সোহানুর রহমান বাপ্পি
ক্রাইম রিপোর্টার।।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার, মারিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের স্হায়ী বাসিন্দা মো: গিয়াস উদ্দিন। তিনি সাধারণ শ্রমিক হিসেবে কঠোর পরিশ্রম করেন।
এমন অবস্থায় তার আত্মীয় মো: গোলাপ মিয়া- ২৭-১২-২৪ তারিখে শুক্রবার ৩ ঘটিকা সময় একটি ছোট্ট পুকুর সেচের জন্য ১ ঘুরা জল মটরের লাইন সংযোগ করেন গিয়াস উদ্দিনের বড় ছেলে মো: হোসেন মিয়ার মিটার থেকে। কিশোরগঞ্জ সদরের বিদ্যুৎ অফিসের মিটার রিডিং ম্যান মো: নাঈম উক্ত তারিখের আনুমানিক ৩টা ৪৫ ঘটিকায় সরজমিনে আসলে গোলাপ মিয়া কে মামলার ভয়ভীতি দেখায় এবং তার কোন এক সহযোগী কে বিদ্যুৎ অফিসার বলে পরিচয় দেয় । তখন গোলাপ মিয়া তাদের বলেন- সরকারি লাইন অবৈধ ভাবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা থাকলে রাস্তার পাশের কুটি থেকেই নিয়ে আসতে পারতাম কিন্তু এমন টা করিনি- বরং অনেক দূর থেকে আত্মীয়ের মিটার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে আসছি।
আমার ছেলে রিয়াদ বুঝতে না পেরে মিটারের বিদ্যুৎ সংযোগ টা ভুল করে লাগিয়ে ফেলে- এই বলে দুঃখ প্রকাশ করেন। মিটার রিডিং ম্যান এবং বিদ্যুৎ অফিসের পরিচয় দিয়ে ভুয়া কর্মকর্তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরেও মিটার থেকে লাইন সংযোগ দেওয়ার জন্য অবৈধ বলে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে সাধারণ গ্রাহকের আত্মীয় মো: গোলাপ মিয়ার কাছ থেকে ঘোষ নিয়ে যায় নগদ ৫,০০০ টাকা। অতঃপর ভুক্তভোগী ও তার আত্মীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান যে টাকা নগদ না থাকায় আরেক জনের কাছ থেকে সেই টাকা ধার নিয়ে সন্তুষ্ট করেন বিদ্যুৎ অফিসের ভুয়া কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। আমরা এই বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলী মো: আহসান হাবিব কে অবগত করলে তিনি তত্ত্ব নিয়ে আমাদের জানান উক্ত তারিখে বিদ্যুৎ অফিস থেকে কোনো কর্মকর্তা বের হয়নি এবং ভুক্তভোগীর উল্লিখিত স্থানে কেউ যাননি। ভুক্তভোগী গোলাপ মিয়া ও ছোট্ট ছেলে কাউসার উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত সিন্ডিকেট ব্যক্তিদের মধ্যে মিটার রিডিং নেওয়া নাঈম- পিতা: সাত্তার- নামের একজন কর্মচারী কে চিনতে পারে এবং বাকি ভুয়া কর্মকর্তা কে চিনতে না পারায় চিহ্নিত করতে সাংবাদিকদের কিশোরগঞ্জ সদর বিদ্যুৎ অফিসে নিয়ে গেলে আমরা উক্ত সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত বিদ্যুৎ অফিসের কোন কর্মকর্তা ছিল না বলে জানতে পারি। এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা, মিটার রিডিং ম্যান নাঈম এর কাছ থেকে কিছু জানতে গেলে খারাপ ব্যবহার ও করা হয় সাংবাদিকদের সাথে। একপর্যায়ে পালানোর চেষ্টা করে নাঈম।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ আইন ১৯১০ সনের রহিত পূর্বক সংশোধন করে, পুনঃ প্রণয়ন করা বিদ্যুৎ আইন ২০১৮ সনের ৭ নং আইনের ধারা - ৪৩ অনুযায়ী উক্ত সেন্ডিকেটের সাথে জড়িত মিটার রিডিং ম্যান নাঈম ও তার সহযোগী ভুয়া কর্মকর্তা এই আইন লঙ্ঘন করিয়াছে বলে গণ্য হতে পারে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮