Dhaka , Sunday, 8 September 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি সিলেটে সন্ধানী সিওমেক ইউনিটের স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন।। মায়াবী কাশফুলের অপরুপ সৌন্দর্য্যে বিমোহিত পথচারীরা।। দেবহাটার পারুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী সমাবেশ ও অফিস উদ্বোধন।। দেশের মানুষের একটাই পরিচয় তারা বাংলাদেশী – ড. মঈন খান।। সাভার আশুলিয়ায় পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক কাজে ফিরেছে শ্রমিকরা।। দেবহাটা উপজেলায় আট গ্রামকে ইকো ভিলেজ ঘোষণা।। দেবহাটায় ভিলেজ ডক্টরস ফোরামের সমাবেশ অনুষ্ঠিত।। গাজীপুরে ছাত্রকে গুলি করে হত্যা- পুলিশ কনস্টেবল গ্রেফতার।। সাভার আশুলিয়ায় ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে পোশাক কারখানায় অস্থিরতার নেপথ্যে কী।। সাভার আশুলিয়ায় শ্রমিক দলের সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ আহত ৫ জন।। চাঁপাইনবাবগঞ্জ -৫৩ বিজিবি- অভিযানে  ২ জন আসামীসহ ১৫৯ বোতল  ফেন্সিডিল ও ১টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা আটক।। সেই গুলি বিদ্ধ অব্দুল্লা আল কাফি মিঠুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন  ডাঃ রাজন।। কালিয়াকৈরে শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদের ও আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা মামলা।। রূপগঞ্জে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা- শিশু সন্তানকে কুপিয়ে যখম।। বিলমাড়ীয়া বাজার কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে মাসুদ সভাপতি মোমিন সম্পাদক  নির্বাচিত।। নোয়াখালীর কবিরহাটে ইমাম মুয়াজ্জিন সম্মেলন অনুষ্ঠিত।। বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম চিরকুট লিখে স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা।। গাজী লাশের রাজনীতি করেছে আমরা উন্নয়নের রাজনীতি করবো- দিপু ভুঁইয়া।। হোমনায়  চাঞ্চল্যকর ৩ খুনের আসামী আক্তার  আটক।। সিলেট এমএজি ওসমানী  হাসপাতালে সিনিয়র নার্সিং অফিসার নজরুল ইসলাম বাবুলের বিদায় সংবর্ধনা।। বামনডাঙ্গা স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিয়ে অবরোধ।। বিতর্ক সৃষ্টি হয় এরূপ কোন কর্মে হাত দেওয়া হবে না- ধর্ম উপদেষ্টা।। সকল গায়েবী মামলা প্রত্যাহার করতে হবে- এরশাদ উল্লাহ।। বরিশালে শুরু হয়েছে অসমাপ্ত সড়ক ব্রীজের কাজ- মান নিয়ে সন্তুষ্টি এলাকাবাসীর।। ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকদলের বর্ধিত সভা- তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি।। চাঁপাইনবাবগঞ্জে যৌথ বাহিনী দিয়ে তুলে নিয়ে অপহরণের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।। রূপগঞ্জে মাদক- সস্ত্রাস চাঁদাবাজ নৈরাজ্য ও দখলদারদের প্রতিহতে বিএনপির সভা- বিক্ষোভ।। রাজাপুরে যুবদলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।। গণধিকার পরিষদের আলোচনা সভা ও আনন্দ মিছিল।। রামগঞ্জ শাহ জকি উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ফোরামের উপহার সামগ্রী বিতরণ।।

লক্ষ্মীপুরে ১১০টি খালে প্রায় তিন হাজার  অবৈধ বাঁধ- নামছেই না বন্যার পানি।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 10:12:38 am, Wednesday, 4 September 2024
  • 13 বার পড়া হয়েছে

লক্ষ্মীপুরে ১১০টি খালে প্রায় তিন হাজার  অবৈধ বাঁধ- নামছেই না বন্যার পানি।।

মোঃ মাসুদ রানা মনি 
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।।
  
লক্ষ্মীপুর জেলার ৫টি উপজেলার  বন্যার পানি নামছে অত্যন্ত ধীরগতিতে । গত  পাঁচ দিনে দেড় থেকে দুই ফুট পানি নেমেছে কোথাও কোথাও আরও  কম নেমেছে । বেশির ভাগ খালে বাঁধ থাকায় এবং প্রায় এলাকায় ভেসাল জাল- বেয়াল জাল- দিয়ে মাছ ধরার কারণে  পানি নামছে ধীরগতিতে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, দ্রুত পানি না নামলে জলাবদ্ধতায় এই অঞ্চলের মানুষকে চরম আকারে  ভুগতে হবে। দ্রুত এসব অবৈধ বাঁধ অপসারণ করে এবং এ সব  অবৈধ ভেসাল জাল তুলে দিয়ে  পানি চলাচল স্বাভাবিক রাখার দাবি তাঁদের। 
এদিকে বন্যার পানিতে এখনো তলিয়ে রয়েছে জেলার ৫৮টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকা। পানিবন্দী রয়েছে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। 
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরে ছোট-বড় প্রায় ১১০টি খাল রয়েছে। এসব খালে প্রায় তিন হাজার বাঁধ রয়েছে। বেশির ভাগ বাঁধ অবৈধভাবে দিয়ে মাছ চাষ করেছেন প্রভাবশালীরা। ফলে বন্যার পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে  । বিশেষ করে ডাকাতিয়া ও ভূলুয়া নদী- রহমতখালী এবং বিরেন্দ্রখাল পানি নিষ্কাশনের অন্যতম পথ। প্রায় ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদী বা খাল মিশেছে মেঘনা নদীতে। এই চারটি খালের আশপাশের পানি কমছে দেড় থেকে দুই ফুট। এ ছাড়া এখনো তলিয়ে আছে বেশির ভাগ রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। 
লক্ষ্মীপুর অংশের উপকূলীয় অঞ্চলকে বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে পাঁচ যুগ আগে মেঘনা নদীর পাশে নির্মাণ করা হয় ৩৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। এই বেড়িবাঁধের আশপাশে রয়েছে ঘরবাড়ি ও জেগে ওঠা কয়েক হাজার একর ফসলি জমি। গত চার দশকে সেই এলাকা দখল কিংবা ইজারা নিয়ে তৈরি করা হয় মাছের ঘের ও পুকুর। আর খালের ওপর নির্মিত বাঁধ তৈরি করে মাছ চাষ করছেন প্রভাবশালীরা। এতে বাধা হয়েছে পানি চলাচলের পথ। 
মেঘনার জোয়ার- অতিবৃষ্টি ও বন্যার পানি নামতে না পারায় প্লাবিত হয় গ্রামের পর গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়ে ১০ লাখের বেশি মানুষ। গত কয়েক দিনের আকস্মিক বন্যায় জেলার ৫টি উপজেলার গ্রামগুলো পানিবন্দী হয়ে পড়ে বাঁধের কারণে। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে থাকা জেলার ৫টি উপজেলার ৫৮টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভার প্রত্যেকটি এলাকার মানুষ এখনো পানিবন্দী। 
এদিকে পাঁচ  দিন ধরে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও তেমন উন্নতি হয়নি। দুর্ভোগ কাটেনি মানুষের। পানিবন্দী মানুষের দিন কাটছে অর্ধহারে-অনাহারে। কবে নাগাদ বন্যার উন্নতি হয়ে স্বাভাবিক হবে জনজীবন- সেটাও নিশ্চিত নয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাসিন্দারা। 
রামগতির বাসিন্দা জাফর আহমদ গনি ও মজুচৌধুরীর হাটের হেলাল উদ্দিন বলেন- এবারের মতো বন্যা এর আগে দেখা যায়নি। বৃষ্টি না থাকলেও পানি নামছে ধীরগতিতে। এতে চরম দুর্ভোগে ভানবাসি মানুষ। দুই দিনে ৫-৬ ইঞ্চি পানি কমছে। অভিযোগ রয়েছে- অবৈধভাবে প্রভাবশালীরা ডাকাতিয়া ও রহমতখালী খালসহ বিভিন্ন খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার কারণে পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে মানুষের ভোগান্তি কয়েক গুন বেড়ে যাচ্ছে। 
রামগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্লাড ডোর্নাস ক্লাবের সভাপতি মাহমুদ ফারুক বলেন, ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো খালের ওপর নির্মিত বাঁধগুলো উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে অপসারণ শুরু করেছে। এতে অংশ নিচ্ছে সাধারণ মানুষ। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে বন্যার অবস্থা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন ইসলাম জানান ইতিমধ্যে আমরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক বাঁধ অপসারণ করছি।এ কাজ অব্যাহতথাকবে। এখন উপজেলার প্রানকেন্দ্রে বিরেন্দ্র খালের বর্জ্য অপসারণের কাজ চলছে, এ খালের বর্জ্য অপসারণ সম্পূর্ণ ভাবে শেষ হলে আশা করা যায় পানি দ্রুত নেমে যাবে। 
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া বলেন- পানি নামছে ধীরগতিতে। বিভিন্ন খাল দখল করে বহুতল ভবন ও মাছ চাষ করার কারণে মূলত পানি নামতে সমস্যা হচ্ছে। 
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা -ইউএনও- মো. আরিফুর রহমান বলেন- অবৈধভাবে খালের ওপর নির্মিত বাঁধের কারণে পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এসব অবৈধ বাঁধ অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে দুই শতাধিক স্থানে খালের ওপর বাঁধ কেটে দেওয়া হয়। এটি অব্যাহত থাকবে। 
পানি উন্নয়ন বোর্ডের -পাউবো- নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ-উজ-জামান বলেন- ১১০টি ছোট-বড় খাল রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হয়। এ ছাড়া কয়েক হাজার অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বহুতল ভবন রয়েছে। ইতিমধ্যে ৫০টি বাঁধ কেটে দেওয়া হয়। অবৈধভাবে দখল করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। দ্রুত পানি নেমে গেলে বন্যার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি সিলেটে সন্ধানী সিওমেক ইউনিটের স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন।।

লক্ষ্মীপুরে ১১০টি খালে প্রায় তিন হাজার  অবৈধ বাঁধ- নামছেই না বন্যার পানি।।

আপডেট সময় : 10:12:38 am, Wednesday, 4 September 2024
মোঃ মাসুদ রানা মনি 
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।।
  
লক্ষ্মীপুর জেলার ৫টি উপজেলার  বন্যার পানি নামছে অত্যন্ত ধীরগতিতে । গত  পাঁচ দিনে দেড় থেকে দুই ফুট পানি নেমেছে কোথাও কোথাও আরও  কম নেমেছে । বেশির ভাগ খালে বাঁধ থাকায় এবং প্রায় এলাকায় ভেসাল জাল- বেয়াল জাল- দিয়ে মাছ ধরার কারণে  পানি নামছে ধীরগতিতে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, দ্রুত পানি না নামলে জলাবদ্ধতায় এই অঞ্চলের মানুষকে চরম আকারে  ভুগতে হবে। দ্রুত এসব অবৈধ বাঁধ অপসারণ করে এবং এ সব  অবৈধ ভেসাল জাল তুলে দিয়ে  পানি চলাচল স্বাভাবিক রাখার দাবি তাঁদের। 
এদিকে বন্যার পানিতে এখনো তলিয়ে রয়েছে জেলার ৫৮টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকা। পানিবন্দী রয়েছে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। 
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরে ছোট-বড় প্রায় ১১০টি খাল রয়েছে। এসব খালে প্রায় তিন হাজার বাঁধ রয়েছে। বেশির ভাগ বাঁধ অবৈধভাবে দিয়ে মাছ চাষ করেছেন প্রভাবশালীরা। ফলে বন্যার পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে  । বিশেষ করে ডাকাতিয়া ও ভূলুয়া নদী- রহমতখালী এবং বিরেন্দ্রখাল পানি নিষ্কাশনের অন্যতম পথ। প্রায় ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদী বা খাল মিশেছে মেঘনা নদীতে। এই চারটি খালের আশপাশের পানি কমছে দেড় থেকে দুই ফুট। এ ছাড়া এখনো তলিয়ে আছে বেশির ভাগ রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। 
লক্ষ্মীপুর অংশের উপকূলীয় অঞ্চলকে বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে পাঁচ যুগ আগে মেঘনা নদীর পাশে নির্মাণ করা হয় ৩৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। এই বেড়িবাঁধের আশপাশে রয়েছে ঘরবাড়ি ও জেগে ওঠা কয়েক হাজার একর ফসলি জমি। গত চার দশকে সেই এলাকা দখল কিংবা ইজারা নিয়ে তৈরি করা হয় মাছের ঘের ও পুকুর। আর খালের ওপর নির্মিত বাঁধ তৈরি করে মাছ চাষ করছেন প্রভাবশালীরা। এতে বাধা হয়েছে পানি চলাচলের পথ। 
মেঘনার জোয়ার- অতিবৃষ্টি ও বন্যার পানি নামতে না পারায় প্লাবিত হয় গ্রামের পর গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়ে ১০ লাখের বেশি মানুষ। গত কয়েক দিনের আকস্মিক বন্যায় জেলার ৫টি উপজেলার গ্রামগুলো পানিবন্দী হয়ে পড়ে বাঁধের কারণে। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে থাকা জেলার ৫টি উপজেলার ৫৮টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভার প্রত্যেকটি এলাকার মানুষ এখনো পানিবন্দী। 
এদিকে পাঁচ  দিন ধরে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও তেমন উন্নতি হয়নি। দুর্ভোগ কাটেনি মানুষের। পানিবন্দী মানুষের দিন কাটছে অর্ধহারে-অনাহারে। কবে নাগাদ বন্যার উন্নতি হয়ে স্বাভাবিক হবে জনজীবন- সেটাও নিশ্চিত নয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাসিন্দারা। 
রামগতির বাসিন্দা জাফর আহমদ গনি ও মজুচৌধুরীর হাটের হেলাল উদ্দিন বলেন- এবারের মতো বন্যা এর আগে দেখা যায়নি। বৃষ্টি না থাকলেও পানি নামছে ধীরগতিতে। এতে চরম দুর্ভোগে ভানবাসি মানুষ। দুই দিনে ৫-৬ ইঞ্চি পানি কমছে। অভিযোগ রয়েছে- অবৈধভাবে প্রভাবশালীরা ডাকাতিয়া ও রহমতখালী খালসহ বিভিন্ন খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার কারণে পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে মানুষের ভোগান্তি কয়েক গুন বেড়ে যাচ্ছে। 
রামগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্লাড ডোর্নাস ক্লাবের সভাপতি মাহমুদ ফারুক বলেন, ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো খালের ওপর নির্মিত বাঁধগুলো উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে অপসারণ শুরু করেছে। এতে অংশ নিচ্ছে সাধারণ মানুষ। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে বন্যার অবস্থা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন ইসলাম জানান ইতিমধ্যে আমরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক বাঁধ অপসারণ করছি।এ কাজ অব্যাহতথাকবে। এখন উপজেলার প্রানকেন্দ্রে বিরেন্দ্র খালের বর্জ্য অপসারণের কাজ চলছে, এ খালের বর্জ্য অপসারণ সম্পূর্ণ ভাবে শেষ হলে আশা করা যায় পানি দ্রুত নেমে যাবে। 
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া বলেন- পানি নামছে ধীরগতিতে। বিভিন্ন খাল দখল করে বহুতল ভবন ও মাছ চাষ করার কারণে মূলত পানি নামতে সমস্যা হচ্ছে। 
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা -ইউএনও- মো. আরিফুর রহমান বলেন- অবৈধভাবে খালের ওপর নির্মিত বাঁধের কারণে পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এসব অবৈধ বাঁধ অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে দুই শতাধিক স্থানে খালের ওপর বাঁধ কেটে দেওয়া হয়। এটি অব্যাহত থাকবে। 
পানি উন্নয়ন বোর্ডের -পাউবো- নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ-উজ-জামান বলেন- ১১০টি ছোট-বড় খাল রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হয়। এ ছাড়া কয়েক হাজার অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বহুতল ভবন রয়েছে। ইতিমধ্যে ৫০টি বাঁধ কেটে দেওয়া হয়। অবৈধভাবে দখল করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। দ্রুত পানি নেমে গেলে বন্যার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।