
ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
কানাডা সফর শেষে চট্টগ্রামে ফিরেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছালে চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মো. ইমাম হোসেন রানা এবং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি মেয়রকে ফুল দিয়ে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভ্যর্থনা জানান।
২৪ জুলাই শুক্রবার, দুপুর ৩টা ১০ মিনিটে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে বিকাল ৪টা নাগাদ চট্টগ্রামে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন মেয়র।
এর আগে কানাডা সফর শেষে বুধবার রাতে ঢাকা পৌঁছে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বাৎসরিক মূল্যায়নে দেশের ১২ সিটি কর্পোরশনের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রথম হওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন গত ২৮ জুন ২০২৫ তারিখে কানাডায় গমন করেন। সফরকালে তিনি বিভিন্ন কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম, আধুনিক নগর ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তিনির্ভর সেবা, পরিবেশবান্ধব নগর গড়ার পরিকল্পনা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
সফরের উল্লেখযোগ্য অংশ হিসেবে কানাডার মন্ট্রিয়লের কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চসিক পরিচালিত প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মধ্যে একটি কৌশলগত শিক্ষা বিনিময় চুক্তি (MoU) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এতে করে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও শিক্ষার্থী বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে শিক্ষা সহযোগিতা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া, টরেন্টোর বাংলা টাউনের ড্যানফোর্থ এলাকায় অন্টারিও প্রদেশের সংসদ সদস্য (এমপিপি) মেরি-মার্গারেট ম্যাকমাহনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মেয়র। সাক্ষাতে জলবায়ু সহনশীলতা, উদ্যোক্তা উন্নয়ন (স্টার্টআপ) ও নার্সিং খাতে দক্ষ জনশক্তি গঠনে যৌথ সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।
টরন্টো সিটি হলে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে টরেন্টোর মেয়র অলিভিয়া চৌ এবং এমপিপি ডলি বেগমের একটি যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই নগরের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, স্বাস্থ্যখাতে প্রশিক্ষিত জনবল আদান-প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়।
চসিক মেয়রের এই সফরকে চট্টগ্রামের উন্নয়ন কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এই সফর ভবিষ্যৎ নগর ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণেও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা যায়।