
জুরাইস ইসলাম মেহেরপুর।।
জামাতার দায়ের করা চেক ডিজঅনার মামলায় শশুর আনোয়ারুল ইসলামকে এক বছর কারাদন্ড ও তিন কোটি টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে মেহেরপুরের একটি আদালত। মেহেরপুর যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক এইচ এম কবির হোসেন এ আদেশ দেন। দন্ডিত আনোয়ারুল ইসলাম গাংনী উপজেলার গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামের মৃত নুরুল হক বিশ্বাসের ছেলে। বাদী একই গ্রামের হাজী আমিনুল ইসলামের ছেলে এবং গাংনীর কাথুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা।
জামাতা মিজানুর রহমান রানা ও শশুর আনোয়ারুল ইসলাম এক সাথে ব্যবসা করতেন। ব্যবসায়ীক লেনদেনের কারনে শশুরের কাছে জামাতার ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা পাওনা হয়। এই পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য জামাতাকে ২০২০ সালের জুন মাসের ৮ তারিখে তার নিজ নামীয় জনতা ব্যাংক মেহেরপুর শাখার একটি চেক প্রদান করেন। টাকা উত্তোলনের জন্য চেকটি ব্যাংকে দিলে ঐ হিসাব নম্বরে টাকা নেই বলে জানিয়ে ডিজঅনার সার্টিফিকেট দেই ব্যাংক। বিষয়টি তিনি শশুরকে জানালে তিনি দু:খ প্রকাশ করে এক সপ্তাহ সময় নেন। এরপর শুরু হয় বিভিন্ন সময় নিয়ে কাল ক্ষেপন করতে থাকেন। কিছুদিন পরে আসামির বিরুদ্ধে বিধানমতে ডাকযোগে একটি নোটিশ প্রদান করেন। এছাড়া চেকের টাকা পরিশোধ করে চেকটি ফেরত অথবা বাতিল করার অনুরোধ করে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় এনআই এ্যাক্টের ১৩৮ ধারা মতে লিগ্যাল নোটিশ প্রকাশিত হয়।
কোনো জবাব না দেওয়ায় এন আই এ্যাক্ট ১৮৮১ এর ১৩৮(১)(খ) ধারায় মামলাটি করেন বাদি। যার সেশন মামলা নং ৮৬/২০ ইং। মামলায় তিন জন স্বাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টচার্য ও আসামি পক্ষে আইনজীবি ছিলেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান।