
রাবি প্রতিনিধি।।
রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে(রাবি) ‘শেখ হাসিনার বৈশি^ক ভাবমূর্তি: প্রসঙ্গ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় বিশ^বিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জমান লিটন বলেন, বর্তমান আমাদের বাংলাদেশের যতগুলো সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি তার মধ্যে কঠিন তম সমস্যা হচ্ছে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে আগত রোহিঙ্গাদের সমস্যা। মায়ানমার এমন একটি দেশ যেখানে গণতন্ত্রের চর্চা বলে কিছু নেই। জান্তাদের দ্বারা মায়ানমারের শাসন ব্যবস্থা শাসন চালিত হয় । মায়ানমারের পরিবেশ অনুযায়ী সেখানে প্রচুর পরিমানে তেল, গ্যাস ও মূল্যবান পাথর থাকার কথা। যা থেকে তারা দেশকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধশীল করা সম্ভব। কিন্তু তারা তা পারে নি। তারা তাদের দেশকে কিভাবে চালাবে সেটা তাদের বিষয়। কিন্তু এই বিষয়গুলো যখন তারা প্রতিবেশী দেশগুলোর উপর চাপায় দেয় তখন আমাদের কথা বলা ছাড়া উপায় থাকে না। বাংলাদেশে এখন ১২ লাখ রোহিঙ্গা এবং দিন দিন এর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ সরকার এই সংকট নিরসনে কাজ কওে যাচ্ছে।
এসময় বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ঢাকার বাহিরে এটা আমাদের প্রথম সভা । আজকে আমরা যে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করছি তা একটি বৈশ্বিক সমস্যা । যা আমাদের উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে । আর এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্যই আজকের এই সেমিনার । রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান এতোটা সহজ বিষয় না । এরমধ্যে অনেক বিষয় নিহিত, এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। এসমস্যা সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় , জাতীয় সম্প্রদায় কি করতে পারে, কি পথ দেখাতে পারে তা আমাদের জানা দরকার।
রবীন্দ্র বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শাহ আজম শান্তনু বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন দেশের ১৬ কোটি মানুষ যদি খেয়ে পরে বাঁচতে পারে তাহলে এই সাত লাখ মানুষ কেন বাচতে পারবে না। এখন হিসাব করে দেখা গেছে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ লাখ। প্রতি বছর ৩৫ হাজার শিশু জন্মগ্রহণ করায় আগামী বছর এর সংখ্যা দাড়াবে ১২ লাখ ৩৫ হাজার। আমরা যদি এই সমস্যাটির সমাধান এখন করতে না পারি তাহলে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দিনে দিনে আরও বাড়তে থাকবে। আমরা জানি ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নেয়। তখন বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনা জাতি সংঘের শরণাপন্ন হয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, যে দেশ সামরিক জান্তা দ্বারা পরিচালিত হয় এবং যে দেশে ইয়াবা উৎপাদিত হয় সেই দেশ থেকে আমরা কী আশা করতে পারি? আজকে যে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তির কথা আসছে সেটা আগেই প্রমাণিত হয়েছে নেতাদের কাছে। ২০০৮ সালের পর থেকে তিনি দেশের মানুষের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাঙ্গালী জাতি স¦ভাবতই পরোপকারী, তারা নিজে না খেয়ে হলেও অতিথিদের খাওয়ায়। রোহিঙ্গাদের জন্য কেউ কিছু করেনি, যা করেছে একমাত্র শেখ হাসিনা। আমি আশা করবো তারা যে পথেই এসেছে তারা যেন সে পথেই যায়।
বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিল্টন বিশ^াসের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপচার্য সুলতান উল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক রশিদ আসকারী প্রমূখ।