প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২১, ২০২৪, ৮:৫৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪, ৭:৪৫ এ.এম
ঈদগাঁওতে মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলসহ হয়রানী বন্ধের লক্ষে ১১ দফা দাবী গ্রাহকদের।।
এম আবু হেনা সাগর
ঈদগাঁও -কক্সবাজার।।
কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি,ঈদগাঁও জোনাল অফিস কর্তৃক মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল ইস্যু এবং নানান বিষয়ে বিদ্যুৎ অফিসে হয়রানির প্রতিকার চেয়ে ১১ দফা দাবী দিল সাধারণ গ্রাহক সমাজ।
২৫ সেপ্টেম্বর সকালে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ঈদগাঁও জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনা রেল ম্যানেজার রাজন পাল বরাবরে এসব দাবী পেশ করা হয়েছে বলে জানালেন বিদ্যুৎ গ্রাহক- আন নূর একাডেমী শিক্ষক মোহাম্মদ ইসমাঈল।
দাবীনামা আবেদন সূত্রে জানা যায়- কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অন্তর্ভুক্ত ঈদগাঁও জোনাল অফিসের আবাসিক,বাণিজ্যিক,শিল্প,দাতব্য গ্রাহক হই। গত কয়েক মাসে আমরা পল্লী বিদ্যুৎ বিল দিতে গিয়ে চরম হতাশায় পড়ি। এমন সময় দেখা যায়, আমাদের প্রতিজনের মিটারে ৩থেকে ৭ গুণ পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার বেশি দেখানো হয়।
এছাড়া বিদ্যুৎ সেবা কেন্দ্রিক কোন সমস্যা হলে- সুষ্ঠু গ্রাহক সেবা পাওয়া যায়না। দালালের মাধ্যনে টাকার বিনিময়ে অল্প সময়ে সকল সেবা পাওয়া যায়।
এমতাবস্থায় গ্রাহক হিসেবে এসব ভোগান্তি এবং হয়রানির প্রতিকারের পাশাপাশি নিন্মোক্ত দাবী সমুহের সমাধানে আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।
১। মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল নিয়ে যেহেতু বেশি অভিযোগ। মিটার রিডারদের ইউনিট লিখে আনার কাজে ফাঁকি ও অলসতা। যার দরুণ বছরের বিভিন্ন সময়ে মাত্রাতিরিক্ত বিল ইস্যু করা হয়। কারণ-কয়েক মাস ফাঁকি দিয়ে যখন মিটার থেকে ইউনিট লিখে আনে, তখন ফাঁকি দেয়া সময়ের ইউনিট যুক্ত হয়ে বিশাল আকার ধারণ করে। ফলে মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল ইস্যু করা হয়। এতে উক্ত বিল পরিশোধে গ্রাহকেরা চরম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এসব সমস্যার সমাধান খুবই জরুরি। মিটার না দেখে কোন বিল করা যাবেনা ২। বর্তমান সময়ে সম্প্রতি শেষ হওয়া “গণঅভ্যুত্থান - ২০২৪” এর কারণে গত দুইমাসসহ একাধিক মাস বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে অনেকের। এর পাশাপাশি ভুতুড়ে বিলের কারণে অধিকাংশ গ্রাহক এসব অস্বাভাবিক-অতিরিক্ত বিল পরিশোধে অসমর্থ।
কোন গ্রাহক এসব বিল কিস্তি করে পরিশোধ করতে চাইলে, সেই সুযোগ গ্রাহককে দিতে হবে। অন্তত ২-৩ মাস সময় তাদের লাগতে পারে। যারা সময় নিয়ে বিল পরিশোধ করবেন- তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা যাবেনা ৩। বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত হলে যুক্তিসঙ্গত সময় দিয়ে মাইকিং করে লাইন বিচ্ছিন্ন করতে হবে। ৪। বিদ্যুৎ অফিসের সাথে সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাধ্যমে যেন কোন গ্রাহক হয়রানির শিকার না হয়- তা নিশ্চিত করতে হবে। ৫। বিদ্যুৎ বিল রেডি হওয়ার পর উপযুক্ত সময়ে গ্রাহকের হাতে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে। ৬। বিদ্যুৎ অফিসের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল দালাল চক্র এবং দুর্নীতি উৎখাত করতে হবে। ৭। বিদ্যুতের লাইনে কোন সমস্যা হলে (তার ছিড়া, খুঁটি পড়ে যাওয়া- ট্রান্সফর্মার নষ্ট হওয়া- অটো পড়ে যাওয়া ইত্যাদি- টাকা ছাড়া কোন সেবা দেওয়া হয় না। এসব বন্ধ করতে হবে ৮। বৈদ্যুতিক যেকোন সমস্যায় হাজার হাজার টাকার লেনদেন হলেও এসবের রসিদ পাওয়া যায় না। তাই প্রতিটি লেনদেনে রসিদ দিতে হবে।৯। অনেক সময় সামান্য কারণে বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎতের লাইন বন্ধ রাখা হয়। এসব করা যাবেনা ১০। সকল গ্রাহক থেকে প্রতিমাসে ডিমান্ড চার্জ নামে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়। এই চার্জ বন্ধ করা চাই ১১। প্রতি মাসে মিটার ভাড়া- ভ্যাট নামে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়। এসব বন্ধ করতে হবে।
এসব বিষয় সমাধানে তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ এবং আমাদের গ্রাহক পর্যায়ে ভোগান্তি দূর করে স্বস্তির আবহ তৈরি করার প্রতি আহবান জানান গ্রাহকরা। দাবী পেশ করা কালীনসময়ে গ্রাহক মোহা- ইসমাইল- তৌহিদুর রহমান ও নাসিরসহ অসংখ্য গ্রাহকরা উপস্থিত ছিলেন।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২