
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট
অস্বচ্ছল ও অসহায় হওয়ায় পরিবারটি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে- এমন আশঙ্কা অনেকের। ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ইংরেজি বিকাল তিন ঘটিকায় সিলেট জেলা পরিষদের সামনে সচেতন মহলের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক আরিয়ান আহমেদ এর সঞ্চালনায়, নিহত আরিফের মা আখি বেগমপর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা সিলেট জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী ওবায়দুর রহমান। আল ইসলাহ একতা কল্যাণ সংস্থার আহ্বায়ক মোঃ হেলু আহমদ। জোনাকি সামাজিক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মোঃ জালাল উদ্দিন,
বৃহত্তর বালুচর শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা ও সমাজ কল্যাণ সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাছুমুর রহমান।
টিকাদার আব্দুর রহিম মিয়া, মোছাঃ মনোয়ারা বেগম, মোছাঃ ফুলেছা বেগম, শাহানা আক্তার সীমা, ফরহাদ আহমদ, সজিব আহমদ, শাকিল আহমদ,সহ সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন যে, একটি গরীব অসহায় পরিবারের সন্তান ও সরকারি কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী আরিফকে নৃশংসভাবে নিপু তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা যেভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে, সেরকম ভাবে কোন হিংস্র প্রাণীকেও হত্যা করেনা মানুষ, দীর্ঘদিন পার হয়েছে আরিফ হত্যার মামলার বিচারিক কার্যক্রমে, এদিকে হিরন মাহমুদ নিপু ও তার সহযোগীরা লোক মারফতে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য ,।
মামলায় চার্জশিট থেকে নিপুর নাম বাদ দেওয়ার জন্য চলছেনানান তালবাহানা।
আরিফ হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তে দ্রুত চার্জশিট গঠন করে খুনিদের ফাঁসির দাবি জানান বক্তারা।
উল্লেখ্য – নিহত আরিফ নগরের টিভি গেইট এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে।
২১ নভেম্বর ২০২৩ ইংরেজি সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে গেলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আরিফকে ফেলে যায় হিরন মাহমুদ নিপু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা,। ঘটনাস্থলে ছুটে যান আরিফের মা আখি বেগম, স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে রাত ১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকেরা জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে আরিফ মারা যান।