Dhaka , Saturday, 15 November 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
রামগঞ্জে দেবর কর্তৃক ভাবীকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা মির্জাপুরে চতুর্থ শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ: আসামী পলাতক জুলাই জাতীয় সনদ কার্যকর: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের প্রতিক্রিয়া নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে: জামায়াতসহ ৮ দলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ব্যারিস্টার মীর হেলাল এর পক্ষে দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়ন বিএনপির ব্যাপক গণসংযোগ সিএমপি’র কোতোয়ালী থানা পুলিশ কর্তৃক বিশেষ অভিযানে ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার সিলেটের তিন তরুণ শিল্পীর অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া কৃষি উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ আবশ্যক -বিভাগীয় কমিশনার আওয়ামী লীগ ঘোষিত লকডাউনের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মোটরসাইকেল শোডাউন আইনজীবী সমিতির মসজিদ নির্মাণ কাজ স্থগিত, সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট বার্তা লালমনিরহাটে ‘মাদকবিরোধী ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫’ অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৩ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ জন কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড মধুপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্লে গ্রাউন্ড ও বাংলাদেশের মানচিত্রের মুরাল উদ্বোধন শার্শায় দরিদ্র পরিবারের সন্তান শামীম রেজা হলেন শিক্ষা ক্যাডার সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল রূপগঞ্জে আওয়ামীলীগের লকডাউনের প্রতিবাদে সভা ॥ বিক্ষোভ রূপগঞ্জে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রশংসিত এসিল্যান্ড তারিকুল আলমকে বিদায়ী সংবর্ধনা মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ফরাসি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপনে নতুন আয়োজন আওয়ামীলীগের লকডাউন ঠেকাতে রূপগঞ্জে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচী ও বিক্ষোভ মনোনয়ন জমা দানে তুগলকি কান্ড, বিএসবিওএ নির্বাচনে প্রার্থীদের ক্ষোভ…. চন্দনাইশে ২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। বরগুনায় জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগের ভিডিও ভাইরাল: নেতার দাবি ও রহস্য রাজনীতির মাধ্যমে নয়, আওলিয়াদের দাওয়াতে ইসলাম এসেছে: পীর ছাহেব ছারছীনা। গাজীপুর-৬ আসন পুনর্বহালের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ গাজীপুরে তিন মহাসড়কে তিন বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা পাইকগাছায় বিএনপি প্রার্থী বাপ্পীর পক্ষে লিফলেট বিতরণ পাইকগাছায় উপকূল দিবস পালিত : জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে আলোচনা সভা টেকনাফে চাঞ্চল্যকর মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ! র‌্যাব-১৫ এর অভিযানে কলেজছাত্র উদ্ধার সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ, তিনবিঘা করিডোরে বাংলাদেশী আটক

মোংলায় গৃহহীন পরিবার পেলো নবজীবনের ঠিকানা

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 07:21:09 pm, Wednesday, 22 March 2023
  • 44 বার পড়া হয়েছে
মোঃ রুবেল খান 
মোংলা বাগেরহাট ।।

 

জীবনের অর্ধেকেরও বেশি সময় কেটেছে ভাসমান অবস্থায়, ছিল না কোনও স্থায়ী ঠিকানা। আবার কারও কারও ঠিকানার অভাবে নিজ দেশেই ছিল নাগরিকত্বের পরিচয়ও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপহারের আধাপাকা ঘরসহ জমির মালিক হয়ে সবই পেয়েছেন তারা। সেখানেই নতুন করে জীবনের স্বপ্ন বুনছেন একসময়ের গৃহহীন নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে পেয়েছেন ঘর। জীবন সায়াহ্নে এসে আবার নতুন করে সংসারে মেতেছেন অনেক দম্পতি। নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন সুন্দর জীবনের।কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

উপহারের ঘর পাওয়া নিম্নআয়ের সবারই স্বপ্ন ও জীবনযাপনে পরিবর্তন এসেছে। হাঠৎ এমন পরিবর্তনে একদিনে যেমন উচ্ছ্বসিত তারা। অন্যদিকে নতুন করে বাঁচার তাগিদ তাদের মনে। শুধু নিজের ঘর নয়, পুরো প্রকল্প এলাকাই সাজছে তাদের যত্ন ও আবেগে। কেউ কেউতো ঘর বুঝে পাওয়ার আগেই চলে এসেছেন নির্মাণাধীন ঘরের তদারকিতে।

সারাদিন কায়িক পরিশ্রম শেষে ফিরতে হতো অন্যের ঘরে। এখন প্রতিদিন ফিরতে পারেন নিজ ঘরে। শুধু ঘরই নয়, আছে নিজ নিজ নামে দুই শতক জমি, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট, সুন্দর বারান্দাসহ বসবাসের নিরাপদ সুবিধা।

চতুর্থ পর্যায়ে মোংলা উপজেলার চাঁদপাই, সোনাইলতলা ও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঠাই হয়েছে ভূমিহীন ও গৃহহীন ১২০ টি পরিবারের। এসব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের কাছে প্রত্যেকটি ঘর যেন স্বপ্নের ঠিকানা। আশ্রয়ন প্রকল্পে উপকার ভুগীরা নিজেদের ঘরের পাশে সবজি উৎপাদন ও ফল গাছ লাগিনাসহ নদীতে মৎস্য আহরণ, হাঁস মুরগি পালনসহ ক্ষেত খামারে কাজ করে নিশ্চিন্তে উপার্জন করে দিন যাপন করবেন তারা। এছাড়া গরু, ছাগল পালন ও ক্ষুদ্র ব্যবসা করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার প্রতিটি ঘর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে টাকা। ৪৩৫ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে রয়েছে দুটি শয়নকক্ষ, একটি করে বারান্দা, রান্নাঘর, বাথরুম ও নামাজের জায়গাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে।

এছাড়া প্রথম পর্যায়ে ৫০টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২৫টি, তৃতীয় পর্যায়ে ২০০টি ঘর গৃহহীনদের মাঝে দেয়াসহ চতুর্থ পর্যায়ের প্রথম ধাপে ৫০টি পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রম উদ্ভোধন করা হয়। প্রতিটি ঘরে বাসগৃহ মানসম্মত নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, নির্ধারিত ডিজাইন অনুযায়ী ৫টি জানালা ও ৩টি দরজা রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ঘরের জন্য দুই শতক জমি এবং ঘরের সামনে ২২ ফুট চওড়া রাস্তা ও পাশে ১৮ ফুট চওড়া রাস্তা রয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগসহ ৩০০০ হাজার লিটার পানির ট্যাঙ্কির ব্যবস্থা করা হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ের প্রতিটা ঘরের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২লক্ষ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা।

এদিকে বুধবার (২২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশব্যাপী ভূমিহীন পরিবারদের জমি ও ঘর হস্তান্তরের উদ্বোধন করেন। এদিন সকালে মোংলা উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর দাশ’র সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।

এসময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জাফর রানা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস.এ.আনোয়ার-উল কুদ্দুস, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলাম, সহকারী প্রোগ্রামার (উপজেলা আইসিটি অফিসার) সৌমিত্র বিশ্বাস, উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ জুবাইর হোসেন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার সবুজ বৈরাগী, বুড়িরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান উদয় শংকর বিশ্বাস, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতারা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর দাশ বলেন, ঘর গুলি নির্মাণে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। বাজারের সবচেয়ে ভালো ব্র্যান্ডের সিমেন্ট, টিএমটি বার রড, ভালো ইট, উন্নতমানের পিকেট খোয়া, ভালো মেহগনি কাঠ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়েছে। নিজের কাজ মনে করেই এসব কাজ করা হয়েছে। এসব দুস্থ পরিবার গুলো যেন এসব ঘরে বসবাস করে শান্তি পায় সে বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করা হয়েছে। দেশের সব দরিদ্র ও ভূমিহীন মানুষদের পর্যায়ক্রমে আশ্রয়ের ঠিকানা গড়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর এই মানবিক উদ্যোগ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ উদ্যোগ সারা বিশ্বের মধ্যে অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন তিনি।

উল্লেখ্য ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, যা প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে।

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রামগঞ্জে দেবর কর্তৃক ভাবীকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা

মোংলায় গৃহহীন পরিবার পেলো নবজীবনের ঠিকানা

আপডেট সময় : 07:21:09 pm, Wednesday, 22 March 2023
মোঃ রুবেল খান 
মোংলা বাগেরহাট ।।

 

জীবনের অর্ধেকেরও বেশি সময় কেটেছে ভাসমান অবস্থায়, ছিল না কোনও স্থায়ী ঠিকানা। আবার কারও কারও ঠিকানার অভাবে নিজ দেশেই ছিল নাগরিকত্বের পরিচয়ও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপহারের আধাপাকা ঘরসহ জমির মালিক হয়ে সবই পেয়েছেন তারা। সেখানেই নতুন করে জীবনের স্বপ্ন বুনছেন একসময়ের গৃহহীন নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে পেয়েছেন ঘর। জীবন সায়াহ্নে এসে আবার নতুন করে সংসারে মেতেছেন অনেক দম্পতি। নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন সুন্দর জীবনের।কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

উপহারের ঘর পাওয়া নিম্নআয়ের সবারই স্বপ্ন ও জীবনযাপনে পরিবর্তন এসেছে। হাঠৎ এমন পরিবর্তনে একদিনে যেমন উচ্ছ্বসিত তারা। অন্যদিকে নতুন করে বাঁচার তাগিদ তাদের মনে। শুধু নিজের ঘর নয়, পুরো প্রকল্প এলাকাই সাজছে তাদের যত্ন ও আবেগে। কেউ কেউতো ঘর বুঝে পাওয়ার আগেই চলে এসেছেন নির্মাণাধীন ঘরের তদারকিতে।

সারাদিন কায়িক পরিশ্রম শেষে ফিরতে হতো অন্যের ঘরে। এখন প্রতিদিন ফিরতে পারেন নিজ ঘরে। শুধু ঘরই নয়, আছে নিজ নিজ নামে দুই শতক জমি, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট, সুন্দর বারান্দাসহ বসবাসের নিরাপদ সুবিধা।

চতুর্থ পর্যায়ে মোংলা উপজেলার চাঁদপাই, সোনাইলতলা ও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঠাই হয়েছে ভূমিহীন ও গৃহহীন ১২০ টি পরিবারের। এসব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের কাছে প্রত্যেকটি ঘর যেন স্বপ্নের ঠিকানা। আশ্রয়ন প্রকল্পে উপকার ভুগীরা নিজেদের ঘরের পাশে সবজি উৎপাদন ও ফল গাছ লাগিনাসহ নদীতে মৎস্য আহরণ, হাঁস মুরগি পালনসহ ক্ষেত খামারে কাজ করে নিশ্চিন্তে উপার্জন করে দিন যাপন করবেন তারা। এছাড়া গরু, ছাগল পালন ও ক্ষুদ্র ব্যবসা করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার প্রতিটি ঘর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে টাকা। ৪৩৫ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে রয়েছে দুটি শয়নকক্ষ, একটি করে বারান্দা, রান্নাঘর, বাথরুম ও নামাজের জায়গাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে।

এছাড়া প্রথম পর্যায়ে ৫০টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২৫টি, তৃতীয় পর্যায়ে ২০০টি ঘর গৃহহীনদের মাঝে দেয়াসহ চতুর্থ পর্যায়ের প্রথম ধাপে ৫০টি পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রম উদ্ভোধন করা হয়। প্রতিটি ঘরে বাসগৃহ মানসম্মত নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, নির্ধারিত ডিজাইন অনুযায়ী ৫টি জানালা ও ৩টি দরজা রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ঘরের জন্য দুই শতক জমি এবং ঘরের সামনে ২২ ফুট চওড়া রাস্তা ও পাশে ১৮ ফুট চওড়া রাস্তা রয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগসহ ৩০০০ হাজার লিটার পানির ট্যাঙ্কির ব্যবস্থা করা হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ের প্রতিটা ঘরের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২লক্ষ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা।

এদিকে বুধবার (২২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশব্যাপী ভূমিহীন পরিবারদের জমি ও ঘর হস্তান্তরের উদ্বোধন করেন। এদিন সকালে মোংলা উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর দাশ’র সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।

এসময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জাফর রানা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস.এ.আনোয়ার-উল কুদ্দুস, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলাম, সহকারী প্রোগ্রামার (উপজেলা আইসিটি অফিসার) সৌমিত্র বিশ্বাস, উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ জুবাইর হোসেন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার সবুজ বৈরাগী, বুড়িরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান উদয় শংকর বিশ্বাস, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতারা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর দাশ বলেন, ঘর গুলি নির্মাণে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। বাজারের সবচেয়ে ভালো ব্র্যান্ডের সিমেন্ট, টিএমটি বার রড, ভালো ইট, উন্নতমানের পিকেট খোয়া, ভালো মেহগনি কাঠ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়েছে। নিজের কাজ মনে করেই এসব কাজ করা হয়েছে। এসব দুস্থ পরিবার গুলো যেন এসব ঘরে বসবাস করে শান্তি পায় সে বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করা হয়েছে। দেশের সব দরিদ্র ও ভূমিহীন মানুষদের পর্যায়ক্রমে আশ্রয়ের ঠিকানা গড়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর এই মানবিক উদ্যোগ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ উদ্যোগ সারা বিশ্বের মধ্যে অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন তিনি।

উল্লেখ্য ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, যা প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে।