হযরত বেল্লাল,
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি।।
বৈরি আবহাওয়ার মাঝে সকালে সূর্য্যের আলো দেখা দেয়ার আগে শীতের শিশির কণা হাতছানী দিচ্ছে প্রকৃতির গাঁয়ে। আর সেই শীতের শিশির কণাকে স্বাগত জানাতে সুদুর সাইব্রেরিয়া থেকে তিস্তার চরাঞ্চলে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখি। গত শুক্রবার হতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পৌর শহরেরসহ তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার পাড়ের ধারে বড় বড় গাছের মধ্যে লক্ষ করা গেছে অতিথি পাখির আনাগোনা। ঝাকে ঝাকে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। আগাম পাখির আনাগোনা দেখা দেয়ায় অনেক অসাধু পাখি প্রেমীরা অবৈধভাবে পাখি শিকারের আশায় মনভরা আশা নিয়ে ছুটোছুটি করছে এদিক সেদিক। উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের লালচামার গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, গত কয়েক বছর ধরে অতিথি পাখি দেখা যায়নি। চলতি মৌসুমে গত এক সপ্তাহ হতে বেশ কিছু এলাকায় বড় বড় গাছের মধ্যে পাখি বসতে শুরু করেছে। তিনি শিকারির যদি এখনেই শিকার শুরু করে তাহলে হয়তো পাখিগুলো অন্যত্র চলে যাবে। সে কারণে পাখি শিকার বন্ধের ব্যবস্থা করতে হবে। লাইসেন্সধারী বন্দুক মালিক ও পাখি শিকারি মমতাজ আলী সরকার জানান, এখন আর পাখি পাওয়া যায় না। সামান্য পাখির জন্য বন্দুকের কার্টিজ নষ্ট করার মানষিকতা আর নাই। তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, শীতের ছোঁয়ায় অতিথি পাখির আগমন আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়। সে কারণে আমি মনে করি পাখি শিকার না করে তাদের অভাশ্রমের ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে অতিথি পাখির সাথে পরিচয় ঘটিয়ে দিতে হবে। উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডাক্তার বেরা বেগম জানান, প্রতি বছরের ন্যায় চলতি মৌসুমে অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। পাখি শিকার করা অপরাধ, সে কারণে পাখি শিকার করা যাবে না। অতিথি পাখিদেরকে আগলে রাখতে হবে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, যদি কেউ অতিথি পাখি শিকার করে ,তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।