প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২০, ২০২৫, ৬:৫৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ১৯, ২০২৫, ৭:৫৬ পি.এম
ইবিতে মেসে শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগ- তদন্তে প্রশাসন

আসাদ উল্লাহ, ইবি প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অলিক কুমার শিকদারকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে আইসিটি বিভাগের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। যদিও অভিযুক্তরা এ অভিযোগ অস্বীকার করে একে 'অপপ্রচার' হিসেবে দাবি করেছেন। এ ঘটনায় সোমবার (১৯ মে) ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযোগপত্রে অলিক উল্লেখ করেন, গত শনিবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী হোয়াইট হাউজ মেসে সিট-সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার জন্য তাকে ৩০২ নম্বর কক্ষে ডেকে পাঠান আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী সোলাইমান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তালাস (আইসিটি), রোমান (সমাজকল্যাণ বিভাগ) এবং আরও ৭-৮ জন অজ্ঞাত শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে, পূর্বের কিছু মতবিরোধকে কেন্দ্র করে তারা মানসিক চাপ সৃষ্টি করেন এবং মারধরের হুমকি দেন। একপর্যায়ে তাকে মেস থেকে বের করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। অসুস্থবোধ করলে রুম থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়, ফলে অতিরিক্ত মানসিক চাপে তিনি জ্ঞান হারান। জ্ঞান ফিরে তিনি নিজেকে ইবি চিকিৎসা কেন্দ্রে দেখতে পান এবং প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রুমে ফেরেন।
পরদিন রোববার সকালে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন ও জ্ঞান হারান। পরে তাকে ইবি চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কিছুটা সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
অলিক অভিযোগ করেন, নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কের কারণে তিনি ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন না।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মেস পরিচালক ও আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী সোলাইমান হোসেন বলেন, “ভুক্তভোগী সিট-সংক্রান্ত কিছু অভিযোগ করেছিল। তাকে ডেকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চেয়েছিলাম। তর্কাতর্কি হলেও শারীরিক কিছু ঘটেনি। পরে শুনেছি তার প্যানিক অ্যাটাক হয়েছে। সিট-সংক্রান্ত ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এমন প্রচারণা চালানো হচ্ছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, “ঘটনাটি তদন্তাধীন। প্রক্টরিয়াল বডি বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, কোড নাম্বারঃ ৯২