Dhaka , Tuesday, 17 September 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
মহানবী (সা.) এর পুরো জীবনটাই আমাদের জন্য আদর্শ -ধর্ম উপদেষ্টা।। শেখ মুজিবকে চিরতরে হত্যা করেছে শেখ হাসিনা- এস.এম.ফজলুল হক।। মীর নোয়াবুল হক মেমোরিয়াল হাইস্কুলে পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।। ঝালকাঠিতে গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু।। চট্টগ্রামে ভূমি অফিস পরিদর্শনকালে আবেদনকারীর হাতে ই-নামজারি খতিয়ান তুলে দিলেন ভূমি উপদেষ্টা।। রূপগঞ্জে বিসমিল্লাহ আড়তের দখল ও প্রদেয় টাকা ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন।। নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ।। আহত সিলেটের কাউন্সিলর আফতাব হোসেন এর ভাতিজার অবস্থা আশঙ্কাজনক।। রামগঞ্জে নানা আয়োজনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন।। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করলো রামু বিএনপির সভাপতি মোক্তার।। তিতাসে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উদযাপন উপলক্ষ্যে আনন্দ র‍্যালী ও সভা অনুষ্ঠিত।। ঈদগড়ে গভীর রাতে বসতবাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি -নগদ টাকাসহ মোবাইল লুট।। তারাকান্দায় রেজভীয়া দরবার শরীফের অনুসারীদের উপড় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের হামলা যানবাহন ভাংচুর আহত-৫।। চাঁদাবাজি হত্যার হুমকিতে ২০ দিন নেই কর্মস্থলে।। লক্ষ্মীপুরে মাছঘাট দখল করে পদ হারালেন যুবদল নেতা।। তাহিরপুর সীমান্তে কোয়ারি ধ্বসে কয়লা শ্রমিক নিহত।। লাকসামে সড়ক দুর্ঘটনায় এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু।। রাসুলের (স.)আদর্শের বিকল্প নেই -ধর্ম উপদেষ্টা।। বিদেশে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগ নেতা আটক।। রাজধানীর দক্ষিণখানে বাড়ি ভাংচুর লুটপাট ও বাড়িওয়ালাকে হত্যার হুমকি- মামলা দায়ের।। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে বীর শহীদদের স্মরণে দুর্গাপুরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।। কক্সবাজারর টেকনাফর আলী ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক।। চাঁদপুরে বৃষ্টিতে জনজীবন স্থবির।। ক্রীড়া জগতে বৈষম্য দূর করতে কাজ করবো মাসুদুজ্জামান।। সীতাকুণ্ড বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ,অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।। মোংলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে জামায়াতের প্রীতি সমাবেশ।। রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত।। জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সুন্দরগঞ্জে বিক্ষোভ।। পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত আহত সাতজন।। বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে সাবেক এমপি কিরনের কারখানার শ্রমিকদের মানববন্ধন।।

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন- কারাগারে ইবি শিক্ষক।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 12:12:31 pm, Thursday, 29 August 2024
  • 5 বার পড়া হয়েছে

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন- কারাগারে ইবি শিক্ষক।।

সাইফ ইব্রাহিম

ইবি প্রতিনিধি।।

   

   
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের -ইবি- ফিন্যান্স  এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার সরকারকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্ত্রী জয়া শাহার করা মামলার শুনানিতে তার জামিন না মঞ্জুর করে  নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহিম এ আদেশ দেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী আলেক শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আলেক শেখ বলেন- উনি -সঞ্জয় সরকার- আজকে জামিন চেয়েছিলেন। উনার নামে উনার স্ত্রী -জয়া সাহা- নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছিলেন। আজ সেই মামলায় জামিন নিতে আসলে তাকে জজ সাহেব জামিন না দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।

এ বিষয়ে সঞ্জয় কুমারের আইনজীবী শাহজাহান কবীর বলেন, আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আশা করি তিনি জামিন পাবেন। আমরা আগামী রবিবার আবারো জামিনের জন্য চেষ্টা করবো।

মামলার আসামী সঞ্জয় সরকার পাবনা জেলার চড়াডাঙ্গা উপজেলার সুশান্ত কুমার সরকারের ছেলে। অন্যদিকে তার স্ত্রী জয়া সাহা নাটোর জেলার উপরবাজার উপজেলার রতন কুমার সাহার বড় মেয়ে। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সম্প্রতি এল.এল.এম শেষ বর্ষের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আট বছর পূর্বে ২০১৫ সালে ড. সঞ্জয় সরকারের সাথে জয়া সাহার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় জয়ার বাবা মেয়ের কল্যাণের কথা ভেবে উপহার হিসেবে ২৫ লক্ষ টাকা, ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজ সহ প্রয়োজনীয় যাবতীয় ফার্ণিচার প্রদান করে। আট বছরের সংসারকালে প্রায় সময় যৌতুকের জন্য সঞ্জয় তার স্ত্রীকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন। সর্বশেষ প্লাট কেনার জন্য সঞ্জয় তার স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে যৌতুক বাবদ ১০ লক্ষ টাকা এনে দেওয়ার জন্য নির্যাতন করে। কিন্তু তার স্ত্রী এতে অস্বীকৃতি জানালে গত বছরের জুন মাসে স্ত্রীকে জোরপূর্বক শ্বশুরবাড়ি রেখে আসে সঞ্জয়। তারপর থেকে উভয়ই একবছর আলাদা থাকছেন। তাদের সংসারে সাড়ে চার বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এদিকে গত ৯ ফেব্রুয়ারি শ্বশুর বাড়ির লোকজন সঞ্জয়কে সংসার করার অনুরোধ করলেও যৌতুকের টাকা না দিলে তাতে অসম্মতি জানান সঞ্জয়। এ ঘটনার পর গত মার্চে তার বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ) এবং ৩০ ধারায় মামলা করেন স্ত্রী জয়া শাহা। মামলায় সঞ্জয় ছাড়াও আরও তিন জনকে আসামী করা হয়েছে। তারা হলেন- সঞ্জয়ের বাবা সুশান্ত কুমার সরকার, মা উষা রানী সরকার ও ভাই দুর্জয় কুমার সরকার।

এর আগে গত ৪জুন এসব ঘটনার বিচারের দাবিতে ইবির প্রেস কর্ণারে সংবাদ সম্মেলন করেন বাদী জয়া শাহা। জয়া অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি তাকে শারীরিক নির্যাতন করতেন সঞ্জয়। সেন্ডেল, বেল্ট, ঝাঁটা, হাতা, খুন্তি, বেলনা থেকে শুরু করে হাতের কাছে যখন যা পেতেন তা দিয়েই শারীরিক নির্যাতন করতেন। অনেক সময় মারতে মারতে অসুস্থ হয়ে পড়লে গাড়ী ভাড়া করে তাকে বাপের বাড়িতে রেখে আসতো সঞ্জয়। এছাড়া তাকে বিভিন্ন সময় মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হতো। তাকে ছাড়াও তার সাড়ে চার বছরের সন্তানকেও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন তিনি।

এসব অভিযোগ ছাড়াও সঞ্জয় কুমারের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে বিভাগের এক ছাত্রীকে মানসিক নিপীড়ন ও হুমকির অভিযোগ রয়েছে। এতে ওই ছাত্রী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। পরে ছাত্রীর বাবার অভিযোগে গঠিত তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিললে সঞ্জয় ভুক্তভোগী ছাত্রীর কোনো কোর্সে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারবে না বলে প্রশাসন সিন্ধান্ত প্রদান করেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

মহানবী (সা.) এর পুরো জীবনটাই আমাদের জন্য আদর্শ -ধর্ম উপদেষ্টা।।

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন- কারাগারে ইবি শিক্ষক।।

আপডেট সময় : 12:12:31 pm, Thursday, 29 August 2024

সাইফ ইব্রাহিম

ইবি প্রতিনিধি।।

   

   
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের -ইবি- ফিন্যান্স  এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার সরকারকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্ত্রী জয়া শাহার করা মামলার শুনানিতে তার জামিন না মঞ্জুর করে  নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহিম এ আদেশ দেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী আলেক শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আলেক শেখ বলেন- উনি -সঞ্জয় সরকার- আজকে জামিন চেয়েছিলেন। উনার নামে উনার স্ত্রী -জয়া সাহা- নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছিলেন। আজ সেই মামলায় জামিন নিতে আসলে তাকে জজ সাহেব জামিন না দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।

এ বিষয়ে সঞ্জয় কুমারের আইনজীবী শাহজাহান কবীর বলেন, আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আশা করি তিনি জামিন পাবেন। আমরা আগামী রবিবার আবারো জামিনের জন্য চেষ্টা করবো।

মামলার আসামী সঞ্জয় সরকার পাবনা জেলার চড়াডাঙ্গা উপজেলার সুশান্ত কুমার সরকারের ছেলে। অন্যদিকে তার স্ত্রী জয়া সাহা নাটোর জেলার উপরবাজার উপজেলার রতন কুমার সাহার বড় মেয়ে। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সম্প্রতি এল.এল.এম শেষ বর্ষের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আট বছর পূর্বে ২০১৫ সালে ড. সঞ্জয় সরকারের সাথে জয়া সাহার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় জয়ার বাবা মেয়ের কল্যাণের কথা ভেবে উপহার হিসেবে ২৫ লক্ষ টাকা, ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজ সহ প্রয়োজনীয় যাবতীয় ফার্ণিচার প্রদান করে। আট বছরের সংসারকালে প্রায় সময় যৌতুকের জন্য সঞ্জয় তার স্ত্রীকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন। সর্বশেষ প্লাট কেনার জন্য সঞ্জয় তার স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে যৌতুক বাবদ ১০ লক্ষ টাকা এনে দেওয়ার জন্য নির্যাতন করে। কিন্তু তার স্ত্রী এতে অস্বীকৃতি জানালে গত বছরের জুন মাসে স্ত্রীকে জোরপূর্বক শ্বশুরবাড়ি রেখে আসে সঞ্জয়। তারপর থেকে উভয়ই একবছর আলাদা থাকছেন। তাদের সংসারে সাড়ে চার বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এদিকে গত ৯ ফেব্রুয়ারি শ্বশুর বাড়ির লোকজন সঞ্জয়কে সংসার করার অনুরোধ করলেও যৌতুকের টাকা না দিলে তাতে অসম্মতি জানান সঞ্জয়। এ ঘটনার পর গত মার্চে তার বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ) এবং ৩০ ধারায় মামলা করেন স্ত্রী জয়া শাহা। মামলায় সঞ্জয় ছাড়াও আরও তিন জনকে আসামী করা হয়েছে। তারা হলেন- সঞ্জয়ের বাবা সুশান্ত কুমার সরকার, মা উষা রানী সরকার ও ভাই দুর্জয় কুমার সরকার।

এর আগে গত ৪জুন এসব ঘটনার বিচারের দাবিতে ইবির প্রেস কর্ণারে সংবাদ সম্মেলন করেন বাদী জয়া শাহা। জয়া অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি তাকে শারীরিক নির্যাতন করতেন সঞ্জয়। সেন্ডেল, বেল্ট, ঝাঁটা, হাতা, খুন্তি, বেলনা থেকে শুরু করে হাতের কাছে যখন যা পেতেন তা দিয়েই শারীরিক নির্যাতন করতেন। অনেক সময় মারতে মারতে অসুস্থ হয়ে পড়লে গাড়ী ভাড়া করে তাকে বাপের বাড়িতে রেখে আসতো সঞ্জয়। এছাড়া তাকে বিভিন্ন সময় মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হতো। তাকে ছাড়াও তার সাড়ে চার বছরের সন্তানকেও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন তিনি।

এসব অভিযোগ ছাড়াও সঞ্জয় কুমারের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে বিভাগের এক ছাত্রীকে মানসিক নিপীড়ন ও হুমকির অভিযোগ রয়েছে। এতে ওই ছাত্রী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। পরে ছাত্রীর বাবার অভিযোগে গঠিত তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিললে সঞ্জয় ভুক্তভোগী ছাত্রীর কোনো কোর্সে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারবে না বলে প্রশাসন সিন্ধান্ত প্রদান করেন।