বিশেষ প্রতিবেদক।।
মুসলিম জাতির পিতা একমাত্র ইব্রাহিম (আঃ)। এছাড়া কাউকে জাতির পিতা দাবী করা মুসলমানদের জন্য জায়েয নয় দাবী করে মুফতি মাওলানা আবুল বাছার বলেছেন- অন্যায়কে ন্যায় বলার কোনো সুযোগ ইসলামে নেই। ইসলামে মিথ্যার কোনো স্থান নেই। আমাদের উচিত পরিপূর্ণ ভাবে নবী করিম সাঃ এর আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা। ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বরিশালের সড়ক ও জনপথ জামে মসজিদের ঈমাম মুফতি মাওলানা আবুল বাসার জুম্মার বয়ান শুরু করেন চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইসলামের ভূমিকা নিয়ে। তিনি সূরা আল আছর এর ব্যাখ্যা তুলে ধরে বলেন- এই একটি সূরায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের করনীয় নির্দেশ করে দিয়েছেন। যে ব্যক্তি অন্যায়ের প্রতিবাদ করেনা- মানুষকে সৎ উপদেশ বা পরামর্শ দেয় না- সেতো আসলে মুসলমান হতে পারেনা। বিপদে ধৈর্য্য ধরা ও আল্লাহকে স্মরণ করাই হচ্ছে ইসলাম।
ঈমাম আবুল বাসার বলেন- জাতির পিতা বলে অনেকেই মারামারি, ঝগড়াঝাটি করেন। কিন্তু পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন- তোমাদের জাতির পিতা ইবরাহীম- তিনিই তোমাদের নাম রেখেছেন মুসলিম।- সুরা হাজ্জ-৭৮-।
এই আয়াত থেকেই প্রমাণিত তিনি মুসলিম জাতির পিতা। আর ইব্রাহিম আঃ সম্পর্কে প্রশংসা করে আল্লাহ বলেছেন- নিশ্চয়ই ইবরাহিম ছিলেন সব গুণের সমাবেশকারী- সব কিছু থেকে মুখ ফিরিয়ে এক আল্লাহর অনুগত এবং তিনি মুশরিক ছিলেন না। তিনি ছিলেন তাঁর অনুগ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী। আল্লাহ তাঁকে মনোনীত করেছিলেন এবং পরিচালিত করেছিলেন সরল পথে। সুরা -নাহল- আয়াত- ১২০-১২১-
এরপরই সূরা আল আছর এর তাৎপর্য তুলে ধরেন ঈমাম আবুল বাসার। এ সূরায় আল্লাহ তা’আলা মহাকালের শপথ করে বলেছেন যে- সকল মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে, তবে চারটি গুণবিশিষ্ট মানুষ ব্যতীত । সেই চারটি গুণ হলো- ইমান- সৎকর্ম- পরস্পরকে সত্য অবলম্বন ও ধৈর্য ধারণের উপদেশ দান।
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে ঈমাম আরো বলেন- রাজনীতি কোনো পেশা বা পরিচয় হতে পারে না। দেশ ও মানুষের উপকার করতে আপনার নিঃস্বার্থ ভূমিকাই রাজনীতি। পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই কোনো না কোনো কাজ করতে হবে। যা থেকে আপনার জীবন-জীবিকার পর উদ্বৃত্ত অংশ জনসেবায় ব্যয় করবেন। তা না হলে ৫০-৭০ বয়সর পরে পরপারে যেয়ে কি হিসাব দেবেন? ৯০ ভাগ মুসলমানদের দেশ হওয়ার পরও বাংলাদেশ পুরোপুরি ইসলামি রাষ্ট্র হতে পারেনি। এর একটাই কারণ আমাদের ঈমান খুবই দূর্বল। আমরা প্রকৃত মুসলমান হতে পারিনি।