মোঃ আবু তৈয়ব
হাটহাজারী- চট্টগ্রাম- চট্টগ্রাম।।
শাকসবজি- মাছ -মাংসের বাজারে আগুন- সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। ক্রয় করতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে গরীব দুঃখী ও মধ্যেবিত্ত পরিবার।
শুক্রবার -১১ অক্টোবর- হাটহাজারী উপজেলার সরকারহাট বাজারে গিয়ে দেখা যায়- আলুর প্রতি কেজি ৬০ টাকা করে -পেপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা করে -শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা করে -গাজর প্রতি কেজি ১৬০ টাকা করে -টমেটো প্রতি কেজি ২৪০ টাকা করে-বেগুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা করে-কাকরল প্রতি কেজি ১২০ টাকা করে -বরবটি প্রতি কেজি ১৪০ টাকা করে-মিষ্টি কুমার প্রতি কেজি ৮০ টাকা করে- গুরা কচু প্রতি কেজি ৭০ টাকা করে- জিঙ্গা প্রতি কেজি ৮০ টাকা করে- লাউ প্রতি কেজি ৫০ টাকা করে ল- লেবু প্রতিপিচ১০ টকা করে-মিষ্টি কুমড়া শাক প্রতি জোড়া ১০০ টাকা করে- নারি শাখ প্রতি জোড়া ৪০ টাকা করে- কাচা মরিচ প্রতি কেজি৪০০ টাকা করে-দনিয়া পাতা প্রতি কেজি৪০০ টাকা করে-লাল মরিচের গুঁড়ো প্রতি কেজি ৪৪০ টাকা করে-হলুদের গুড়ো প্রতি কেজি৩৪০ টাকা করে- মসলার গুঁড়া প্রতি কেজি ৪৪০ টাকা করে -পাঙ্গাস মাছ প্রতি কেজি১৬০ টাকা করে-
নাইলেটিকা মাছ প্রতি কেজি ২২০ টাকা করে- রুই মাছ প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা করে- জাতীয় মাছ ইলিশ বাজারে নেই অতিরিক্ত দামের কারণে।
মুদির দোকানে গিয়ে দেখা যায়- মসুরির ডাল চিকন প্রতি কেজি ১৬০ টাকা করে- মসুরির ডাল মোটা প্রতি কেজি ১২০ টাকা করে – চাল প্রতি কেজি ৭০.৬০ ১০০, ৬৪, ৭৮ টাকা করে- সয়াবিন তৈল বোতলজাত প্রতি লিটার ১৬৫ টাকা করে- সয়াবিন তৈল খোলা প্রতি কেজি ১৮০ টাকা করে- সরিষার তৈল প্রতি লিটার ২৬০ টাকা করে- চিনি প্রতি কেজি ১২৫ টাকা করে- চা পাতা খোলা প্রতি কেজি ২৫০ টাকা করে- চা পাতা প্যাকেট ৩৬০ টাকা করে- পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০০ টাকা করে- গুঁড়া দুধ প্যাকেট প্রতি কেজি ৭৬০ টাকা করে- রসুন প্রতি কেজি ২৫০ টাকা করে- লবণ প্রতি কেজি ৪০ টাকা করে -মুরগী ব্রয়লার প্রতি কেজি১৭৫ টাকা করে- কক মুরগী প্রতি কেজি ৩২০ টাকা করে- ব্রয়লার মুরগির ডিম ডজন ১৮০ টাকা করে- গরুর মাংস চাপ প্রতি কেজি ৮৫০ টাকা করে, গরুর মাংস হাড়সহ প্রতি কেজি ৮০০ টাকা করে।
সরকারহাট বাজারে কাঁচাবাজার ব্যাবসায়ী রহিম উদ্দিন বলেন- কাঁচাবাজারে আগের থেকে পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে গেছে- পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে নিয়ে আসা পর্যন্ত গাড়ি ভাড়া বেশি গুণতে হচ্ছে- আর আমাদের স্থানীয় কৃষকরা তেমন ফসল উৎপাদন করতেছেনা যার কারণে কাঁচাবাজারের দাম বেশি। আর এবার ফেনি ও উত্তর বঙ্গে বন্যা কবলিত হওয়ার কারণে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে তাই এটার কারণোও একটু দাম বেড়ে গেছে।
মাধ্যমিক স্কুলে প্রাতিষ্ঠানিক সম্মানিতে কর্মরত এক শিক্ষক বলেন, স্কুল থেকে আমাকে মাসিক সম্মানি দিয়ে থাকে ৬০০০ টাকা- টিউশন করতে পারি স্কুল থেকে আসার পর ৩টি টিউশন ফি ও স্কুলের সম্মানিসহ টোটাল মাসিক ইনকাম ১৬০০০ টাকা- বাসাভাড়া মাসিক ৬০০০ টাকা- তাহলে আর বাকি থাকে ১০০০০ টাকা। আমার ১ ছেলে ১ মেয়ে আমি আর আমার স্ত্রী আমার মা আছে সাথে তাহলে চাল- ডাল- তৈল- লবণ- মরিচ- মুরগী- ডিম- মাছ- কাঁচাবাজারের যে পরিমাণ দাম তাহলে আমাদের মতো পরিবার গুলো কীভাবে সারামাস চলবে- আপনার আর বর্তমান উপদেষ্টাতাদের কাছে আমার প্রশ্ন রেখে গেলাম? আমরা যারা মাধ্যমিক স্কুলে প্রাতিষ্ঠানিক সম্মানিত চাকরিতে আছি আমাদের যে পরিমাণ সম্মানি দেওয়া হয়- আমাদের চার- পাঁচ জনের সন্মানি সমান একজন প্রধান শিক্ষক প্রাতিষ্ঠানিক সম্মানি নিয়ে থাকে। অথচ আমাদের কোনো মূল্যায়ন নেই।
সিএনজি অটোরিকশা চলাক বাবুল বলেন- শরীরে অসুখ নিয়ে প্রতিদিন গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হয় নিজের খরচ গ্যাস খরচ কোম্পানির খরচ দৈনিক ১০০০ টাকা খরচ হয় রাতে বাসায় যাওয়ার সময় ছেলে মেয়ে ও স্ত্রী আর আমার মা বাবার জন্য ভালো কিছু নিয়ে যেতে চাইলেও নিয়ে যেতে পারিনা। বর্তমানে বাজারে তরিতরকারির যে দাম আলো নিয়ে গেলে ডাল নিতে পারিনা, সবজি নিলে কোনোরকম মাছ নিতে পারিনা এই অবস্থা চলতে থাকলে কি হবে জানি না?
বাজারের ক্রেতা মোহাম্মদ রফিক জানান- বাজার এক-এক দোকানে এক-এক দাম কোনো দোকানে আলু বিক্রি করতেছে ৫৫ টাকা আবার কোনো দোকানে ৬০ টাকা এভাবে প্রায় শাকসবজির দাম ভিন্ন ভিন্ন- চিনি এক দোকানে দেখলাম ১২৫ টাকা আবার অন্য দোকানে দেখলাম ১২৮ টাকা। দোকানে কোনো পণ্যের দামের লিস্ট দেখা যায় না। যার যেমন ইচ্ছে তেমন করে দাম নিচ্ছে।