প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ৮, ২০২৫, ৬:২৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ২৬, ২০২৩, ৪:১১ এ.এম
কঠোর নজরদারীর কারনে ইলিশ ধরতে সাহস পাচ্ছেনা জেলেরা।।
সদরপুর থেকে শিমুল তালুকদার।।
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা মৎস্য দপ্তরের ইলিশ রক্ষায় নানাবিধ তদারকি এবং উপজেলা প্রশাসনের অব্যাহত অভিযানের কারনে চলতি মৌসুমে পদ্মার বুকে ইলিশ ধরতে সাহস পাচ্ছেনা জেলেরা। ফলে পদ্মার বুক রয়েছে জেলে শুন্য।
চলতি মাসের ১২ তারিখ থেকে আগামি নভেম্বরের ২ তারিখ পর্যন্ত ইলিশ ধরা, গুদামজাত, পরিবহন, ক্রয়- বিক্রয় মিনিময় কারীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইন প্রয়োগ করার কারনে পদ্মার বুকে ইলিশ ধরতে সাহস পাচ্ছেনা বলে জানান জেলেরা। প্রতি বছর এই মোসুমে ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদীর পাড়ে
চলতো ইলিশ বেচাকেনা। কিন্তু এ বছর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরের কঠোর নজরদারীর কারনে একদিকে যেমন জেলেরা মাছ ধরতে সাহস পাচ্ছেনা, অপরদিকে জেল জরিমানার ভয়ে ইলিশ মাছ কিনতে নদীর পাড়ে যেতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ জনগন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার শয়তান খালি, চন্দ্রপারা, আকোট ঘাট সহ পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদের বিভিন্ন স্পটে উপজেলা মৎস্য দপ্তরের কঠোর নজরদারীর থাকার কারনে জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে সাহস পাচ্ছেনা। অপরদিকে নদীর পাড়ের বিভিন্ন স্পটে উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকার কারনে সাধারণ জনগন প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ইলিশ মাছ কিনতে নদীর পাড়ে যেতে ভয় পাচ্ছেন। একদিকে ইলিশ সংরক্ষণে পদ্মায় রয়েছে মৎস্য দপ্তরের কঠোর অবস্থান, এবং অপর দিকে প্রশাসনের নজরদারি থাকার কারনে স্থানীয় জনসাধারণের ইলিশ মাছ কিনতে অনাগ্রহ থাকায় যথাযথ ভাবে কার্যকর হচ্ছে ইলিশ অভিযানের কার্যক্রম।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জেলে বলেন, প্রতি বছরের চেয়ে এবারের সদরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম জাহাঙ্গীর কবির একজন চৌকস অফিসার হিসেবে ইতিমধ্যেই পরিচিত লাভ করেছেন। তিনি পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্পটের খবর কিভাবে জেন খবর পেয়ে যান। জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার সাথে সাথেই শুরু করেন অভিযান। তাই জেল জরিমানা ও জাল নৌকা হারানোর ভয়ে আমরা নদীতে নামার সাহস পাচ্ছিনা বলে জানান ঐ জেলে।
সন্ধ্যায় শয়তান খালি ঘাটে গিয়ে দেখা যায় একটি স্পীড বোট ও ডবল ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ঘাটে বাধা রয়েছে। ঘাটের এক চা দোকান্দার বলেন এই বছর অভিযানের সময় ইলিশ মাছ চোঁখে দেখতে পেলাম না। প্রতি বছর বিভিন্ন জেলেরা চুরি করে পদ্মায় ইলিশ মাছ ধরতো। এবং এই ঘাটে অনেকে ইলিশ মাছ কিনতে আসতো। কিন্তু এ বছর কোন রকম ইলিশ মাছ বা কোন ক্রেতা চোঁখে পরেনি।
সচেতন মহল মনে করছেন, এভাবে প্রশাসনের নজরদারি এবং অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকলে দ্রত ইলিসের বংশ বিস্তার হবে। এবং স্বল্প মূল্যে সাধারণ জনগন ইলিশ মাছ কিনতে পারবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, কোড নাম্বারঃ ৯২