সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি।।
অসময়ে নদী ভাঙন নাকাল করেছে চরবাসিকে। অব্যাহত ভাঙনে যেন দিশাহারা হয়ে পড়েছে তিস্তা পাড়ের মানুষজন। তিস্তার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ ফসলি জমি। উপজেলার হরিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নের উজানের বিভিন্ন চরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। আর কয়েক দিন পর কৃষকরা আমনধান কেটে ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু বিধীবাম, সে ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে না।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে তিস্তা নদী। গত ৩ বছর ধরে গোটা বছর নদী ভাঙছে। যা এর আগে কখনো হয়নি। বিশেষ করে উপজেলার চরচরিতাবাড়ি, চর মাদারীপাড়া, মাদারী পাড়া, কাশিমবাজার, লালচামার, কেরানির চর, ফকিরের চর, কালাইসোতার চর এলাকায় তীব্র আকার ভাঙন দেখা দিয়েছে।
গত ১০দিনের ব্যবধানে ২০টি পরিবারের বসতভিটা, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। চরমাদারী পাড়া গ্রামের আকবর আলী জানান, এর আগে আশ্বিন-কাতির্ক মাসে কখনো নদী ভাঙতে দেখি নাই। গত ৩ বছর ধরে তা হচ্ছে। অসময়ে নদী ভাঙন চরবাসির জন্য অত্যন্ত ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, বেশ কয়েকটি চওে নদী ভাঙন এখনও চলছে। আধা-পাকা ফসল এবং তরিতরকারির আবাদসহ নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে শতাধিক একর জমি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তরায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, কিছু এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮