
মোঃ রাকিবুল হাসান
, শেরপুর প্রতিনিধি।।
শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতি উপজেলার নককুড়া ইউনিয়নের গারো পাহাড়ের সীমান্তঘেঁষা গ্রাম গোমরা। এ গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা মো. আনোয়ার হোসেন প্রথমে ইউটিউবে দেখেন সাম্মাম ফল খুবই উচ্চমূল্যের একটি ফল। তিনি এ ফল চাষে পরীক্ষামূলকভাবে স্থানীয় বীজ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বীজ সংগ্রহ করে ফেব্রুয়ারি মাসে তার পৈত্রিক ১০ শতক জমিতে ওই বীজ রোপণ করেন। মাত্র ৩০ দিনের মাথায় গাছে ফুল আসতে শুরু করে। এরপর পরাগায়নের আরো ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যেই ফুল থেকে ফল এবং সর্বশেষ এপ্রিল মাসের শেষদিকে সে ফল পাকতে শুরু করেছে। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসের মধ্যে এ ফল খাওয়া ও বাজারে বিক্রি করার উপযোগী হয়েছে। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো । আনোয়ারের এ ফল চাষে এ পর্যন্ত খরচ করেছে মাত্র ২০ হাজার টাকা। বর্তমানে উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেন জানান সে তার এই ১০ শতাংশ জমিতে যে ফল ধরেছে বাজারে বিক্রি করে প্রায় ২ লক্ষ টাকা পাবে। প্রতিটি ফল প্রায় দেড় কেজি থেকে দুই কেজি হয়েছে। কেজি হিসেবে প্রতিটা ফল প্রায় ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকায় বিক্রি করা যাবে বলে তার ধারনা।
পরিপক্ক সাম্মাম ফল খেতে অনেক সুস্বাদু ও মিষ্টি অনেকটা পাকা পেঁপে বা বাঙ্গির মতো। ধারণা করা হয় মরুভূমির এই ফল বাঙ্গি জাতীয় ফলের মতোই। এই ফল চাষ করে কৃষক অনেক লাভবান হবে এমন ধারনা ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদারের কাছ থেকে জানা গেছে।
উদ্যোক্তা পরীক্ষামূলকভাবে এ ফল চাষে সফল হয়ে এবার বাণিজ্যিকভাবে সাম্মাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। জেলার কৃষি বিভাগ বলছে, মরুভূমির এ ফল চাষ সম্প্রতি বাংলাদেশে শুরু হলেও শেরপুরে এটি প্রথম। তবে ফলন দেখে মনে করা হচ্ছে উচ্চ মূল্যের এ সাম্মাম চাষ গারো পাহাড়ের পতিত জমিতে চাষাবাদে লাভবান ও আগ্রহী করবে স্থানীয় কৃষকদের। কুমড়া গাছের মতো লতানো গাছ। গাছের ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে গোল গোল ফল। প্রায় প্রতিটি গাছেই ভরপুর ফল ও ফুল। বাঁশের বাতা আর নেট ব্যাগ বা জালের ফাঁকে ফাঁকে পুরো ক্ষেত যেনো ফলে ভরে রয়েছে। সাম্মাম ফল খুবই পুষ্টিসমৃদ্ধ।