
গোপালগঞ্জ।।
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের খেলাধূলার পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকায় খেলাধূলা করতে পারেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
১২ হাজার শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একটি মাত্র মাঠ। একটিমাত্র মাঠ থাকলেও সংস্করণের কোনো উদ্যোগ নেই। মাঠের পাশে বসার কোনো ব্যবস্থা নেই, একই মাঠে খেলতে হয় ক্রিকেট ফুটবল, নেই ব্যাডমিন্টনের মাঠ, নেই ভলি বলের মাঠ। এছাড়াও নেই খেলার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। এমনি অসংখ্য অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন,আমাদের পর্যান্ত পরিমাণে মাঠ নেই, এক মাঠে ক্রিকেট ফুটবল দুটাই হয়,ফুটবল খেললে ক্রিকেটাররা দাঁড়িয়ে থাকে,ক্রিকেট খেললে ফুটবলাররা দাঁড়িয়ে থাকে। যে প্লেয়ার বালুর ভিতরে খেলাধূলা করে সে কনক্রিটে ভালো করবে কি করে এটা আমার বোধগম্য নয়। প্রতি সেমিস্টারে ক্রিয়া ফি নামে যে ফি আমরা দিয়ে থাকি সে ফি গুলা যায় কোথায়,শুধু ক্রিয়া ফি না বাইরে থেকে স্পোর্টসের জন্য একটা বাজেট আসে। খেলাধূলার পর্যাপ্ত সরঞ্জাম না থাকায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা অনেকটা পিছিয়ে আছি। ক্রিয়াপ্রেমিরা এতোটায় অবহেলিত হয়ে আছি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন আমরা খেলতে যায় তখন আমাদের আপসোস হয়। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি দুটা ব্যাডমিন্টন কোর্ট পাকা করে দিতে হবে সেন্টালি সেটা থাকবে, ক্রিকেট মাঠে দুটা কনক্রিটের পিচ করে দিতে হবে। ভলি বলের পর্যান্ত পরিমাণ সুযোগ সুবিধা করে দিতে হবে এবং খেলাধূলার পর্যাপ্ত সরঞ্জাম দিতে হবে।
ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এর শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন বলেন, একটা ভার্সিটিকে রিপ্রেজেনটেটিভ কি শুধু শিক্ষা দিয়েই সম্ভব ক্রিড়া দিয়ে কি সম্ভব না? যখন আমরা খেলা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপ্রেজেন্ট করবো তার আগে আমাদের সেই সকল খেলাধূলার পর্যান্ত সরঞ্জাম দরকার। কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজনে জন্য আমরা দরখাস্ত করি,সব কিছু আমাদের আয়োজন করতে হয়,তাহলে ক্রিয়া কমিটির কাজ কি?? তাদের কাছে গিয়ে কেনো আমাদের দাবিদাবা তুলে ধরতে হবে ? এটা আমার বোধগম্য নয়।
এবিষয়ে ক্রীড়াকমিটির সদস্য সচিব বাবুল মন্ডল বলেন,’এক বছরে আমরা কি কি খেলা করতে পারি সে বিষয়ে আমরা একটা পরিকল্পনা করেছি। সেই অনুপাতে একটা নোটিশ প্রতিটা বিভাগের দিয়ে দিছি। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে আমাদের মাঠের সল্পতা আছে। মাঠটা সংস্কার করা না হলে আমিও ঐভাবে কাজ করতে পারছি না, ভিসি স্যারের সাথে কথা হয়েছে, দ্রুত মাঠটা সংস্কার করা হবে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় চাহিদা অনুযায়ী সম্পদ থাকতে হবে। আমাদের যেভাবে বাজেট দেন ওর ভিতর দিয়ে আমাদের চলতে হয়।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সম্পর্কে ক্রিড়া কমিটির আহবায়ক ড.মো: শাহাজাহান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি লিখিত অভিযোগ দিলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিবো।’