Dhaka , Friday, 18 July 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
শহীদ ফারহান ফাইয়াজের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবর দোয়া ও জিয়ারত জুলাই বিপ্লব-২৪ বীর শহিদ ফারহান ফাইয়াজের ১ম মৃত্যু বার্ষীকি উপলক্ষ্যে রূপগঞ্জে দোয়া ও স্বরন সভা অনুষ্ঠিত গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পুনর্জাগরণ উপলক্ষে  “জুলাই স্মরণ ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী”  অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাবনায় নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল পুড়িয়ে ধ্বংস রায়পুরায় মোবাইল কোর্টের অভিযান, ১৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা ও দোকান উচ্ছেদ ৩ কোটি টাকার ইয়াবাসহ নারী মাদক কারবারি গ্রেফতার রাজাপুরে ছাত্রদল নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল, সমালোচনার ঝড় রামগঞ্জে ৩দিন ব্যাপী মাল্টিমিডিয়া  সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ শুরু সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ  ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবেন না: বিএনপি নেতা দুলুর হুঁশিয়ারি ১৫ বিজিবির একযোগে তিন স্থানে অভিযান, পৌনে তিন লাখ টাকার মাদক জব্দ কক্সবাজার সমুদ্রপাড়ে ছেলে  হারা অসহায় মায়ের প্রতীক্ষা গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে মোংলায় বিএনপির মিছিল গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের  ৩ জনসহ ৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু আনোয়ারা থানা পুলিশ কর্তৃক দেশি-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, অস্ত্র তৈরীর ছোট-বড় যন্ত্রাংশ ও নগদ টাকাসহ ১ জন গ্রেফতার চন্দনাইশে দোহাজারী পৌরসভার শ্রেণি পরিবর্তনে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব সাইফুল ইসলাম সরেজমিনে পরিদর্শন ফাতিন আহনাফের স্বপ্নের পাশেই থাকবেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জুলাই যোদ্ধাদের ঐক্যই আমাদের শক্তি – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বেকারত্ব দূর করতে কাজ করছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় –উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ দপদপিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ লাইন প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন। ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিল গ্রেফতার ঝালকাঠিতে জুলাই শহীদ দিবস পালন, শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ঝালকাঠিতে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহাসড়ক অবরোধ নলছিটিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ডিমলায় লটারির মাধ্যমে খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় ডিলার নির্বাচিত। উত্তরবঙ্গের গর্বিত সন্তান শহীদ আবু সাঈদের  জীবনদানের মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদীদের মসনদে প্রথম পেরেক মেরেছিল-শিমুল বিশ্বাস  রামগঞ্জে বিএনপি’র ওয়ার্ড কাউন্সিল অনুষ্ঠিত তিস্তা ফুঁসছে: রংপুর বিভাগের নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর ও কুড়িগ্রামে বন্যার পূর্বাভাস পাবনার ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল ও জরিমানা সারা দেশে আইন শৃঙ্খলা অবনতির প্রতিবাদে পাবনায় জেলা যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত ।

শরীয়তপুরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে ঘুষ ছাড়া তদন্ত করেন না এসআই  হুমায়ুন কবির।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 09:24:56 am, Sunday, 1 September 2024
  • 80 বার পড়া হয়েছে

শরীয়তপুরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে ঘুষ ছাড়া তদন্ত করেন না এসআই  হুমায়ুন কবির।।

শরীয়তপুর প্রতিনিধি।।

   

শরীয়তপুরের জাজিরা থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর -এসআই- হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের তদন্তের দায়িত্ব পালনের সময় সেবাগ্রহীতাদের থেকে থানা সংলগ্ন একটি কম্পিউটারের দোকানির মাধ্যমে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়- প্রাথমিকভাবে অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদনের পর যখন স্থানীয় থানায় তদন্তের জন্য পাঠানো হয় তখন থানা থেকে এসআই হুমায়ুন কবির সেবাগ্রহীতার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে থানায় এসে দেখা করতে বলেন। পরে সেবাগ্রহীতারা যখন থানায় আসেন তখন তাদের থানার সামনে অবস্থিত মুন্সী কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক অনিক নামে এক ব্যক্তির সাথে দেখা করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি দিয়ে যেতে বলেন। সেবাগ্রহীতারা যখন কম্পিউটার দোকানি অনিকের সাথে দেখা করেন তখন ঐ পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশনা মত তাদের কাগজপত্র যাচাই করে চাহিদামত পেলে পাঁচশো থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত দাবী করা হয়। যারা চাহিদামত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান তাদের তদন্ত প্রতিবেদন নেগেটিভ দেয়া হবে বলে হুমকি প্রদান করা হয়।

দক্ষিণ বাইকশা এলাকার বাসিন্দা রাকিব হাসান ইউরোপের একটি দেশে শ্রমিক হিসেবে যেতে ভিসার আবেদন করেছেন। সেখানে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের প্রয়োজন। তিনি সংবাদকে বলেন, “আমি অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার জন্য নির্ধারিত ফি ৫০০ টাকা দিয়ে আবেদন করেছি। পরে জাজিরা থানা থেকে পুলিশ সদস্য হুমায়ুন কবির আমার জাতীয় পরিচয়পত্র, বাবা মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র, চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট- পাসপোর্টের ফটোকপি ও বিদ্যুৎ বিলের কপি নিয়ে থানায় যেতে বলেন। পরে তার চাহিদামত কাগজপত্র নিয়ে থানায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তাকে ফোন দিলে তিনি আমাকে থানার সামনে থাকা মুন্সী কম্পিউটার সেন্টারের সামনে যেতে বলেন। আমি সেখানে যাওয়ার পর এসআই হুমায়ুন আমার কাগজপত্র গুলো হাতে নিয়ে ঐ কম্পিউটার দোকানের লোক অনিকের কাছে দিয়ে অনিক সব বুঝে রাখবে বলে সেখান থেকে চলে যান। পরে ঐ কম্পিউটার দোকানি অনিক আমাকে বসতে বলেন। একটু পর দোকানি অনিক আমাকে বলেন, কাগজপত্র সব ঠিক আছে। ১ হাজার টাকা দাও। তখন আমি কিসের টাকা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খরচ আছে তাই দিতে হবে। কোন উপায়ন্তর না দেখে আমি তাকে ৫০০ টাকা দেই। তখন তিনি ৫০০ টাকায় হবেনা বলে আমাকে ফিরিয়ে দেন এবং বলেন, কাজ ঠিকমত হতে হলে অন্তত ৮০০ টাকা দিতে হবে। যদি এখন না পারো তাহলে গিয়ে বিকাশে পাঠিয়ে দিও। এরপর আমি চলে আসার পর টাকার জন্য আমাকে অনেকবার ফোন দেয়া হয়েছিল। পুলিশ এখনো আমাদের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ঘুষ খাওয়া বন্ধ করলো না। বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই কষ্ট পাই। সে কষ্টে ফেসবুকে একটি পোস্টও করি। ফেসবুকের সেই পোস্ট ডিলিট করার জন্যও আমাকে অনেকবার ফোন করে বলা হয়েছে।

আরো কয়েকজন এএকাধিক ভুক্তভোগী একই অভিযোগ করে বলেন- সরকার অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন ব্যবস্থা করেছে সেখানে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র আপলোড করে তারপর আবেদন দাখিল করতে হয়। আর আবেদনের সাথে ৫০০টাকা ফি নেয়া হয়। এরপরও তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া অসাধু পুলিশ কর্মকর্তারা সরাসরি এসে তদন্ত না করে থানায় বসে বসে আমাদের ভুক্তভোগীদের হয়রানি করে। আবার বাড়তি টাকার দাবী করে। আর যদি কোন ভুল পায় তাহলে ভোগান্তির শেষ থাকেনা। একারনে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থার অবনতি হয়েছে।

জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ভুক্তভোগী বলেন- অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন করার দুদিন পর জাজিরা থানা থেকে এক পুলিশ সদস্য ফোন করে কাগজপত্র নিয়ে থানায় যেতে বলেন। থানায় যাওয়ার পর থানার সামনে থাকা কম্পিউটারের দোকানে কাগজপত্র দিয়ে যেতে বলা হয়। পরে সেখানে কাগজপত্র জমা দিলে ওই দোকানের অনিক নামে এক লোক খরচ লাগবে বলে ১ হাজার টাকা চায়। টাকা না দিতে চাইলে তিনি বলেন- কাজ হতে হলে টাকা দিতে হবে। পরে ৫০০ টাকা দিতে বাধ্য হই।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত পুলিশের কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার থানায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলমের সাথে কথা বললে তিনি ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

শহীদ ফারহান ফাইয়াজের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবর দোয়া ও জিয়ারত

শরীয়তপুরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে ঘুষ ছাড়া তদন্ত করেন না এসআই  হুমায়ুন কবির।।

আপডেট সময় : 09:24:56 am, Sunday, 1 September 2024

শরীয়তপুর প্রতিনিধি।।

   

শরীয়তপুরের জাজিরা থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর -এসআই- হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের তদন্তের দায়িত্ব পালনের সময় সেবাগ্রহীতাদের থেকে থানা সংলগ্ন একটি কম্পিউটারের দোকানির মাধ্যমে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়- প্রাথমিকভাবে অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদনের পর যখন স্থানীয় থানায় তদন্তের জন্য পাঠানো হয় তখন থানা থেকে এসআই হুমায়ুন কবির সেবাগ্রহীতার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে থানায় এসে দেখা করতে বলেন। পরে সেবাগ্রহীতারা যখন থানায় আসেন তখন তাদের থানার সামনে অবস্থিত মুন্সী কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক অনিক নামে এক ব্যক্তির সাথে দেখা করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি দিয়ে যেতে বলেন। সেবাগ্রহীতারা যখন কম্পিউটার দোকানি অনিকের সাথে দেখা করেন তখন ঐ পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশনা মত তাদের কাগজপত্র যাচাই করে চাহিদামত পেলে পাঁচশো থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত দাবী করা হয়। যারা চাহিদামত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান তাদের তদন্ত প্রতিবেদন নেগেটিভ দেয়া হবে বলে হুমকি প্রদান করা হয়।

দক্ষিণ বাইকশা এলাকার বাসিন্দা রাকিব হাসান ইউরোপের একটি দেশে শ্রমিক হিসেবে যেতে ভিসার আবেদন করেছেন। সেখানে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের প্রয়োজন। তিনি সংবাদকে বলেন, “আমি অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার জন্য নির্ধারিত ফি ৫০০ টাকা দিয়ে আবেদন করেছি। পরে জাজিরা থানা থেকে পুলিশ সদস্য হুমায়ুন কবির আমার জাতীয় পরিচয়পত্র, বাবা মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র, চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট- পাসপোর্টের ফটোকপি ও বিদ্যুৎ বিলের কপি নিয়ে থানায় যেতে বলেন। পরে তার চাহিদামত কাগজপত্র নিয়ে থানায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তাকে ফোন দিলে তিনি আমাকে থানার সামনে থাকা মুন্সী কম্পিউটার সেন্টারের সামনে যেতে বলেন। আমি সেখানে যাওয়ার পর এসআই হুমায়ুন আমার কাগজপত্র গুলো হাতে নিয়ে ঐ কম্পিউটার দোকানের লোক অনিকের কাছে দিয়ে অনিক সব বুঝে রাখবে বলে সেখান থেকে চলে যান। পরে ঐ কম্পিউটার দোকানি অনিক আমাকে বসতে বলেন। একটু পর দোকানি অনিক আমাকে বলেন, কাগজপত্র সব ঠিক আছে। ১ হাজার টাকা দাও। তখন আমি কিসের টাকা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খরচ আছে তাই দিতে হবে। কোন উপায়ন্তর না দেখে আমি তাকে ৫০০ টাকা দেই। তখন তিনি ৫০০ টাকায় হবেনা বলে আমাকে ফিরিয়ে দেন এবং বলেন, কাজ ঠিকমত হতে হলে অন্তত ৮০০ টাকা দিতে হবে। যদি এখন না পারো তাহলে গিয়ে বিকাশে পাঠিয়ে দিও। এরপর আমি চলে আসার পর টাকার জন্য আমাকে অনেকবার ফোন দেয়া হয়েছিল। পুলিশ এখনো আমাদের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ঘুষ খাওয়া বন্ধ করলো না। বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই কষ্ট পাই। সে কষ্টে ফেসবুকে একটি পোস্টও করি। ফেসবুকের সেই পোস্ট ডিলিট করার জন্যও আমাকে অনেকবার ফোন করে বলা হয়েছে।

আরো কয়েকজন এএকাধিক ভুক্তভোগী একই অভিযোগ করে বলেন- সরকার অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন ব্যবস্থা করেছে সেখানে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র আপলোড করে তারপর আবেদন দাখিল করতে হয়। আর আবেদনের সাথে ৫০০টাকা ফি নেয়া হয়। এরপরও তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া অসাধু পুলিশ কর্মকর্তারা সরাসরি এসে তদন্ত না করে থানায় বসে বসে আমাদের ভুক্তভোগীদের হয়রানি করে। আবার বাড়তি টাকার দাবী করে। আর যদি কোন ভুল পায় তাহলে ভোগান্তির শেষ থাকেনা। একারনে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থার অবনতি হয়েছে।

জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ভুক্তভোগী বলেন- অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন করার দুদিন পর জাজিরা থানা থেকে এক পুলিশ সদস্য ফোন করে কাগজপত্র নিয়ে থানায় যেতে বলেন। থানায় যাওয়ার পর থানার সামনে থাকা কম্পিউটারের দোকানে কাগজপত্র দিয়ে যেতে বলা হয়। পরে সেখানে কাগজপত্র জমা দিলে ওই দোকানের অনিক নামে এক লোক খরচ লাগবে বলে ১ হাজার টাকা চায়। টাকা না দিতে চাইলে তিনি বলেন- কাজ হতে হলে টাকা দিতে হবে। পরে ৫০০ টাকা দিতে বাধ্য হই।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত পুলিশের কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার থানায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলমের সাথে কথা বললে তিনি ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।