Dhaka , Friday, 13 June 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
রামু উপজেলা মহিলা দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালপুরে বৈ’ধ বালুমহালে চাঁ’দাবা’জির অভি’যোগে সংবাদ সম্মেলন রাজাপুরে দেশীয় অ’স্ত্র নিয়ে জমি দ’খলের চেষ্টা, পরিবার অবরু’দ্ধ — এলাকায় চরম উ’ত্তেজ’না  পাবনার পদ্মা নদীতে পুলিশী অভিযানে ২টি আ’গ্নেয়া’স্ত্র’সহ ৬ জন গ্রে’ফতার সাতকানিয়ায় যুবলীগ নেতাকে অপহ’রণ, যৌথবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার সাভারের আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিককে ছু’রিকা’ঘাতে হ’ত্যা, ছি’নতাইকারী গ্রেফতার লালমনিরহাট সীমান্তে নারী ও শিশুসহ ৭ বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে বিএসএফ শরীয়তপুরে সেনাবাহিনীর নাম ভাঙিয়ে বাড়িতে হামলা: আতঙ্কে নারীর মৃ’ত্যু পাইকগাছায় পরোয়ানাভুক্ত ৬ আসামি সহ আটক-৭ লালমনিরহাট সীমান্তে ১.৩৩ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় গাঁ’জা ও অ’বৈধ ঔষধ আটক করেছে ১৫ বিজিবি পূর্বাচল ৩০০ ফিটে যৌথ বাহিনীর অভিযান ছাএলীগ নেতাকে ছাড়াতে ছাএদল নেতার শুলি ব্যবসায়ী নি’হত মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে আবারও ফ্যাসিস্টরা ক্ষমতায় আসবে মান্নান হীরাকে ইতালী বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীতা ঘোষনা নোয়াখালীতে ব্যাপক আনন্দ উল্লাস রূপগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ভয়াবহ অ’গ্নিকাণ্ড: হিরনালে একটি বাড়ি পু’ড়ে ছাই, প্রা’ণহানি নেই বরিশালে পর’কীয়া প্রেমের জুটি আটক লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিষপানে যুবকের আ’ত্মহ’ত্যা,কারণ পারিবারিক কলহের দাবি ভাইয়ের  নাটোরে  মব সৃষ্টি করে না’শকতার অভিযোগে যৌথ বাহিনীর হাতে আটক ৪ পেপারের ভেতরে এক অভিনব কায়দায় লুকানো ১২ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল বেগমগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত  চৌমুহনীর যানজট নিরশনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর উচ্ছেদ অভিযান দুর্গাপুর উপজেলার ৩ ইউনিয়নে বিএনপির দ্বি বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাটোরে মাটি পরিবহনের সময় ৪০টি ট্রাক্টর জব্দ করেছে সেনাবাহিনী রায়পুরায় ঈদ পরর্বতী ঈদ-পুর্নী মিলনী ও সংর্বধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠতি হয়েছে সাগরে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ, কাল থেকে মাছ ধরতে নামবেন জেলেরা ঈদ শুভেচ্ছায় মিলনমেলা, ভবিষ্যৎ আন্দোলনে ঐক্যের আহ্বান শহিদুজ্জামানের রাজশাহী বিভাগে সর্বাধিক কোরবানি কালীগঞ্জে  ফেনসিডিল ও এস্কাফ সিরাপসহ এক মাদক কারবারি  র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার  হাটহাজারিতে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু পাটগ্রামে নদীর খালে পড়ে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, এলাকায় শোকের ছায়া 

মেহেরপুর পাক হানাদার মুক্ত দিবস

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 06:19:46 pm, Tuesday, 6 December 2022
  • 114 বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর পাক হানাদার মুক্ত দিবস

মেহেরপুর প্রতিনিধি।।

আজ ৬ ডিসেম্বর, মেহেরপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী মেহেরপুর পাক হানাদার মুক্ত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা হামলায় একে একে ভেঙ্গে পড়ে পাক হানাদারদের শক্তিশালী সামরিক বলয়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে ৫ ডিসেম্বর রাত থেকে পাক বাহিনী গোপনে মেহেরপুর ছেড়ে পালাতে থাকে। ৬ ডিসেম্বর সকালে মিত্র বাহিনী মেহেরপুর শহরে প্রবেশ করলে অবরুদ্ধ জনতা মিত্র বাহিনীর সঙ্গে জয়ের উল্লাসে যোগ দেয়।

মেহেরপুরের গাংনীর বীরমুক্তিযোদ্ধা নুহু বাঙ্গালী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণের পর মেহেরপুুর টার্গেটে পরিণত হয় হানাদার বাহিনীর। সে অনুযায়ী ১৮ এপ্রিল দুপুরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে সড়ক পথে মেহেরপুর প্রবেশ করার সময় সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামে নির্মম গণহত্যা চালায়। ফলে এ অঞ্চলের প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যতঃ ভেঙ্গে পড়ে। ভীত সন্ত্রস্থ জনসাধারণ ঘর-বাড়ি ভিটেমাটি ত্যাগ করে এ জেলা থেকে সীমান্ত পার হয়ে ভারতের পশ্চিম বাংলায় আশ্রয় গ্রহণ করে। ভারতের হৃদয়পুর, বেতাই, শিকারপুর, করিমপুর, কাচুলিয়া, বিহার সহ বেশকয়েটি জায়গায় প্রশিক্ষণ শিবির খোলা হয়।

ভারতীয় বাহিনীর তত্বাবধানে বাংলাদেশী যুব সমাজ গেরিলা ও যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে থাকে। প্রথম অবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণ অস্ত্র না পাওয়ায় তাদের মনোবল ভেঙ্গে পড়লেও দেশ স্বাধীনের স্বপ্নে বিভোর হয়ে অনেকেই দেশে এসে ক্যাম্প লুট করে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে মেহেরপুর সরকারি কলেজ, ভকেশনাল এবং কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল সহ তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাক বাহীনি শক্তিশালী দূর্গ গড়ে তোলে।

এছাড়াও মেহেরপুর মহাজনপুরের পাশে চুয়াডাঙ্গার নাটুদা হাইস্কুলে পাক বাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল। এ ঘাঁটির সঙ্গে নুরপুর, মানিকনগর ও মেহেরপুর ক্যাম্পের সার্বক্ষনিক যোগাযোগ হত। মে মাসের মাঝামঝি সময়ে গোটা মেহেরপুর জেলা পাকবাহিনী পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেয়। জুন-জুলাই মাসের দিকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ শেষে গেরিলারা এসে সেতু কার্লভাট ধবংস এবং টেলিফোন সংযোগ বিছিন্ন করে মাইন পুতে রেখে পাক বাহিনীদের যোগাযোগ এবং খাদ্য সরবরাহে বিপদ সংকুল করে তোলে। আগষ্ট মাসের ২ ও ৩ তারিখে মানিকনগর ক্যাম্প উঠিয়ে মোনাখালিতে এবং কাথুলি ক্যাম্প উঠিয়ে গাংনীর ভাটপাড়াতে স্থাপন করতে বাধ্য হয় পাকবাহিনী।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্তাজ আলী বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে পাকসেনারা রাজাকারদের সহায়তায় সাধারণ মানুষ সহ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর নির্মম অত্যাচার নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট চালাতে থাকে। পাকসেনারা আমঝুপি, ওয়াপদা মোড়, পিরোজপুর, বুড়িপোতা, গোভীপুর, শালিকা, রাজাপুর, কাজিপুর, তেরাইল, জোড়পুকুরিয়া, বাগোয়ান-রতনপুর, ভাটপাড়া কুঠি, সাহেবনগর, কোলা, হিন্দা ও বাড়িবাঁকা সহ বিভিন্ন গ্রামে নৃশংস গণহত্যা চালায়। যেখানেই গণহত্যা সেখানেই বধ্যভূমি রয়েছে। মেহেরপুরে অন্তত ১৫টি বধ্যভূমি সন্ধান পাওয়া গেছে। তার মধ্যে মেহেরপুর সরকারি কলেজের উত্তরের খোলা মাঠ, কালাচাঁদপুর ঘাট, তাহের ক্লিনিকর পূর্বদিক, ও ভাটপাড়া কুঠি অন্যতম বধ্যভূমি। মুক্তিযুদ্ধ চলা কালিন খলিশাকুন্ডি, গোয়ালগ্রাম, সাহেবনগর, কাজিপুর সহ অন্তঃত ৫০ টি স্থানে পাকবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ হয়। পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে ১৭০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হলেও মুক্তিবাহীনির প্রতিরোধের মুখে ক্রমশঃ কোনঠাসা হয়ে পড়ে পাকবাহিনী।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

রামু উপজেলা মহিলা দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর পাক হানাদার মুক্ত দিবস

আপডেট সময় : 06:19:46 pm, Tuesday, 6 December 2022

মেহেরপুর প্রতিনিধি।।

আজ ৬ ডিসেম্বর, মেহেরপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী মেহেরপুর পাক হানাদার মুক্ত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা হামলায় একে একে ভেঙ্গে পড়ে পাক হানাদারদের শক্তিশালী সামরিক বলয়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে ৫ ডিসেম্বর রাত থেকে পাক বাহিনী গোপনে মেহেরপুর ছেড়ে পালাতে থাকে। ৬ ডিসেম্বর সকালে মিত্র বাহিনী মেহেরপুর শহরে প্রবেশ করলে অবরুদ্ধ জনতা মিত্র বাহিনীর সঙ্গে জয়ের উল্লাসে যোগ দেয়।

মেহেরপুরের গাংনীর বীরমুক্তিযোদ্ধা নুহু বাঙ্গালী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণের পর মেহেরপুুর টার্গেটে পরিণত হয় হানাদার বাহিনীর। সে অনুযায়ী ১৮ এপ্রিল দুপুরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে সড়ক পথে মেহেরপুর প্রবেশ করার সময় সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামে নির্মম গণহত্যা চালায়। ফলে এ অঞ্চলের প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যতঃ ভেঙ্গে পড়ে। ভীত সন্ত্রস্থ জনসাধারণ ঘর-বাড়ি ভিটেমাটি ত্যাগ করে এ জেলা থেকে সীমান্ত পার হয়ে ভারতের পশ্চিম বাংলায় আশ্রয় গ্রহণ করে। ভারতের হৃদয়পুর, বেতাই, শিকারপুর, করিমপুর, কাচুলিয়া, বিহার সহ বেশকয়েটি জায়গায় প্রশিক্ষণ শিবির খোলা হয়।

ভারতীয় বাহিনীর তত্বাবধানে বাংলাদেশী যুব সমাজ গেরিলা ও যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে থাকে। প্রথম অবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণ অস্ত্র না পাওয়ায় তাদের মনোবল ভেঙ্গে পড়লেও দেশ স্বাধীনের স্বপ্নে বিভোর হয়ে অনেকেই দেশে এসে ক্যাম্প লুট করে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে মেহেরপুর সরকারি কলেজ, ভকেশনাল এবং কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল সহ তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাক বাহীনি শক্তিশালী দূর্গ গড়ে তোলে।

এছাড়াও মেহেরপুর মহাজনপুরের পাশে চুয়াডাঙ্গার নাটুদা হাইস্কুলে পাক বাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল। এ ঘাঁটির সঙ্গে নুরপুর, মানিকনগর ও মেহেরপুর ক্যাম্পের সার্বক্ষনিক যোগাযোগ হত। মে মাসের মাঝামঝি সময়ে গোটা মেহেরপুর জেলা পাকবাহিনী পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেয়। জুন-জুলাই মাসের দিকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ শেষে গেরিলারা এসে সেতু কার্লভাট ধবংস এবং টেলিফোন সংযোগ বিছিন্ন করে মাইন পুতে রেখে পাক বাহিনীদের যোগাযোগ এবং খাদ্য সরবরাহে বিপদ সংকুল করে তোলে। আগষ্ট মাসের ২ ও ৩ তারিখে মানিকনগর ক্যাম্প উঠিয়ে মোনাখালিতে এবং কাথুলি ক্যাম্প উঠিয়ে গাংনীর ভাটপাড়াতে স্থাপন করতে বাধ্য হয় পাকবাহিনী।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্তাজ আলী বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে পাকসেনারা রাজাকারদের সহায়তায় সাধারণ মানুষ সহ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর নির্মম অত্যাচার নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট চালাতে থাকে। পাকসেনারা আমঝুপি, ওয়াপদা মোড়, পিরোজপুর, বুড়িপোতা, গোভীপুর, শালিকা, রাজাপুর, কাজিপুর, তেরাইল, জোড়পুকুরিয়া, বাগোয়ান-রতনপুর, ভাটপাড়া কুঠি, সাহেবনগর, কোলা, হিন্দা ও বাড়িবাঁকা সহ বিভিন্ন গ্রামে নৃশংস গণহত্যা চালায়। যেখানেই গণহত্যা সেখানেই বধ্যভূমি রয়েছে। মেহেরপুরে অন্তত ১৫টি বধ্যভূমি সন্ধান পাওয়া গেছে। তার মধ্যে মেহেরপুর সরকারি কলেজের উত্তরের খোলা মাঠ, কালাচাঁদপুর ঘাট, তাহের ক্লিনিকর পূর্বদিক, ও ভাটপাড়া কুঠি অন্যতম বধ্যভূমি। মুক্তিযুদ্ধ চলা কালিন খলিশাকুন্ডি, গোয়ালগ্রাম, সাহেবনগর, কাজিপুর সহ অন্তঃত ৫০ টি স্থানে পাকবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ হয়। পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে ১৭০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হলেও মুক্তিবাহীনির প্রতিরোধের মুখে ক্রমশঃ কোনঠাসা হয়ে পড়ে পাকবাহিনী।