তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজীবপুর উপজেলায় কয়েলের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে চার দিনমজুরের ৯টি ঘর। ঘরের জিনিসপত্র ও নগদ টাকার পাশাপাশি অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছে তাদের ৫টি গরু ও ২০টি ছাগল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দাবি, প্রায় ২২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার -৩ এপ্রিল- রাত আনুমানিক ১১ঃ৩০ মিনিটে উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের সংকর মাধবপুর বিলপাড়া এলাকায় এক দিনমজুরের গোয়ালঘরে জ্বালানো কয়েলের আগুন থেকে এই আগুনের সুত্রপাত হয় বলে জানা যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য মোছা: মিনারা বেগম।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুররা হলেন, কাবেল মিয়া, মিজানুর রহমান, আব্দুল রশিদ ও ফজল হক।
এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের দেয়া তথ্য মতে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে দিনমজুর মিজানের পরিবার প্রতিদিনের মতো গোয়াল ঘরে মশা তাড়ানোর কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রাত আনুমানিক ১১ঃ৩০ মিনিটে আগুনের তাপে ঘুম ভেঙে যায় মিজানুরের। সে সময় তার চিৎকারে ক্ষতিগ্রস্ত বাকি পরিবারগুলোসহ এলাকাবাসী আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। দুর্ভাগ্যবশত মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী ফজল হক, কাবেল ও রশিদের বসতবাড়ীতে। সেই আগুনে মিজানুরের ২টি ঘর, ঘরে থাকা নগদ ৬০ হাজার টাকা পুড়ে যায়। এছাড়াও তার ১টি গরু অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়।
অন্যদিকে কাবেলের ৩টি ঘর পুড়ে যায়। পাশাপাশি তার ২টি গরু ও ১০টি ছাগল অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। ফজল হকের ২টি ঘরসহ আব্দুল রশিদের ২টি ঘর এবং ১২টি ছাগল অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। এছাড়াও ঘরগুলোতে থাকা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত ফজল হক বলেন, “ কাবেল, মিজানুর, রশিদ ও আমার মোট নয়টি ঘর, একুশটি ছাগল ও অনান্য জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমাদের প্রায় ২২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যেহেতু প্রথমে মিজানুরের বাড়িতে আগুন লাগে তাই তার কোনকিছুই রক্ষা করা যায়নি। আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে তাদের গাড়ী উপজেলার খাজারঘাট পর্যন্ত এসে চলে যায়।
স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য মোছা: মিনারা বেগম বলেন, “ঘটনাস্থল গিয়ে দেখার পর বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। উনারা সবাই দিনমজুরের কাজ করেন। তাদের জন্য সরকারি সহায়তা দেয়া প্রয়োজন।“
রাজীবপুরের ইউএনও ফজলে এলাহী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন আকারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আশা করেন যে খুব দ্রুত তাদেরকে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮