
মামুন মিঞা ফরিদপুর,
ফরিদপুরের সদরপুরে স্ত্রীর যৌতুক ও নির্যাতন মামলায় নাসির উদ্দিন প্রিন্স নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে আটক করেছে সদরপুর থানা পুলিশ।
শুক্ররাব(২০জুন) গভির রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব শ্যামপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। নাসির উদ্দিন প্রিন্স উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব শ্যামপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের পুত্র।
তিনি উপজেলার ভাষাণচর ইউনিয়নের হাওলাদার ডাঙ্গী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
সকালে নাসির উদ্দিন প্রিন্সের বিরুদ্ধে থানায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ দিয়ে মামলা করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সামছুন্নাহার ইলা। মামলায় নাসির উদ্দিন এর মাতা অর্থাৎ তার শাশুড়ি নাজমা বেগমকেও আসামী করা হয়েছে।
সামছুন্নাহার ইলা অত্র উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের চরডুবাইল গ্রামের মোঃ ইস্কান্দার আলীর মেয়ে ও চর নাছিরপুর ইউনিয়নের জালালপুর কোহিনূর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক নাসির উদ্দিন প্রিন্সের সঙ্গে মাত্র ২ মাস আগে সামছুন্নাহার ইলার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী নাসির উদ্দিন প্রিন্স অন্য এক হিন্দু মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক জানতে পারে স্ত্রী সামছুন্নাহার ইলা।
এ সম্পর্কে বাঁধা দিলে শিক্ষক নাসির উদ্দিন প্রিন্স তাকে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করতে থাকে এবং মোটা অংকের যৌতুক দাবি করেন । এ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সামছুন্নাহার ইলাকে মারধর করা হয়। সর্বশেষ গত ২১ এপ্রিল অনুমান রাত ২ টায় নাসির উদ্দিন প্রিন্স তাকে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করিয়ে গলা চাপিয়া ধরিয়া শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন।
সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাজমুল হাসান জানান, শিক্ষিকা সামছুন্নাহার ইলা বাদী হয়ে তার স্বামী নাসির উদ্দিন প্রিন্সের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে গতকাল ১৯ জুন শুক্রবার মামলা দায়ের করেন। সে রাতেই উপজেলার পূর্ব শ্যামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাসির উদ্দিন প্রিন্স কে আটক করা হয়েছে। যেহেতু তাহারা স্বামী-স্ত্রী উভয়ই শিক্ষক তাই আমি প্রাথমিক ভাবে তাদেরকে আপোষ হওয়ার জন্য অনুরোধ করি কিন্তু স্বামী নাসির উদ্দিন প্রিন্স কোনভাবে আপোষ হবে না বলে জানায় বিধায় আজ ২১ জুন এজাহার ভুক্ত করে আসামিকে বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।