স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ।।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তিন ফসলি কৃষি জমিতে পুকুর খনন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের দেবীপুর মৌজার চাঁকরৌহালী দক্ষিণপাড়া মাঠে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় এলাকার প্রায় ১০০ জন কৃষক ওই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।হাজার হাজার কৃষকের সংসার চলে এই মাঠের ফসল উৎপাদন করে। বিগত সময়ের খনন করা কয়েকটি পুকুরের কারনেই জলাবদ্ধতা হয়ে থাকে বিভিন্ন সময়। নতুন করে আবার পুকুর খনন করলে এই মাঠের প্রতিটি জমিতে জলাবদ্ধতা হয়ে থাকবে এবং বর্ষায় অনেক বাড়ি-ঘর প্লাবিত হবে এলাকাবাসী ও ভূমি মালিকগণদের দাবি স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ ও এলাকার প্রভাবশালীদের যোগসাজসে মহেশ রৌহালী দেবীপুর মৌজায় জোর পূর্বক জমি দখলের মাধ্যমে তিন ফসলি ধানি জমিতে পুকুর খনন চলছে। তবে উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত অবৈধ পুকুর খননবন্ধে অভিযান চলমান রয়েছে বলে দাবি করেছেন। চাঁকরেীহালি গ্রামের অসহায় কৃষক মুজাম্মেল হক জানান, সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিলে ছোট বড় মিলে অন্তত দের থেকে ২০০ টি পুকুর খননের কাজ চলছে। এসব পুকুর খনন কাজ এলাকায় ব্যবহার করা হচ্ছে অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী। তাদের পাহারা বসিয়ে দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা অবাধে পুকুর খনন করে চলেছে এলাকার এক শ্রেনীর প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। পুকুর খনন বন্ধে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ রয়েছে যে, জমির প্রকৃত (শ্রেণী) পরিবর্তন করা যাবে না। কিন্তু অবৈধ পুকুর খননকারীরা উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে ফসলি জমিতে চালিযয়ে যাচ্ছে হরদম পুকুর খনন। পুকুর খননের কারণে বিল এলাকার প্রভাবশালী ও ধনাঢ্য ব্যক্তিরা কিছুটা লাভবান হলেও নি:স্ব হয়ে পথে বসতে চলেছে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা।অভিযোগকারী উপজেলার চাঁকরৌহালির জমির মালিক মো ইসাহাক আলী জানান, জমিসহ প্রতিবেশীদের জমি জোর পূর্বক দখল করে পুকুর খনন করার জন্য তাড়াশ উপজেলার হামকুরিয়া গ্রামের ভূমি দস্যু আলাউদ্দিন,ও শামীম, শহিদুল ও রেজা সহ জোর পুর্বক দখল নিয়েছে। সে বিষয়ে ভুমি মালিক সহ ওই এলাকার একাধিক কৃষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা ভূমি কমিশনারসহ জেলা প্রশাসকে নিকট ব্যবস্থা গ্রহণে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আবেদনে অভিযোগকারী মোঃ ইসাহাক আলী , মোঃ রবিউল করিম, নুরুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক আখতার হোসেন সহ অনেকে জানান, জোর পূর্বক জমি দখলের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বার বার জানিয়ে কোন লাভ হয়নি। ফলে কৃষি জমিতে পুকুর খননের
কারনে পাশের জমিগুলো হুমকির মুখে পড়ছে এবং আবাদী জমির পরিমান কমছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, তাদেরকে না জানিয়ে রাতারাতি জমিগুলো জবর দখলের মাধ্যমে পুকুর খনন করেছে প্রভাবশালীরা। অসহায় ভূমি মালিকগণ পুকুর খনন কাজে বাধা দিলে হামকুরিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন তাদের ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা অবৈধ অস্ত্র নিয়ে প্রান নাশের হুমকি দেয়।এছাড়া অবৈধ পুকুর খনন কাজ অব্যাহত থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও কোন ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিম বলেন, অবৈধ পুকুর খনন করা কোন সুযোগ নেই। এছাড়া নিয়মিত অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮