
মোঃ মাসুদ রানা মনি
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি।।
শীতের শুরুতে তিনদিনব্যপি পিঠা উৎসব, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর স্মার্ট স্কুল। নিজ হাতে বানানো দেড় শতাধিক বিভিন্ন রকমের নান্দনিক পিঠার পসরা সাজিয়ে আটটি স্টল নিয়ে বসেছে স্কুল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
দারুণ এ আয়োজন দেখতে ও পিঠার স্বাদ নিতে ক্যাম্পাসে ছিল বিভিন্ন শেণি-পেশার মানুষের ভীড়।
আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে রায়পুর শহীদ মিনার সংলগ্ন স্মার্ট স্কুল ক্যাম্পাসে এ আয়োজন করা হয়। ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ পিঠার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে শীতের মৌসুমে এ আয়োজন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে ফিতা কেটে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন রায়পুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্কুল পরিচালনা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুল করিম।
এসময় রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ নিজাম উদ্দিন ভুইয়া- স্কুল পরিচালক সায়েম চৌধুরী- সাংবাদিক তাবারক হোসেন আজাদ- প্রধান শিক্ষক মাহিনুর আলম মিশু উপস্থিত ছিলেন।
পিঠা উৎসবে ঘুরে হাইমাউ মিঠা- রস ভরা পিঠা ঘর- নকশী পিঠা- রকমারি ও টকঝাল মিষ্টি সহ বিভিন্ন নামে ৭টি দোকান দেখা যায়। এতে ডাল পাকন- শুকনা পিঠা- লতা পিঠা- শামুক পিঠা- সাকুর পিঠা, পদ্মার ইলিশ পিঠা- পাটি সাপটা- পান্তুয়া- জেলি কেক- বরফি- দুধ চিতল- ভাপা পিঠা- নকশি পিঠা- ঝুনঝুনি পিঠা- মুগ পাকন- ক্ষীর পাটি সাপটা- হৃদয় হরণ ও নারিকেল বেলি পিঠাসহ দেড় শতাধিক পিঠা দেখা গেছে। একেকটির স্বাদ একেক রকম। একেকটি দোকানে ৩০ ধরনের পিঠা থাকলেও সবগুলোর নামও অজানা শিক্ষার্থীদের।
৫ম শ্রেণির ছাত্রী তাবাস্সুম বিনতে বলেন- পিঠাগুলো আমরা নিজ হাতেই বানিয়েছি। অবশ্যই মাসহ অন্যদের সহযোগিতা নিতে হয়েছে। অনেক পিঠার নাম আমরা জানতাম না। এ আয়োজনের মাধ্যমে পিঠাগুলো বানানো শিখলাম। পিঠার নামও শিখতে পেরেছি। প্রিয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
পিঠা উৎসব দেখতে আসা গৃহিনী খুশবু আক্তার বলেন- আমার বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায়। স্বামীর চাকুরী ও বাচ্চার লেখাপড়ার সুবাধে এখানে থাকি। স্কুলে পিঠা উৎসবের খবর পেয়ে দেখতে এসেছি। মনমুগ্ধকর একটি আয়োজন ছিল। কয়েকটি পিঠা খেয়েছি ও কিনেছি।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মাইনুর আলম মিশু বলেন- শীতের শুরুতে আমরা পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। সেই সাথে প্রতিষ্টানে ভর্তি উৎসবও চলছে। সবগুলো পিঠা অভিভাবকদের সহযোগিতায় শিশু শিক্ষার্থীরা বানিয়েছে। প্রতিটি স্টলেই নতুন ধরনের পিঠা দেখছি। আয়োজনটি শিক্ষার্থী- শিক্ষক ও অভিভাবকরা দারুণভাবে উপভোগ করেছেন। অনুষ্ঠানে অভিভাবকদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিতি সরব রয়েছে।
রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভুইয়া বলেন- পিঠা উৎসব অসাধারণ একটি আয়োজন ছিল। প্রত্যেকটি স্টল ঘুরে দেখেছি। স্টলগুলোতে এতো পিঠা উঠেছে, এরমধ্যে অনেক পিঠার নাম নিজেও জানি না। গ্রামীণ ঐতিহ্য ধারণে স্মার্ট স্কুলের এ আয়োজন প্রশংসনীয়। এ উৎসবটি পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে।