মোঃ মাসুদ রানা মনি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।।
লক্ষ্মীপুরে যতই দিন যাচ্ছে বন্যার ভয়াবহতা ততই বেড়ে চলেছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফেনী ও নোয়াখালী থেকে ধেঁয়ে আসা পানি ও অনবরত বৃষ্টির ফলেই পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। গত দুই দিনে আবহাওয়া অফিস ১১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে।
বন্যার ভয়াবহতায় বিপর্যস্ত অবস্থায় দিন কাটছে লক্ষ্মীপুরে লাখ লাখ মানুষের। কোমর পানিতে যাতায়াতে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে।এছাড়া সুপেয় পানিরও অভাব দেখা দিয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে- জেলার শতভাগ এলাকা এখন পানির নিচে। প্রায় আট লাখ মানুষ পানিবন্দি। হাজার হাজার পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষের চাপও বৃদ্ধি পেয়েছে।
কোনো কোনো আশ্রয়কেন্দ্র পূর্ণ হয়ে গেছে। নতুন করে লোকজনের ঘরেও পানি উঠতে শুরু করেছে। তারাও আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনেকেই নিজের ঘরে চকির উপর চকি দিয়ে বসবাস করছে।আবার অনেকই ঘরবাড়ি রেখে জীবন বাঁচানোর তাগিদে দুর দুরান্ত আত্মীয় স্বজনদেন বাড়িতে আশ্রয়নিয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে জেলা প্রশাসন- বিভিন্ন রাজনৈতিক- সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী দিতে দেখা গেছে। তবে এটি চাহিদার তুলনায় খুবই কম বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. রেজাউল করিম- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না- জেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম লিটন- সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম হুমায়ুন- সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন- কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির- কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন- স্থানীয় জেলা সভাপতি মাহবুব আলম মামুন- সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল- জেলা ছাত্রদলের হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম- সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক সিনিয়র যুগ্ম সহসভাপতি ইয়াছিন আলী- সহ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম অনেকেই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ নিয়ে তৎপর রয়েছেন।
এছাড়া বন্যার্তদের মাঝে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প ও বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করছে জেলা কৃষকদল ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলো।