টির অভাবে দিনে দিনে মানুষ ছোট হয়ে আসছে। অথচ পুষ্টির জন্য দামি খাবার লাগে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিজন কুমার দেব বলেন, উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদেরকে উচ্চ শিক্ষিত জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। বিদেশে যে কাজ করে অধিক টাকা উপার্জন করেন বিদেশীরা। সেই কাজ সমান ভাবে করেও উচ্চ শিক্ষিত না থাকায় আমাদের দেশের অনেক প্রবাসীরা কম উপার্জন করছেন। তাই দেশের প্রতিটি নাগরিককে শতভাগ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ও পরিবর্তনের বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এক সময় শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়তো। এখন আর সেই সুযোগ নেই। কারণ সরকার বিনামূল্যে বই ও শিক্ষার্থীদের নগদ টাকা দিচ্ছে। তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, করোনার কারণে গত ২ বছর স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা এখন স্কুলে আসতে না চাওয়াটা স্বাভাবিক। তবে কোমলমতি শিশুদের আবারো স্কুলমুখি করতে লেখাপড়ার সাথে আনন্দের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তাহলে খেলাধূলার জন্য হলেও শিশুরা স্কুলে আসবে।
এছাড়া সভায় বিদ্যালয়ের নতুন ভবন ও সীমানা দেয়াল নির্মাণ সহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরা হলে, পরিকল্পানামন্ত্রী এমএ মান্নান এর সহযোগিতা নিয়ে তা সমাধানে আন্তরিকতার আশ্বাস প্রদান করেন অতিথিরা।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮