মোঃ মিন্টু মিয়া
বিশেষ প্রতিনিধি।।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশ ফেডারেশন সাংবাদিক ইউনিয়নের -বি এফ ইউজে- সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেছেন ষড়যন্ত্র করে গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে পারবেন না। ষড়যন্ত্র করে মানবিক মূল্যবোধককে নষ্ট করতে পারবেন না ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে সেই বাংলাদেশকে কলুষিত করার ক্ষমতা আপনার নেই।
শনিবার ৩১ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী সব কালাকানুন বাতিল সাগর রুনির সহ সব সাংবাদিকদের হত্যার বিচার ও সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএফ ইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন ভেবেছিলাম ফ্যাসিবাদ পতনের পর কোন দাবি দাওয়ার জন্য রাজপথে নামতে হবে না। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে সাগর রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে। সাগর রুনির হত্যা বিচার চাইতে হবে কেন এটা নিয়ে এত তালবাহানা কেন আপনারা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন নাই তা আমাদের কাছে বৈধ গম্য নয়।
বিএফ ইউজের এই সভাপতি বলেন আমাদের আন্দোলনকে আরও তীব্র থেকে তীব্রতর করতে হবে সাংবাদিকদের সমস্ত প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকদের নিয়োগ দিতে হবে সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠানে কোন ভাড়া করা নিয়োগ আমরা মানবো না।
রুহুল আমিন গাজী বলেন কিছু সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে আমরা এটা ঘৃণা ও প্রতিবাদ করি। হাতা মামলা দায়ের করতে হলে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে শুধু শুধু একজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা আমরা ঠিক মনে করছি না যার যেটুকু অপরাধ তার শুধু সেটুকু শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু হত্যা মামলার মত মামলা দায়ের করতে হলে আপনাকে যথাযত প্রমাণ উপস্থাপন করে মামলা করতে হবে বিএফ ইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন সাংবাদিক দম্পতি সাগর রুনির হত্যার ১২ বছর হয়ে গেছে কিন্তু আমরা কোন বিচার পাইনি যেহেতু ফ্যাসিবাদ
মুক্ত হয়েছে তাই বর্তমান সরকারকে বলতে চাই অবিলম্বে সাগর রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে কারণ এই হত্যাকাণ্ডের ফ্যাসিবাদী সরকার জড়িত ছিল পাশাপাশি সাংবাদিকদের কন্ঠ বন্ধ করার জন্য যত কলা কৌশল দেওয়া হয়েছিল। এসব বাতিল করতে হবে আমরা যেমন সাংবাদিক সুরক্ষা আইন চাই ঠিক একইভাবে আর কোন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে যেন কোন সাংবাদিক আহত না হয় সেটাও চাই।
ত্যাগী সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে সাংবাদিক সমাজকে কলুষিত করা হচ্ছে উল্লেখ্য করে বিএফইউজের এই মহাসচিব বলেন ফ্যাসিবাদের পতনের আগেও রাস্তা থেকে গুলির সামনে দাঁড়িয়ে আমরা সমাবেশ করেছি তখন বলেছিলাম ছাত্রদের উপর গুলি বন্ধ কর না হয় আমাদের উপর গুলি কর কোনদিন সাংবাদিকতা করতে গিয়েও কারো অফিসে এক কাপ চাও খাইনি শুধু মাত্র সাংবাদিকরা করেছি সত্যের পেছনে ছুটেছি। রাজনৈতিক দলের প্রতি সমর্থন করলেও কোনদিন দল দাসের মতো কাজ করিনি তারপরও কিছু লোক আছে ত্যাগী সাংবাদিকদের সাথে করেছে একটি পত্রিকা আমার নামে বড় করে পত্রিকার প্রথম পাতায় লিখেছে আমি নাকি চাঁদাবাজি করি।
কাদের গনি চৌধুরী আরো বলেন -এতকিছু করার পরও এমন খবর শুনলে কষ্ট লাগে আমার বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ যাচাই করে প্রমাণ করা যায় তাহলে নাকে খত দিয়ে দেশ থেকে চলে যাব।
সমাবেশে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার -বাসস- প্রধান প্রতিবেদক মোরসালিন নোমানী বলেন আমি তিনটি বিষয়ে কথা বলতে চাই প্রথমটি হচ্ছে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড এই হত্যাকাণ্ডের ১২ বছরের বেশি সময় পার হয়েছে হত্যাকাণ্ডের সময় বলা হয়েছিল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের ধরা হবে কিন্তু এতদিনও তা ধরা হয়নি। আমার দাবি হচ্ছে -সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সময় তৎকালীন যে পুলিশ প্রধান ছিল তাকে গ্রেফতার করা হোক দ্বিতীয়টি হচ্ছে স্বৈরাচার সরকারের পতনের সময় যে চারজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে আর এই তৃতীয়টি হচ্ছে ১৬ বছর যখন ফেস্টিজ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় যেসব সাংবাদিককে তেল দেওয়ার কাজ করেছিল তাদের চিহ্নিত করেতে হবে যাতে আর তারা কোন সংবাদ সম্মেলন না করতে পারে বলে এসব তথ্য তুলে ধরছেন।