মোরেলগঞ্জ(বাগেরহাট) প্রতিনিধি।।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থেকে বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি নুসরাত জাহান(২০) নামে এক তরুনী। ২০২২ সালের জুলাই মাসে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চিপা বারইখালী গ্রামের মহিউদ্দিন হাওলাদারের মেয়ে নুসরাতকে এক লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্যে ঝালকাঠিতে বসে বিয়ে দেয়া হয় রাজাপুর উপজেলার কেওতা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে তরিকুল ইসলামে ওরফে জুবায়ের এর(৩১) সাথে। বিয়ের ১৬দিন পরে নুসরাতকে বরযাত্রীসহকারে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নিয়ে যায় তার স্বামী ও শ্বশুর। এরপর থেকেই নুসরাত নিখোঁজ।
নুসরাতের বাবা মহিউদ্দিন হাওলাদার জানান, ঝালকাঠির একটি মাদরাসায় চুক্তিভিত্তিক চাকুরির সুবাদে একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সহকর্মীর মাধ্যমে পরিচয় হয় কেওতা গ্রামের ইসমাইল হোসেন ও তার ছেলে তরিকুল জুবায়েরের সাথে। এ পরিচয়ের সূত্র ধরে বাবা-ছেলে মোরেলগঞ্জে মহিউদ্দিনের বাড়িতে যায় এবং তার মেয়ে নুসরাতকে তরিকুলের সাথে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। পরে মুসলিম শরীয়া ও কাবিন রেজিঃমূলে ঝালকাঠি পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাজি মো. নুরুজ্জামানের অফিসে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের ১৬দিন পরে নুসরাতকে কেওতা গ্রামের স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যায় স্বামী পক্ষের লোকেরা। ওই সময় নুসরাতের সাথে তার শশুর বাড়িতে য়ায় ছোট বোন মাফুজা আক্তার(১৫) ও বড় ভগ্নিপতি মামুন শিকদার(৩০)। পরদিন মাফুজা ও মামুনকে মোরেলগঞ্জে ফেরত পাঠিয়ে দেয় নুসরাতের স্বামী ও শ্বশুর। এর পর থেকেই নুসরাত নিখোঁজ ।
মেয়ের সন্ধান পেতে আইনের আশ্রয় নেন মহিউদ্দিন হাওলাদার। ঝালকাঠির বিজ্ঞ মানব পাঁচার দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তভার পড়ে পিবিআই’র ওপর। তারা নুসরাতের কোন সন্ধান করতে পারেনি। তবে তারা আদালতে রিপোর্ট দাখিল করে। বাদী মহিউদ্দিন তাতে নারাজি দেন। পরে আবার বিজ্ঞ আদালত মামলার তদন্তভার দেন ঝালকাঠি থানার ওপর।
২৪ মার্চ শুক্রবার মুঠোফোনে কথা হয় মামলাটির বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা ঝালকাঠি থানার এসআই গোবিন্দ মন্ডলের সঙ্গে। মামলাটির তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি ।
এদিকে মেয়ের সন্ধান পেতে গণমাধ্যম কর্মীদের দারস্থ হয়েছেন মহিউদ্দিন হাওলাদার। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোরেলগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এসময় তার স্ত্রী মানসুরা বেগম ও অপর ৩ শিশু সন্তান উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে মহিউদ্দিন হাওলাদার ও তার স্ত্রী তাদের মেয়ে নুসরাতকে ফিরে পেতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।