শওকত আলম, কক্সবাজার:
কক্সবাজারের ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা ও বিকল্প জীবিকায়ন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সদর উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে কোস্ট ফাউন্ডেশনের স্মল স্কেল ফিশারিজ জেন্ডার মেইনস্ট্রিমিং প্রকল্পের উদ্যোগে মাল্টি-স্টেকহোল্ডার সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী নারী রোকসানা আক্তার রুপা প্রকৃত জেলেদের কার্ড প্রদান এবং মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন সময়ে সঠিকভাবে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানান। প্রকল্পের নেটওয়ার্কিং গ্রুপের সভাপতি ফাতেমা বেগম বলেন, “মাছ ধরা বন্ধের সময় জেলে নারীদের জন্য বিকল্প আয়ের পথ তৈরি না হলে তাদের জীবন আরও সংকটে পড়ে।”
উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা রাসেদ আহমদ জানান, যারা এখনও প্রকৃত জেলে কার্ড পাননি, তারা নিয়ম অনুযায়ী ফরম পূরণ করে মৎস্য অফিসে জমা দিলে দ্রুত তা যাচাই-বাছাই করা হবে। বন্ধ মৌসুমে বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে ব্রয়লার মুরগি পালন ও গরু মোটাতাজাকরণ কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ডা. মো. সাখওয়াত হোসেন।
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রতিনিধি মো. রমজান আলী জানান, নারীদের পুষ্টি ভাতা, লিগ্যাল সাপোর্ট, ব্লক-বাটিক, সেলাই, এমব্রয়ডারি, মোবাইল সার্ভিসিংসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শেষে মেশিন বিতরণ করা হবে। পাশাপাশি দুস্থ ও গর্ভবতী নারীদের ভাতা নিশ্চিত করা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাসেল খান বলেন, জেলে পরিবারের যারা চাষাবাদ করেন তাদের কৃষি উপকরণ, প্রশিক্ষণ ও হাতে-কলমে সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে।
সভায় জেলে পরিবারের নারী সদস্য, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মীসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার বাবুল হোসেন, ফাইনান্স অ্যান্ড অ্যাডমিন কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম এবং জলবায়ু অভিযোজন প্রযুক্তি ব্যবস্থাপক কংকেশুর।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মো. মিজানুর রহমান।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮