মোঃ রাকিবুল হাসান
শেরপুর প্রতিনিধি।।
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলায় প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোর চাষ হয়ে থাকে। এ বছর অরো বেশি জমিতে বোর চাষ করার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কৃষকের আর্থিক সংকট ও বোর চাষের খরচ দ্বিগুন হওয়ায় মহা বিপাকে পরেছে অত্র এলাকার দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা। বিগত বছরে প্রতি একর জমি চাষ করতে খরচ হতো ২২ হাজার থেকে ২৭ হাজার টাকা। আর এ বছর প্রতি একর জমিতে বোর চাষ করতে ব্যায় হচ্ছে ৪২ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ খরচ প্রতি একরে পূর্বের চেয়ে দ্বিগুন খরচ করতে হচ্ছে বোর চাষের জন্য। এতে কৃষকরা বোর চাষের খরচ ব্যায় ভার বহন করতে হিমসিম খাচ্ছে। দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের চলতি বোর মৌসুমের বোর চাষাবাদ করার অর্থ যোগান দিতে নিজের কাছে টাকা না থাকায় চড়া সুদে ঋণ নিচ্ছে। উল্লেখ্য অনেক কৃষক ব্যাংক গুলি থেকে ঋণ গ্রহন করেছে কিন্তু ঋণ পরিশোধ না করায় নতুন করে ব্যাংকে ঋণ পাওয়ারও কোন সুযোগ নেই। তাই সল্প সুদের কৃষি ঋণ ব্যাংক থেকে পাওয়ার সুযোগ নেই। তাই এখন কৃষকের ঋণ গ্রহনের সুযোগ রয়েছে দাদন ব্যাবসায়ি ও সুদখোর মহাজনদের কাছে থেকে চড়া সুদে ঋণ নেওয়া। আর এই ঋণ নিয়ে কৃষকরা বোর চাষ করলে যে লাভ হবে তার ২গুন থেকে ৩গুন লাভ দিতে হবে দাদন ব্যাবসায়ি ও সুদখোর মহাজনদের। তাই কৃষকদের বাচাতে এবং বোর ফসল উৎপাদনের জন্য ব্যাংক ঋণের টাকা পুনঃ তফসিলের মাধ্যমে কৃষকদেরকে কৃষি ঋণ সহায়তা দিলে হয়তো কৃষকরা চড়া সুদের সুদখোর মহাজনদের খপ্পর থেকে বাচতে পারে। প্রকাশ থাকে যে অনেক কৃষক কৃষি ঋণ নিয়েছে সময় মতো পরিশোধ না করায় খেলাপি ঋণের আওতায় পরেছে। যে কারনে অনেক কৃষক খেলাপি ঋণের কারনে ব্যাংক ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে পরেছে। এই সমস্ত কৃষকও ব্যাংক ঋণ সহায়তা পাবে না। এছাড়াও অনেক কৃষক স্বল্প জমির মালিক আবার অনেকেই আছে বর্গা চাষি এই সমস্ত কৃষকরা ব্যাংকে ঋণ সুবিধা পচ্ছে না। অনেক কৃষকের জমি আছে কিন্তু জমির কাগজ পত্রের ঝামেলা থাকায় তারাও ব্যাংক ঋণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ফলে অনেক কৃষক ব্যাংকের স্বল্প সুদের ঋণ সহায়তা পাচ্ছে না। বোর চাষ করতে হলে কৃষকদের উপায় এখন একটি চড়া সুদে সুদখোর মহাজনদের থেকে ঋণ নিয়ে বোর চাষ করা। উভয় সংকটে পরেছে চলতি মৌসুমের বোর চাষিরা। এক দিকে বোর চাষে খরচ বেড়ে হয়েছে দ্বিগুন আর হাতে টাকা না থাকায় ভেবে দিশকূল পাচ্ছে না বোর চাষিরা। তাই বোর উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয় এ জন্য কৃষকদের সুদখোর মহাজনদের খপ্পর থেকে বাচিয়ে চাষিদের উৎপাদনের সহায়তায় সহজ শর্তে বর্গা চাষি সল্প জমির প্রান্তিক চাষি ও খেলাপি ঋণ কৃষকদেরকে ঋণ সহায়তা দেওয়া জরুরি প্রয়োজন বলে বিজ্ঞমহল মনে করে। নচেৎ বোর উৎপাদনও হ্রাস পেতে পারে অথবা কৃষকরা সুদখোর মহাজনদের কাছে থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ঝিনাইগাতি উপজেলার অধিকাংশ লোক কৃষি ফসলের উপর নির্ভরশীল। তাই অত্র এলাকার লোকের আয়ের উৎস কৃষি ফসল। কৃষক বাচলে দেশ বাচবে। উৎপাদনের চাবি কাঠি দরিদ্র কৃষক ও প্রান্তিক চাষি। তাই অত্র ঝিনাইগাতি উপজেলার দরিদ্র কৃষক ও প্রান্তিক চাষি রক্ষা ও উৎপাদন ঠিক রাখতে হলে স্বল্প সুদে কৃষি ঋণ সহায়তার কোন বিকল্প নেই
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮