Dhaka , Thursday, 10 October 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমান্ড্যান্টের ছত্রছায়া পূজার ডিউটিতে আনসার থেকে লাখ টাকার বাণিজ্য।। বাজার শেষে মায়ের সাথে বাড়ি ফেরা হলো না ছালমার ব্রীজ থেকে খালে পরে নিখোঁজ।। তিতাসের মজিদপুর ইউনিয়নের পূজামন্ডব পরিদর্শন।। তিতাসের মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ প্রধান অভিযুক্তকে স্বাক্ষী করায় এলাকায় তোলপাড়।। লালপুরে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা টিপুর  গন সমাবেশ।। চট্টগ্রাম বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবসায়ী গ্রুপের ত্রি- বার্ষিক নির্বাচনে বিজয়ী মো.আমির হোসেন ভূইয়া।। ধর্ম উপদেষ্টার সাথে বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ।। সাভারে মাদ্রাসাশিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টায় আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা।। লক্ষ্মীপুরে ভুয়া সিআইডি গ্রেফতা।। পাবনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় যুবলীগ সভাপতি আটক।। দেবহাটায় আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস ও মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উৎযাপিত।। জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে রাজশাহী নগরীতে লফসের ক্যাম্পেইন।। লক্ষ্মীপুরে মাদক দ্রব্য সহ মা-ছেলে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।। দেবহাটা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা সম্প্রসারিত কর্মশালা।। পাইকগাছায় পাখির জন্য গাছে বাসা স্থাপনের উদ্বোধন করেন- ইউএনও মাহেরা নাজনীন।। ভোলায় নৌবাহিনী অভিযানে ৩ কোটি টাকার অবৈধ জাল জব্দ।। হাটহাজারীতে সন্ধ্যা আরতীর মধ্য দিয়ে ১২৮ পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা শুরু।। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে- ধর্ম উপদেষ্টা।। পীরগাছায় শিক্ষকদের হয়রানির অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন।। পাইকগাছায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফুটবল বিতরণ।। ইব্রাহিম খলিলুল্লাহর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে উত্তাল চিনাডুলী ফাজিল মাদ্রাসা।। সুন্দরগঞ্জে ঘাঘট নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩০ পরিবার।। সিলেটে পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যা মামলা তদন্ত পিবিআইতে।। ঠাকুরগাঁওয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় আদালতে আরও একটি মাম।। সারা দেশের ন্যায় রামুতে আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত।। জননী প্রকল্পের মাধ্যমে পীরগাছা উপজেলায় বাল্য বিয়ের পরিণতি ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।। ঠাকুরগাঁওয়ে মন্দিরে আবারো ১৪৪ ধারা জা।। এক বর্গফুট ২১৪ টাকার সিলিং ডেকোরেশন ৫৯৫০ টাকামালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ছালাম ও ঠিকাদার কাকলির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা।। গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেলের বারবার লিফট দুর্ঘটনা।। চট্টগ্রাম- দোহাজারী লাইনে ডেমু ট্রেন চালুর দাবি

লক্ষ্মীপুরে বন্যায় চর্মরোগ ও ডায়রিয়া ব্যাপক আকার ধারন করেছে।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 09:41:30 am, Tuesday, 17 September 2024
  • 11 বার পড়া হয়েছে

লক্ষ্মীপুরে বন্যায় চর্মরোগ ও ডায়রিয়া ব্যাপক আকার ধারন করেছে।।

মোঃ মাসুদ রানা মনি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।।
   
   
লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে তবে এখনো ব্যাপক এলাকায় বন্যার  পানি রয়ে গেছে। খাল- নালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় বন্যার পানি সরতে দেরী হচ্ছে। দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে উপদ্রুত এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে জ্বর- সর্দি-কাশি- চর্মরোগ ও ব্যাপক ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ।
কালো বর্ণ ধারণ করা পচা পানি গায়ে লাগলেই চুলকানি দেখা দিচ্ছে। জেলার অনেক মানুষই এই পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে পায়ে ক্ষত- হাতে খোসপাঁচড়া দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি ঘরে ঘরে জ্বর ও ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে । মধ্যম বয়সী নারী পেয়ারা বেগম -৪৮-।নিজেই সংসার চলান । স্বামী ভারসাম্যহীন রোগী। বন্যার  পানির সাথে থাকতে থাকতে পায়ে ঘা হয়েছে তার। ১১ দিন ধরে জ্বর। কাশি তো লেগেই আছে। হাঁটাচলা দূরের কথা- এখন ঠিকমতো দাড়াতেই পারছেন না চল্লিশ ছুঁই ছুঁই এ নারী। বাধ্য হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পেয়ারা বেগমের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা টুমচর গ্রামে। তিনি জানান, দুই সপ্তাহ ধরে বাড়িতে কোমরপানি ছিল। এখনও পানি আছে- তবে অল্প। স্বামী- দুই সন্তান নিয়ে সংসার। বাড়ির চারপাশে পানি থইথই করছে। পানিতে হাঁটাচলার কারণেই তিনি ঠান্ডা  জনিত রোগে আক্রান্ত হন। শুধু পেয়ারা বেগম নন- লক্ষ্মীপুরের বন্যাকবলিত পাঁচটি উপজেলার হাজার হাজার পরিবার জ্বর, ডায়রিয়া, চর্মসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত। রামগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ এলাকাই এখনো পানির নীচে। গত দুই দিনে একটু পানি কমেছে। এ উপজেলার প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরেই জ্বর সর্দি ও চর্ম রোগ দেখা দিয়েছে। চর্ম রোগের জন্য ব্যবহৃত টেটমোসোল সহ বিভিন্ন ঔষধ সামগ্রী হাসপাতাল গুলোতে সরবরাহ কম বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। 
গত কয়েকদিন জ্বর ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের ভিড় দেখা গেছে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে। ১০০ শয্যার হাসপাতালটিতে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে মোট শয্যা ১০টি। গতকাল  সন্ধ্যা পর্যন্ত ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি ছিল ১০৫ জন। এর মধ্যে শিশু ৭৬ ও নারী ১৯ জন।
সরেজমিনে দেখা যায়- ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গাদাগাদি করে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। শয্যা না পেয়ে রোগীদের জন্য মেঝেতে বিছানা পাতা হয়েছে। হাসপাতালে তথ্যমতে, এক সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়া- জ্বর ও পানিবাহিত রোগে সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এই সময়ের মধ্যে বহির্বিভাগ ও ভর্তি মিলিয়ে প্রায় এক হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা অরূপ পাল জানিয়েছেন- বন্যার পর এক সপ্তাহ ধরে লক্ষ্মীপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের ৮০ ভাগই শিশু। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ডায়রিয়া রোগীদের কেউ কেউ। অনেকে ঘরে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীর বলেন- বন্যার কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। জেলার ৫৮টি মেডিকেল টিম সেবা দিচ্ছে। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন। পানিবন্দী থাকা অনেক মানুষ ঠান্ডা  জনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এ ছাড়া নবজাতক- শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। তাই তাদের দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া দরকার ।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমান্ড্যান্টের ছত্রছায়া পূজার ডিউটিতে আনসার থেকে লাখ টাকার বাণিজ্য।।

লক্ষ্মীপুরে বন্যায় চর্মরোগ ও ডায়রিয়া ব্যাপক আকার ধারন করেছে।।

আপডেট সময় : 09:41:30 am, Tuesday, 17 September 2024
মোঃ মাসুদ রানা মনি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।।
   
   
লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে তবে এখনো ব্যাপক এলাকায় বন্যার  পানি রয়ে গেছে। খাল- নালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় বন্যার পানি সরতে দেরী হচ্ছে। দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে উপদ্রুত এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে জ্বর- সর্দি-কাশি- চর্মরোগ ও ব্যাপক ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ।
কালো বর্ণ ধারণ করা পচা পানি গায়ে লাগলেই চুলকানি দেখা দিচ্ছে। জেলার অনেক মানুষই এই পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে পায়ে ক্ষত- হাতে খোসপাঁচড়া দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি ঘরে ঘরে জ্বর ও ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে । মধ্যম বয়সী নারী পেয়ারা বেগম -৪৮-।নিজেই সংসার চলান । স্বামী ভারসাম্যহীন রোগী। বন্যার  পানির সাথে থাকতে থাকতে পায়ে ঘা হয়েছে তার। ১১ দিন ধরে জ্বর। কাশি তো লেগেই আছে। হাঁটাচলা দূরের কথা- এখন ঠিকমতো দাড়াতেই পারছেন না চল্লিশ ছুঁই ছুঁই এ নারী। বাধ্য হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পেয়ারা বেগমের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা টুমচর গ্রামে। তিনি জানান, দুই সপ্তাহ ধরে বাড়িতে কোমরপানি ছিল। এখনও পানি আছে- তবে অল্প। স্বামী- দুই সন্তান নিয়ে সংসার। বাড়ির চারপাশে পানি থইথই করছে। পানিতে হাঁটাচলার কারণেই তিনি ঠান্ডা  জনিত রোগে আক্রান্ত হন। শুধু পেয়ারা বেগম নন- লক্ষ্মীপুরের বন্যাকবলিত পাঁচটি উপজেলার হাজার হাজার পরিবার জ্বর, ডায়রিয়া, চর্মসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত। রামগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ এলাকাই এখনো পানির নীচে। গত দুই দিনে একটু পানি কমেছে। এ উপজেলার প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরেই জ্বর সর্দি ও চর্ম রোগ দেখা দিয়েছে। চর্ম রোগের জন্য ব্যবহৃত টেটমোসোল সহ বিভিন্ন ঔষধ সামগ্রী হাসপাতাল গুলোতে সরবরাহ কম বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। 
গত কয়েকদিন জ্বর ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের ভিড় দেখা গেছে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে। ১০০ শয্যার হাসপাতালটিতে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে মোট শয্যা ১০টি। গতকাল  সন্ধ্যা পর্যন্ত ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি ছিল ১০৫ জন। এর মধ্যে শিশু ৭৬ ও নারী ১৯ জন।
সরেজমিনে দেখা যায়- ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গাদাগাদি করে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। শয্যা না পেয়ে রোগীদের জন্য মেঝেতে বিছানা পাতা হয়েছে। হাসপাতালে তথ্যমতে, এক সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়া- জ্বর ও পানিবাহিত রোগে সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এই সময়ের মধ্যে বহির্বিভাগ ও ভর্তি মিলিয়ে প্রায় এক হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা অরূপ পাল জানিয়েছেন- বন্যার পর এক সপ্তাহ ধরে লক্ষ্মীপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের ৮০ ভাগই শিশু। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ডায়রিয়া রোগীদের কেউ কেউ। অনেকে ঘরে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীর বলেন- বন্যার কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। জেলার ৫৮টি মেডিকেল টিম সেবা দিচ্ছে। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন। পানিবন্দী থাকা অনেক মানুষ ঠান্ডা  জনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এ ছাড়া নবজাতক- শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। তাই তাদের দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া দরকার ।