মোঃ রাকিবুল হাসান
শেরপুর প্রতিনিধি।।
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ঈদ আসন্ন হলেও দোকানে নেই বেচাকেনার তেমন ভিড়। ঝিনাইগাতী উপজেলা একটি কৃষি প্রধান এলাকা। অধিকাংশ পরিবারের আয়ের উৎস কৃষি ফসল। চলতি বোর ফসল পাকতে শুরু করেছে। কাটা মাড়াই করতে আরো ১ থেকে ২ সপ্তাহ সময় লাগবে। কিন্তু আসন্ন ঈদুল ফেতরের কিনা কাটার মত অর্থ এখন কৃষকদের হাতে নেই। কোন টাকা পয়সা না থাকার কারনে ঈদের কেনা কাটার ইচ্ছে থাকলেও অর্থ সংকটে ক্রয় করতে দোকানে ভির করতে দেখা যাচ্ছে না। কৃষক পরিবারের লোক ছাড়া অন্যান্য আয়ের কিছু ক্রেতা বাজারের দোকানে কিছু কেনাকাটা করতে দেখা যাচ্ছে। তবে বাজারের দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এখনো ঈদের বেচাকেনা শুরু হয় নাই। হয়তো ২/৩ দিনের মধ্যে ঈদের কিনাকাটা শুরু হবে। অপর দিকে অনেক ক্রেতার কাছে জিজ্ঞাসা করে জানা গেছে প্রত্যাক জিনিসের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধির কারনে ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ার কারনে ক্রেতা সাধারণ হিমসিম খাচ্ছে। এছাড়াও কাপড়ের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অনেক ক্রেতার কাছ থেকে জানা গেছে। কাপড়ের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাওয়া হলে কাপড় ব্যবসায়ীরা জানাই ঢাকাতেই কাপড়ের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আমাদের কিছু করার নেই। পাইকারি দাম আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে তাই খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। এবং কি ঢাকার বড় পাইকারি বাজার অগ্নিকান্ডে ক্ষতি হওয়াতে এর কিছু প্রভাব পড়েছে কাপড় বাজারে। অন্যদিকে গরম মসলা জাতীয় পণ্য প্রতিনিয়তই বাড়ছে। জিরা, এলাচ, দারচিনি, আদা, লং, গোলমরিচ, বচ সহ অন্যান্য সকল প্রকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ঘোর দৌড়ে বেড়েছে। এমনিতেই অত্র এলাকার কৃষক পরিবারের অর্থ সংকটে আছে। তারপর দ্রব্য মূল্য আকাশ ছোঁয়া। এছাড়াও দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি ও বর্তমানে তাপদাহের কারনে বাজারে লোকজন কম আসছে। কৃষকেরা আসন্ন ঈদ নিয়ে নানা চিন্তা ভাবনায় দিন পার করছে। যদি কৃষকেরা ধান কাটা মারি করতে পারত তাহলে হয়তো দাম বেশি হলেও কিনার চেষ্টা করতো। সমস্ত হাতের টাকা পয়সা ব্যায় করে চলতি বোর ফসল করেছে। ফসলের উৎপাদন ব্যায়ও প্রায় দ্বিগুন হয়েছে। বর্তমানে শূন্য হাতে কৃষক বোর ফসল প্রাপ্তির প্রত্যাশায় দিন গুনছে। তাই আসন্ন ঈদুল ফেতরের কেনাকাটা করার বিষয়টি যেন অনেক কষ্টের মনে হচ্ছে। কি ভাবে তারা এবারেরর ঈদের কেনাকাটা করবে এই ভাবনা যেন তাদের পিছু ছাড়ছে না।