মাকসুদুল হোসেন তুষার,
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে যারা টাকা লুটপাট করছে এই মানুষগুলিও শিক্ষিত ছিল। বুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়া।অনেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপিও ছিল। অনেকেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছে। বিদেশে লেখাপড়া করেছে। কিন্তু দুর্নীতির দায়ে তারা অভিযুক্ত হয়েছে। এদেশের মানুষের কোটি কোটি টাকা তারা লুণ্ঠন করেছে। যে টাকা লুটপাট করেছে তা দিয়ে বাংলাদেশের ৮ বছরের বাজেট হয়ে যেত। ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে আট বছরের বাজেটের সমপরিমাণ টাকা তারা লুটপাট করেছে।
শনিবার ( ২২ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার মুড়াপাড়া সরকারি কলেজ অডিটোরিয়ামে ছাত্রশিবির আয়োজিত কেরিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রামে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন,অথচ এই টাকা যদি এ দেশে ইনভেস্ট করা হতো ইকোনোমিক জোন তৈরি করা হতো। তাহলে যুবক শ্রেণীর মধ্যে চাকরি নিয়ে আর এত হাহাকার তৈরি হতো না। দক্ষ শ্রমিক তৈরি করে আমরা তাদের বিদেশে পাঠিয়ে দিয়ে কোটি কোটি টাকা রেমিটেন্স আয় করতে পারতাম। দেশটা স্বনির্ভরশীল আত্মপ্রত্যয় একটি উন্নত দেশে পরিণত হতো। আমাদেরকে চরিত্রের এই জায়গায় নো কমপোমাইজিং নীতিতে আসতে হবে জীবনে এই কথা মনে রাখবেন।
তিনি বলেন,প্রিয় বন্ধুরা আমি আপনাদেরকে আহ্বান জানাই। তরুণদেরকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে হবে এজন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জিরো টরেন্ট নীতি গ্রহণ করতে হবে। আমরা আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলবো প্রত্যেকেই প্রত্যেকেই দাসত্বের জীবন থেকে বের হয়ে একেকজন আত্মপ্রত্যয়ী স্বনির্ভর সীল মানুষ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
কলেজ তত্বাবধায়ক ইমরান হাসান তুহিনের সঞ্চালনায় ও জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি হাফিজুর রহমান,
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান, নিউরোলজি ডা. রাশেদুন্নবী খান, এডভোকেট ইসরাফিল হোসাইন, জ্বালা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি হাসিবুল ইসলাম সিফাত
প্রমুখ।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮