ইসমাইল ইমন
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং চট্টগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন আসন থেকে পরপর ৬বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য- বিএনপি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইন বিচার ও সংসদের বিষয়ক উপদেষ্টা- বর্ষীয়ান পার্লামেন্টারীয়ান শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার -১৩ সেপ্টেম্বর- সন্ধ্যায় ১৫ নং লালানগর ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ড জাতীয়তাবাদী পরিবারের উদ্যাগে উপজেলার লালানগর উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল মাঠে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও লালানগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক মো. ইয়াকুবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড. কামাল হোসেন চৌধুরী।
প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো ইউসুফ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি আব্দুল গফুর খান- উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইমাম হোসেন চৌধুরী- উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো. আশরাফুল ইসলাম হারুন- ১৫নং লালানগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. লিয়াকত আলী মেম্বার- উত্তর জেলা যুবদলের সহ যুগ্ম সম্পাদক মাস্টার এম. কামাল উদ্দীন- উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন- রুকন উদ্দিন- আনোয়ার হোসেন- লালানগর প্রবাসী বিএনপি পরিবারের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বখতিয়ার- উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক এম. কামাল উদ্দীন- উপজেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ার হোসেন- উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক- হেলাল আহমেদ- রাজানগর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা নবীর হোসেন তালুকদার রাজু- উপজেলা জিয়া মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মো. হাসান- আলমগীর- খোকন- আরিফ রুবেল- কামরুল ইসলাম- নুরুল আলম প্রমূখ।
আলোচনা সভায় শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্মৃতিচারণ করে প্রধান বক্তা মো. ইউসুফ চৌধুরী বলেন, ইসলামী মুল্যবোধ ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী আদর্শ ধংস জাতীয়তাবাদী দলকে নেতৃত্ব শুন্য করতে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার ষড়যন্ত্র ও নীলনকশার মধ্য দিয়ে শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ত্যা করেছে। শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগই কল্পিত ও বানোয়াট। রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। বার বার প্রানভিক্ষা নাটক সাজিয়েও স্বৈরাচারীরা সফল হয়নি।
শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ইসলামী মুল্যবোধের ওপর সুদৃঢ় বিশ্বাস ছিল বিধায় রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষাও চাননি। প্রাণভিক্ষার বিষয়ে তিনি সরাসরি বলে দিয়েছেন ‘একজন মু’মিন কখনো কোন মানুষের কাছে প্রাণভিক্ষার প্রশ্নই ওঠে না’। তার পরিবারও প্রাণভিক্ষার বিষয়টি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। মূলত: তখন স্বৈরাচারী সরকার শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপোষহীন চেতনা ও ঈমানী দৃঢ়তাকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস চালিয়েছিল। কিন্তু সফল হয়নি।
সভাপতির বক্তব্যে এ্যাড. কামাল হোসেন চৌধুরী, বলেন, শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে ছিলেন। অথচ যুদ্ধাপরাধীর তকমা লাগিয়ে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডে সাথে স্বৈরাচারিনী হাসিনা সরাসরি জড়িত। অতএব, হাসিনাসহ যারাই এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তাদের কাউকে ক্ষমা করার সুযোগ নেই। তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় কারিয়ে একইভাবে ফাঁসির কাষ্টে ঝুলাতে হবে। এই বিচারের দাবীতে দেশপ্রেমিক জনতা, ইসলামি মুল্যবোধে বিশ্বাসী ও জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ সকলকে সোচ্চার হয়ে দাড়াতে হবে।
এসময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচন সভা শেষে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ, শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে ছয় মেয়াদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে রাউজান এবং রাঙ্গুনিয়া, ১৯৮৬, ১৯৯১ সালে রাউজান, ১৯৯৬, ২০০১ সালে রাঙ্গুনিয়া ও ২০০৮ সালে ফটিকছড়ি আসন থেকে সাংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।