চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি।।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়-ভোলাহাট থানার ওসি মাহাবুবুর রহমানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ও মানবেতর জীবনযাপন করছিলো ভোলাহাট উপজেলাবাসী। ওসি মাহাবুবুর রহমান -বিপি নং ৮০০৬১০৪৫২৩- ২০২০ সালে যোগদান করার পরপরই ঘুষের বাণিজ্য নিয়ে গড়ে তুলেছিল সম্রাজ্য। যাকেই ইচ্ছে হত তাকেই পুলিশ পাঠিয়ে ধরে আনতো। এখানেই শেষ নয় মারধর ও আটক রেখে মোটা অংকের টাকার প্রস্তাব দিতো তার পরিবারের লোকজনকে।
ওসির কাছে টাকা না পৌঁছালে দেওয়া হত- মাদক- সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলা। আর এতে এলাকার সহজ সরল নিরহ মানুষসহ লেখাপড়া করা শিক্ষার্থীরাও পড়েছে তার কবলে। এছাড়াও ওসি মাহাবুবুর রহমান ওই উপজেলার বিভিন্ন মাদক কারবারির কাছে মাসিক কর আদায় করতো। এমনকি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে-ওসি নিজে দাঁড়িয়ে থেকেও পার করিয়েছে মাদক। তার নির্দেশনায় বসতো জুয়া’র আসর- শুধু তাই নয়-অটো- সিএনজি- ইট ভাটা- ভাংড়ি দোকানসহ তুলা হতো মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের মাসিক চাঁদা।
তার এসব কুকর্মের ঘটনাকে ঘিরে গোয়েন্দাকে তথ্য দিতো ভোলাহাট উপজেলা-ফুটানি বাজার-চামুশা গ্রামের মোজাম্মেল হক -টুনুর ছেলে মোঃ ইয়াকুব আলী -২৭-। তার সাথে ঘটেছে থানার মূল ফটকের সামনে এলোপাথাড়ি মারধরের ঘটনা- এসময় থানার ওসিসহ তাদের নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে এক পথচারি।
এবিষয়ে- বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ জানান ভুক্তভোগী ইয়াকুব আলী। কিন্তু এ অভিযোগে কোন সুরাহা পাননি তিনি বরং অভিযোগের খেসারত হিসাবে ইয়াকুবকে বারবার মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে ওসি মাহাবুবুর রহমান শুধু তাই নয় রাতের অন্ধকারে ইয়াকুবের বাড়ি ঘিরে পুলিশি নির্যাতনসহ আসবাবপত্র ভাঙচুরের মত তান্ডব চালিয়েছে বারবার। ওসির সমস্ত কুকর্মের ভাগিদার ছিলেন একজন সাংবাদিক যাকে দিয়ে মিথ্যা নিউজ করাতেন ওসি মাহবুবুর রহমান মোঃ ইয়াকুব আলীর নামেও মিথ্যা আজগুবি নিউজ করিয়েছিলেন। তবে মিথ্যা মামলার বিষয়ে টেরপাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ- ভোলাহাট আমলি আদালতের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক হুমায়ুন কবির। ম্যাজিস্ট্রেট বিচারকদের আওতাধীন তিনটি মামলায় বেখুসুল খালাস পায় ভুক্তভোগী ইয়াকুব আলী ও তার পরিবার এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দুটি মামলা চলোমান। প্রতিকার চেয়ে বারবার ইয়াকুব আলি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ হেডকোয়ার্টারে-ডাক বিভাগের মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েও কোনো সুরাহা পাননি বরং আতঙ্কের মধ্যে প্রত্যেকটি দিন পার করছে ইয়াকুব আলী ও তার পুলিশের হাতে নির্যাতিত পরিবার। মোঃ ইয়াকুব আলীর লাইফ শেষ করে দিয়েছে ওসি মাহাবুবুর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য- শুধু তাই নয় মোঃ ইয়াকুব আলীসহ তার পরিবারের সদস্যদের যেকোনো পরিস্থিতি তৈরি করে বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দিচ্ছে পুলিশ বারবার তাই এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে এবং ন্যায় বিচার চেয়ে ভুক্তভোগীসহ তার পরিবারের লোকজন এবং এলাকাবাসী মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টাগনদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।