ইবি প্রতিনিধি।।
মালি নিয়োগ নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের মোবাইল নাম্বার সম্বলিত হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের একাধিক স্ক্রিনশট ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় ইবি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি। গত সোমবার উপ-উপাচার্যের পক্ষে তার একান্ত সচিব সোহেল রানা এ জিডি (জিডি নং: ৪৪৪) করেন। ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন রহমান তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
জিডিতে বলা হয়, গত ১০মার্চ রাত ১১টায় ইবি ভাইরাল নিউজ নামক অজ্ঞাতনামা ফেসবুক আইডি থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপ-উপাচার্যকে জড়িয়ে (মালী নিয়োগ নিয়ে প্রো ভিসি খাম্বা মাহবুবুর রহমানের সাথে তার ঘনিষ্ট চন্দনের কথোপকথন ফাঁস। রশিদের চাকুরি শিওর করেছেন প্রো-ভিসি খাম্বা মাহবুব-শীর্ষক) একটি মিথ্যা স্ট্যাটাস দেয়। উক্ত বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখতে পেয়ে অজ্ঞাতনামা ফেসবুক আইডির সম্পর্কে এবং এরূপ মিথ্যা স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। এমতাবস্থায় উপরোক্ত বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য সাধারন ডাইরীভুক্ত করিয়া রাখা একান্ত প্রয়োজন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাতে উপ-উপাচার্যের মোবাইল নাম্বার (০১৭১১০০৭১৯২) সম্বলিত হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের তিনটি স্ক্রিনশট সংযুক্ত করে পোস্টটি করা হয়। স্ক্রিনশটগুলো রশিদ নামে এক নিয়োগপ্রার্থীকে মালি পদে নিয়োগ দিতে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার চন্দন কুমার দাসের সাথে উপ-উপাচার্যের কথোপকথন বলে পোস্টের ক্যাপশনে উল্লেখ করা হয়। ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটগলোতে দেখা যায় নিয়োগের বিষয়ে আপডেট জানতে চেয়ে উপ-উপাচার্যকে মেসেজ দেওয়া হয়। তখন উপ-উপাচার্য তাকে চন্দন বলে সম্বোধন করে এ বিষয়ে পরবর্তীতে জানাবেন বলে জানান। তখন প্রতিউত্তরে চন্দন লিখেন ‘ওকে স্যার, আই এম ওয়েইটিং ইউর কনফার্মেশন। স্যার রশিদ আমার কাছে ৮ দিয়ে গেছে। প্লিজ একটু দেখেন স্যার।’ তখন উপ-উপাচার্য তার সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন বলে মেসেজ দেন। এর প্রায় আড়াই ঘন্টা পর রশিদের চাকরি নিশ্চিতের কথা জানিয়ে পুনরায় চন্দনকে মেসেজে লিখেন ‘রশিদ ডান। ডোন্ট ওরি। ভিসি প্রবলেম করতেছিলো। বাট এভরিথিং ওকে নাও।’ এছাড়াও অর্থের পরিমাণ বাড়াতে রশিদকে বলার জন্য চন্দনকে মেসেজ দেন তিনি। এবং বাড়ানোর বিষয়টা খেয়াল রাখতে পরবর্তীতে আবারও মেসেজ দেওয়া হয়। জবাবে চন্দন লিখেন, ‘আমি বলেছি স্যার। আফটার জয়েনিং ২ দিতে চেয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চন্দন কুমার দাস বলেন, স্ক্রিনশটগুলো আমি দেখেছি। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক। এ বিষয়ে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আশা করছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভালোভাবে বিষয়টি বিশ্লেষণ করে একটি সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাবে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, এ নিয়ে ইতোমধ্যে থানায় জিডি করা হয়েছে। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮