
নুর মোহাম্মদ,কক্সবাজার:
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) কক্সবাজার সাব-অফিসের আয়োজনে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর অর্থায়নে পরিচালিত প্রো-অ্যাক্ট বাংলাদেশ প্রকল্প ‘কক্সবাজারে কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা রূপান্তরের মাধ্যমে সহনশীলতা বৃদ্ধি’ এর আওতায় ‘কক্সবাজারে টেকসই মৎস্যচাষ উন্নয়নের জন্য মৎস্য খাতের অগ্রাধিকার ও অংশীজন সম্পৃক্তকরণ’ শীর্ষক একটি পরামর্শমূলক কর্মশালার আয়োজন করে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) কক্সবাজার শহরের কলাতলির লং বিচ হোটেলের কনফারেন্স হলে আয়োজিত কর্মশালায় মৎস্য অধিদপ্তর (ডিওএফ), বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই), বেসরকারি খাত, জাতিসংঘ সংস্থাসমূহ, এনজিও এবং স্থানীয় মৎস্য উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। তারা কক্সবাজারে টেকসই মৎস্যচাষের উন্নয়নের জন্য বাস্তবায়নযোগ্য কৌশল নির্ধারণে আলোচনা করেন।
উদ্বোধনী অধিবেশনটিতে সভাপতিত্ব করেন মার্থা এনগোল, প্রধান, এফএও কক্সবাজার সাব-অফিস।
দিনব্যাপি আয়োজন ওই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা। এছাড়া বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. শফিকুর রহমান, কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাব’র সভাপতি তৌহিদ বেলাল এবং অংশীজনেরা বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
প্রযুক্তিগত উপস্থাপনায় মীর মোহাম্মদ আলী, এফএও’র ফিশারিজ প্রোগ্রাম ডিজাইন স্পেশালিস্ট, ‘এফএও কক্সবাজারে দুই বছর মেয়াদী মৎস্যচাষ উন্নয়ন কৌশল ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা’ উপস্থাপন করেন। উপস্থাপনায় তিনি টেকসই পুকুর মডেল, হ্যাচারি–নার্সারি সংযোগ, ফিশমিল উদ্যোগের ব্যবসায়িক টেকসইতা এবং নীতি সুপারিশের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অংশগ্রহণকারীরা চারটি মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিষয়গুলো হলো, আদর্শ মৎস্যচাষ মডেল উন্নয়ন, হ্যাচারি, নার্সারি ও পরিবহনকারীদের মধ্যে বাজার ও ব্যবসায়িক সংযোগ, নার্সারি ও ফিশমিল উদ্যোগের টেকসইতা ও ঝুঁকি বিশ্লেষণ, এবং নীতিগত সুপারিশ।
কর্মশালায় বলা হয়, এফএও আশা প্রকাশ করে যে, তারা মৎস্য অধিদপ্তর (ডিওএফ), মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই), বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি), বেসরকারি খাত এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে কক্সবাজারে অন্তর্ভুক্তিমূলক, জলবায়ু-সহনশীল এবং টেকসই মৎস্যচাষ উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে।