শওকত আলম, কক্সবাজার:
কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কের উত্তরণের সামনে যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম ও মোঃ ফারুককে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে।
গত ৯ ডিসেম্বর রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শহর যুবদলের সদস্য সাইফুল ইসলাম ও বাসটার্মিনাল যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফারুক মোটরসাইকেল যোগে কলাতলী থেকে বাসটার্মিনালের দিকে যাচ্ছিলেন। উত্তরণ আবাসিক এলাকায় পৌঁছালে একাধিক মোটরসাইকেলে আসা সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ সাইফুলকে ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালে এবং ফারুককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাস জানান, ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা ঘটনার পর থেকে পর্যটকের ছদ্মবেশে একটি রিসোর্টে আত্মগোপনে ছিল।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন দুই যুবক, বান্দরবানের লামা উপজেলা থেকে এই ঘটনার সাথে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গুলিবর্ষণের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন পূর্ব লারপাড়া এলাকার দুই যুবক মাসুদা হাসান বকুল (২০)মোঃ ওমর ফারুক প্রকাশ সাকিব (১৮)।
গ্রেফতারকৃত অন্যান্য আসামিরা হলেন, কামরুল ইসলাম বাবু (২৬),ইমরান উদ্দিন খোকা ওরফে আরিয়ান খোকা (২৫),আব্দুল কাইয়ুম (৩৩)।
কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের মাননীয় বিচারক আসাদ উদ্দিন আসিফ ধৃত আসামিদের জেল হাজতে ফেরেনের আদেশ দেন।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লামার মিরিঞ্জিরি এলাকার মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাস জানান, “গ্রেপ্তার সব আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও পেছনের মূল পরিকল্পনাকারীদের শনাক্তে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।”
এ ঘটনায় কক্সবাজার শহরজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক মহল দ্রুত বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮