
রাবি প্রতিনিধি।।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মতিহার আবাসিক হলে বোনের বিয়ের জন্য সাহায্য চাইতে এসে চুরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে একজন সহকারী প্রক্টরের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের প্রক্টর দফতরে নিয়ে আসা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী থেকে জানা যায়, বুধবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার ছাত্র হলে সাহায্যর দুইজন লোক আসে। একজন নিজেকে হলের লন্ড্রিওয়ালার ছেলে বলে পরিচয় দেয় এবং বলে তার বোনের বিয়ের জন্য টাকার প্রয়োজন। এভাবে তারা এক রুম থেকে আরেক রুমে ঘুরতে থাকে। একজন ছাত্র রুম থেকে বাইরে যাবার সময় সময় লন্ড্রিওয়ালার সাথে দেখা হয়। তাকে জিজ্ঞাসা করলে বলে তার মেয়ের আরও ১৫ বছর আগে বিয়ে হয়ে গেছে। সেই ছাত্র ফিরে এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গেস্ট রুমে নিয়ে গেলে তারা চুরির দায় স্বীকার করে।
আটককৃতরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বুথপাড়া এলাকার মৃত আ: হকের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৩২)। অপরজন মেহেরচন্ডী পূর্বপাড়া গ্রামের আলহাজ্ব তাজুল ইসলামের ছেলে মো. জাহিদ হোসেন (৩২)। তার পিতা মতিহার হলে লন্ড্রির কাজ করেন।
মতিহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিব হোসেন বলেন, চোরদের একজন হলের লন্ড্রির কাজ করে যে, তার ছেলে। সে আগে থেকেই নেশা করে এবং নেশার টাকা জোগাড় করতে বিভিন্নজনের কাছে হাত পাতে। হলে কয়েকদিনের ব্যবধানে চারটি মোবাইল চুরি হয়েছে। আমাদের সন্দেহ এই কাজ তারাই করেছে। তারা জানে এই হলে কোথায় কী আছে। টাকা না পেলে তারা বিভিন্ন জিনিস চুরি করে। আজকে আমাদের এক ছোটভাই আটক করলে স্বীকার করেছে মাঝে মাঝে ওরা হলে আসে। এই থেকে আমরা ধারণা করছি ওরা চুরি করতে এসেছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আরিফুর ইসলাম বলেন, মতিহার হল থেকে চোর সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য প্রক্টর দপ্তরে আনা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে একজনের পিতা মতিহার হলে লন্ড্রির কাজ করেন। তারা সাহায্যের কথা বলে হল থেকে মোবাইল ও টাকা চুরি করে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণ পেলে তাদেরকে মতিহার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।