প্রিন্ট এর তারিখঃ অগাস্ট ২৯, ২০২৫, ৪:৩৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ২৫, ২০২৫, ৭:১৯ পি.এম
অফিস আদেশ অমান্য করে নিজ কর্মস্থলে ফিরছেন না সহকারী শিক্ষিকা ফারজানা

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী সংযুক্তি বা ডেপুটেশনের মেয়াদ সর্বোচ্চ এক বছর হলেও ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা সদরের ২৩ নং মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা উম্মে ফারজানা প্রায় দুই বছর ধরে ৩০ নং রাজাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংযুক্ত থেকে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এ নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গত ১১ আগস্ট ফারজানার সংযুক্তি বাতিল করে নিজ বিদ্যালয়ে যোগদানের নির্দেশ দিয়ে অফিস আদেশ জারি করেন। তবে আদেশ পাওয়ার পরও তিনি মূল কর্মস্থলে যোগ দেননি।
জানা গেছে, ২০২৩ সালে মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হজ পালন করতে সৌদি আরবে গেলে সেই সুযোগে ফারজানা তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের সহযোগিতায় সংযুক্তির কাগজপত্র জমা দেন। অভিযোগ রয়েছে, প্রধান শিক্ষিকার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে তিনি অবৈধভাবে সংযুক্তির ব্যবস্থা করেন। অথচ ৩০ নং রাজাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত চারজন শিক্ষক রয়েছেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সহকর্মী বলেন, সংযুক্তি অনুমোদনের এখতিয়ার একমাত্র মহাপরিচালকের কার্যালয়ের। অথচ তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান নিজ স্বাক্ষরে একটি আদেশ জারি করে ফারজানাকে সংযুক্ত করেন, যা ছিল সম্পূর্ণ অবৈধ। পরে ২০২৪ সালের ১৬ মে মহাপরিচালক থেকে এক বছরের জন্য নতুন করে সংযুক্তি আদেশ আনা হলেও সেই মেয়াদও গত ১৫ মে শেষ হয়ে গেছে। এরপরও ফারজানা নিজ বিদ্যালয়ে না গিয়ে সংযুক্ত বিদ্যালয়েই থেকে গেছেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৫ জানুয়ারি ২০২৫-এর পরিপত্রে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এক বছরের বেশি সংযুক্তি বৈধ নয় এবং মেয়াদ শেষ হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে মূল বিদ্যালয়ে যোগ দিতে হবে। কিন্তু তিন মাস পার হলেও ফারজানা নির্দেশ অমান্য করছেন।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষিকা উম্মে ফারজানা বলেন, “আমাকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ (ডিজি স্যার) মৌখিকভাবে এখানে (৩০ নং রাজাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) থাকতে বলেছেন। তাই আমি এখানেই ক্লাস নিচ্ছি।”
রাজাপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আকতার হোসেন বলেন, “জেলা শিক্ষা অফিস থেকে আদেশ পাওয়ার পর তা ফারজানার কাছে পৌঁছে দিয়েছি। তবে পরবর্তীতে উপরের মৌখিক নির্দেশনার কারণে তাকেই সংযুক্ত বিদ্যালয়ে থাকতে বলা হয়েছে। আশা করছি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টির সমাধান হবে।”
এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, অফিস আদেশ অমান্য করে এভাবে সংযুক্তি বিদ্যালয়ে থেকে যাওয়া শিক্ষা ব্যবস্থার শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ মোল্লা ব্রিজ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। মোবাইলঃ ০১৯১৮-৪০৪৭৬০, বিজ্ঞাপনঃ ০১৭৩৩-৩৬১১৪৮
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, কোড নাম্বারঃ ৯২